আমাদের দেশে রমজান মাসে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার চল আছে। তবে সারা বছরই আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল। খেজুর শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপারফুড। চিকিৎসকরা সুস্থ থাকতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং ভিটামিন বি ৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান। খেজুরের সঙ্গে আরও কিছু জিনিস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে।
খেজুর যেভাবে খাবেন
সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগারের মাত্রা। তাই ডায়াবেটিস থাকলে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেতে পারেন খালি পেটে। ইফতারে খেজুর, দই, বাদাম দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে।
অনেকেই দই দিয়ে ওটস খেয়ে থাকেন। ওটসের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে নিতে পারেন। স্বাদেও মিষ্টি হবে এবং শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ওটস এবং খেজুর দুটোই স্বাস্থ্যকর উপাদান।
ডার্ক চকলেটে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই ডার্ক চকলেটের সঙ্গে খেজুর খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
ঘুমানোর আগে খেজুর খেতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারী খাবার খাওয়ার পরপরই খাবেন না। ডায়রিয়া অথবা পেট খারাপ থাকলে এড়িয়ে চলুন।
এ ছাড়া সারা রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে বেশ উপকার পাবেন। রমজান মাসে সাহরিতে খেজুর রাখতে পারেন।
যারা ওজন বাড়াতে চান তারা শসা দিয়ে খেজুর খেতে পারেন।
একমুঠো খেজুর নিন। বীজগুলো ফেলে দিয়ে একটি বড় প্যানে পানি ফুটিয়ে খেজুরগুলো দিয়ে কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর খেজুর সেদ্ধ করা পানি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠাণ্ডা বা গরম উভয়ভাবেই পান করতে পারবেন।
খেজুর ওজন কমায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে খেতে পারেন।

খেজুরের উপকারিতা
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
খেজুরে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। বিশেষ করে এতে ই-১, ই-২, ই-৩, ই-৫ ও ভিটামিন সি রয়েছে। খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।
খেজুরে যে ফাইবার থাকে সেটি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতেও কার্যকর। এতে আমাদের অন্ত্রের কার্যপ্রণালি ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট স্ট্রেস এবং প্রদাহজনিত জ্বালা কমায়। কিন্তু খেজুর খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া উচিত।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
খেজুরে রয়েছে অত্যন্ত কার্যকরী পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।
কলি