ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

বসন্তে ফুলেল পোশাক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
বসন্তে ফুলেল পোশাক
মডেল: সাদিয়া ইসলাম মৌ, পোশাক: বিশ্বরঙ,ছবি: জি এম সুজন


বিগত কয়েক বছরে বসন্তের সাজ-ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। পাশ্চাত্যর মতো আমাদের দেশে বসন্তকালে পরার জন্য তৈরি পোশাকগুলোর মোটিফে ঘুরে ফিরে এসেছে ফুল। ফুলেল ছাপার পোশাক এবারের বসন্ত সংগ্রহে দেখা যাচ্ছে। বৈচিত্র্য রয়েছে পোশাকের মোটিফ ও ডিজাইনে। বাহারি রঙের পোশাকেও বসন্তবরণ করা হচ্ছে।

যেমন হবে পোশাক 
বসন্তবরণ মানেই বর্ণিল পোশাক। এই দিনটিতে নারীদের বেশির ভাগই শাড়ি বেছে নেন। তবে সালোয়ার কামিজ, কুর্তা, স্কার্ট-টপস অথবা পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকও মানিয়ে যায় বসন্তের আবহের সঙ্গে। শাড়ি পরলে ব্লাউজে আনতে পারেন নতুনত্ব। সুতি, কোটা, জর্জেট ও সিল্কের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা। আবার কোথাও কবিতা বা গানের লাইন এঁকে শাড়িতে আনা হয়েছে বাংলা প্রকৃতির আদল। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও ঐতিহ্য এত সমৃদ্ধ যে, প্রতিটি ঋতুতেই আলাদা আলাদা মোটিফে কাজ করার সুযোগ থাকে। তাই অনেকে হলুদ জমিন শাড়ির ওপর ছোট ছোট সাদা ফুলের কাজ করে। সাদা কাপড়ের ওপর হলুদ রঙের ফুলও বসন্তের বার্তা দেয়।

শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা

অনেকগুলো রং দিয়ে শাড়িতে স্ট্রাইপের নকশা করেছে। এ ছাড়া এই সময়ে ঢিলেঢালা কামিজ, কুর্তি, টিউনিক, টপস পরেন অনেকে। ফুলহাতা না পরে হাফহাতা বা স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন। বটম হিসেবে পালাজ্জো, ধুতি সালোয়ার, ওয়াইড লেগড জিনস বা গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট, লম্বা স্কার্ট পরলে ভালো লাগবে। ট্রেন্ড হিসেবে মিডি ও ম্যাক্সি ড্রেসের জনপ্রিয়তা অনেক। 

চাইলে এগুলো দর্জির কাছ দিয়ে সুতি বা লিনেন ফেব্রিকে বানিয়ে নিতে পারেন। বসন্তে বর্ণিল পোশাক এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। বসন্ত কালেকশনে রয়েছে মেয়েদের জন্য শাড়ি, থ্রি-পিস, কেপ টপ, কাফতান, কুর্তি, শর্ট টপ। ছেলেরা অন্য সময় ফুলেল মোটিফ এড়িয়ে চললেও এ সময়ে বেশ পছন্দ করে। পাঞ্জাবিতেও জায়গা করে নিয়েছে ফুলেল নকশা। ছেলেদের পাঞ্জাবির পাশাপাশি ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টি-শার্ট, ডাই শার্ট রয়েছে। ছোটদের কালেকশনে টি-শার্ট, স্কার্ট টপ, ফ্রক, টপস, প্যান্ট টপ, জাম্প স্যুট, ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টি-শার্ট, টুইন টপসহ আরও নানা স্টাইলিশ পোশাক।

পোশাকের কাপড় 
ঋতুর তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে ক্রেতাদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে আরামদায়ক শিফন ও কটন ফেব্রিক। এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো সুতি কাপড়ের পোশাক। সুতি কাপড়ের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া এর ঘাম শোষণক্ষমতাও বেশি। সুতির পরই আরামদায়ক কাপড়ের দৌড়ে এগিয়ে নরম লিনেন। এ ছাড়া বেছে নিতে পারেন খাদি, ভিসকস, ধুপিয়ান, শিফন, সিল্কের পোশাক।

ফুলের নকশা 
জমিনের রং, কাপড়ের ধরন, পোশাকের ডিজাইন সবকিছুই আপনার শারীরিক অবয়বে প্রভাব ফেলতে পারে। পাতলা গড়নের মেয়েদের যেকোনো ছাপা নকশাতেই মানাবে। ভারী গড়নের মেয়েরা আজকাল ফ্রকের মতো চারদিকে ছড়ানো পোশাক বেশি পছন্দ করছেন। ঢোলা কিন্তু কলার দেওয়া কুর্তা, বড় টপের সঙ্গে মেঝেছোঁয়া স্কার্ট কিংবা লম্বা কোটির মতো দুই পরত দেওয়া কামিজ পরছেন অনেকে। ঘন ফুলের নকশা বা ফুলের মোটিফের পোশাক ভালো লাগে। এ ছাড়া মাল্টিকালার প্রিন্টের পাশাপাশি ফ্লোরাল প্রিন্টে ওয়াটার প্রিন্ট ইফেক্ট ব্যবহার করে অনেকে পোশাক ডিজাইন করছেন।

সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপস, গাউনে রং মেলেছে ছোট বড় উজ্জ্বল বিভিন্ন ফুলের পোশাক। এ ছাড়া লিনেন, কটন, সিল্ক, হাফসিল্ক, ভয়েল, টু-টোন কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাই-ডাইয়ের ব্যবহার হয়েছে।

পোশাকে প্রকৃতির রং
ফাল্গুনের প্রথম দিনটিতে চারদিক প্রকৃতির রংগুলোতে সেজে উঠে। নতুন পাতার কচি সবুজ রং কিংবা গাঁদা ফুলের হলুদ-কমলা রং- বসন্তবরণের সাজে প্রকৃতির এই রংগুলোতেই সেজে উঠতে পছন্দ করে সবাই। বসন্তের চিরায়ত রং বাসন্তীর পাশাপাশি লাল, কমলা, সবুজসহ অনেক রং দেখা যায়। সাদার ওপরেও বিভিন্ন রঙের নকশা করা কাপড় জড়িয়ে নিতে পারেন গায়ে। যে রঙেরই হোক না কেন, বসন্তে ফুলেল নকশা দারুণ মানিয়ে যায়। এ ছাড়া সব উজ্জ্বল রঙের ফুটে উঠেছে ফুলের প্রিন্টগুলো। লাল, গোলাপি, হলুদ, নীল, পিচ, বেগুনি, কমলা, চকলেট আর সবুজের সব কটি শেড ফুটে দেখতে পাবেন ফুলেল ছাপার যেকোনো কাপড়ে।

কাপড়ের কাটছাঁট
ফুলের আকৃতি আর কাপড়ের ধরন বুঝে পোশাক কাট ঠিক করা হয়। অনেক ফ্যাশন হাউস ঝলমলে কাপড়ে আধুনিক ছাঁট পোশাক ডিজাইন করেছে, আরামদায়ক কাপড় সুতিতে চেনা কাটের পাশাপাশি ফুলেল ছাপায় কাটিং, প্যাটার্ন ট্রেন্ডি অনুসরণ করেছে।

টপসে সেমি বোট নেক, রাউন্ড নেক, রাউন্ড উইথ ফল, ব্র্যান্ড কলার পোশাক বসন্তে বেশ মানানসই। গাউন, কামিজ, টরসোর মতো ড্রেসে ফ্লোরাল প্রিন্টের ব্যবহার করে আলাদা ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ফ্যাশন হাউস উৎসবের মোটিফে ডিজাইন না করে, সব জায়গায় সব আয়োজনে পরা যায় এমন পোশাক ডিজাইন করেছে। বেন কলার দেওয়া লুজ ফিটিংয়ের শার্ট, স্লিভলেস, স্লিভসহ তুর্তি। ভি নেক, নচ বা কোট কলার ও সাইড বেল্ট দিয়ে ভিন্ন লুক আনা হয়েছে, যা পরা যাবে উৎসব থেকে শুরু করে যেকোনো আয়োজনে। 

কলি

 

ঈদে সেইলরের কিডস কালেকশনে নতুন মাত্রা

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
ঈদে সেইলরের কিডস কালেকশনে নতুন মাত্রা
ছবিঃসংগৃহীত

এবারের ঈদে সেইলরের কিডস এবং নিউবর্ন কালেকশনে বেশ কিছু নতুনত্ব আনা হয়েছে। ফ্যামিলি কালেকশন এবং সিবলিং কালেকশনের সাথে মিল রেখে ফ্যাশনেবল প্যাটার্নে থ্রি-পিস,টু-পিস কুর্তি, ঘাগরা চোলিতে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চমানের সেইলর সিফন জ্যাকার্ড,সেইলর ব্লেন্ডেড গ্লো, সেইলর সিফন ফ্যাব্রিক। 

এছাড়াও সেইলরের কমফোর্টেবল ভিসকস ফ্যাব্রিক, রেয়ন, রেয়ন জ্যাকার্ড, সেইলর ক্রাফটেড ব্লেন্ডেড কালেকশনের শর্ট টপস,  পাঞ্জাবি ও আধুনিক প্যাটার্নের শার্ট তো থাকছেই।

ঈদে  পার্টিসাজে সাজাতে শিশুদের জন্য পার্টি ফ্রক ও টিনএজদের জন্য পার্টি স্যুটের কালেকশন রয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকোরেটিভ নেট, প্রিন্টেড কটন সাটিন, সেইলর প্রিমিয়াম জ্যাকার্ড, কটন রেয়ন জ্যাকার্ড, সেইলর গ্রিড লাক্সারিয়াস, সেইলর লুম জ্যাকার্ড, সেইলর মিলাঞ্জ ব্লেন্ড ব্লিস, থ্রিডি এপ্লিক ফ্লাওয়ার নেট এবং সিকুয়েন্স নেট ফ্যাব্রিক পার্টি কালেকশন, যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। 

এই ফ্যাব্রিকগুলো শিশুদের ঈদসাজে দিবে ট্রেন্ডিলুক, আরাম এবং স্থায়ীত্বের নিশ্চয়তা সাথে থাকছে গুণগত মান আর স্টাইলের পরিপূর্ণতা। সেইলরের ঈদের সকল কিডস এবং নিউবর্ন কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সেইলরের সকল আউটলেটে ও অনলাইনে।

/ফারজানা ফাহমি

ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদ আনন্দের একটি বড় অংশ হলো শপিং করা। তাই মার্কেটগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। রোজা রেখে এ সময় তড়িঘড়ি ঘরে ঈদ শপিং করা বেশ ঝক্কির কাজ। ঈদ আনন্দের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকেরই ছোটখাটো ভুল হয়ে যায়। তাই কেনাকাটার সময় ছোটখাটো কিছু বিষয় সম্পর্কে খেয়াল রাখাতে পারলে ঝামেলাহীন ঈদের কেনাকাটা করা সম্ভব।

বাজেট তৈরি করুন
কেনাকাটার জন্য কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করলে সামর্থ্যের মধ্যেই সেরাটা কেনার সুযোগ হতে পারে। আবার কারও বাদ পড়ারও ভয় থাকবে না। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই বাজেট তৈরি করে নিন।

কতটুকু প্রয়োজন
জিনিস কেনার আগে তার প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে নিন। ঈদে উপহার দেওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল করুন যাকে দিচ্ছেন তার জন্য সেই জিনিসটি কতটুকু প্রয়োজন। যে ধরনের পোশাক বছরে একবারও পরা হয় না, সে ধরনের পোশাক না কেনাই ভালো। এর বদলে মাঝে মাঝেই ব্যবহার করা যায় এমন পোশাক কিনলে কাজে লাগবে। এ ছাড়া প্রয়োজনের বাইরে কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকুন। এক গাদা কেনাকাটার পর দেখা যাবে তার বেশির ভাগই আর কোনো কাজে লাগবে না।

অতিরিক্ত দামে কিনবেন না
পছন্দ হয়েছে বলেই কোনো জিনিস অতিরিক্ত দামে কিনে আনবেন না। যে জিনিসটি কিনছেন সেটির বাজারমূল্য সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। পছন্দ, বাজেট এবং জিনিসটির মূল্যে সামঞ্জস্য হলেই কেবল কিনুন। অতিরিক্ত দামে কোনোকিছু কেনার মানে হলো অপচয়। 

ভিন্ন ভিন্ন তালিকা করুন
ঈদে খরচ থাকে অনেক বেশি। ব্যক্তিগত কেনাকাটা, খাবারদাবার, ঘরের জিনিস, পরিবারের সব সদস্যের কেনাকাটা, প্রিয়জনের জন্য উপহারসহ অনেক কিছু রয়েছে। তাই প্রতিটি খাতের, আলাদা তালিকা বানিয়ে নিন। এতে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে, আর পরিচিত কেউ বাদ পড়বে না। 

কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ
কোথায় কেনাকাটা করতে যাবেন তা আগেই সিদ্ধান্ত নিন। এতে আপনার সময় বাঁচবে। এ ছাড়া নিজের বাজেট অনুযায়ীও কিনতে পারবেন। এ ছাড়া যেকোনো দোকানে একটি জিনিসের দরদাম হয়ে গেলে, সেটা পরিবর্তন করে অন্যটা নিতে যাবেন না। তাহলে আগের পণ্যের চেয়ে এটার দাম বেশি চেয়ে বসবে। তাই প্রয়োজনে দরদাম সম্পন্ন করার আগে  ভেবে নিন।

যাচাই করে কেনা
বাজারে এখন চড়া দাম। তাই দেখেশুনে কেনাকাটা করুন। কয়েকটি দোকান যাচাই করে কেনাকাটা করুন। যেকোনো জিনিস কেনার সময় রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস কেনা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এ ছাড়া দোকানমালিকরা এ সময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। পণ্য কেনার আগে যাচাই-বাছাইয়ে সতর্ক থাকুন।

শেষমুহূর্তে কেনাকাটা 
শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য বাড়ির আশপাশের মার্কেট বা শপিং কমপ্লেক্স বেছে নিন। তাহলে খুব দ্রুত আর ঝামেলাহীন শপিং করতে পারবেন। শপিংয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে বন্ধু বা পরিবারের কাউকে নিয়ে যান। তাহলে দ্রুত শপিং সম্পন্ন করতে পারবেন, আবার শপিং ব্যাগগুলো ধরার জন্যও কাউকে পাবেন। এতে আপনি বিভিন্ন পণ্য ভালোভাবে দেখে ও বুঝে কিনতে পারবেন। সঙ্গে একজন থাকলে শপিংয়ের সময় নানা ধরনের বুদ্ধি বা পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

 কলি

খেজুর যেভাবে খেলে উপকার পাবেন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ পিএম
খেজুর যেভাবে খেলে উপকার পাবেন
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশে রমজান মাসে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার চল আছে। তবে সারা বছরই আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল। খেজুর শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপারফুড। চিকিৎসকরা সুস্থ থাকতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং ভিটামিন বি ৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান। খেজুরের সঙ্গে আরও কিছু জিনিস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে। 

খেজুর যেভাবে খাবেন
সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগারের মাত্রা। তাই ডায়াবেটিস থাকলে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেতে পারেন খালি পেটে। ইফতারে খেজুর, দই, বাদাম দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে। 
অনেকেই দই দিয়ে ওটস খেয়ে থাকেন। ওটসের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে নিতে পারেন। স্বাদেও মিষ্টি হবে এবং শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ওটস এবং খেজুর দুটোই স্বাস্থ্যকর উপাদান।

ডার্ক চকলেটে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই ডার্ক চকলেটের সঙ্গে খেজুর খেতে পারেন, উপকার পাবেন।

ঘুমানোর আগে খেজুর খেতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারী খাবার খাওয়ার পরপরই খাবেন না। ডায়রিয়া অথবা পেট খারাপ থাকলে এড়িয়ে চলুন।

এ ছাড়া সারা রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে বেশ উপকার পাবেন। রমজান মাসে সাহরিতে খেজুর রাখতে পারেন।
যারা ওজন বাড়াতে চান তারা শসা দিয়ে খেজুর খেতে পারেন।

একমুঠো খেজুর নিন। বীজগুলো ফেলে দিয়ে একটি বড় প্যানে পানি ফুটিয়ে খেজুরগুলো দিয়ে কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর খেজুর সেদ্ধ করা পানি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠাণ্ডা বা গরম উভয়ভাবেই পান করতে পারবেন।

খেজুর ওজন কমায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে খেতে পারেন।

খেজুরের উপকারিতা
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

খেজুরে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। বিশেষ করে এতে ই-১, ই-২, ই-৩, ই-৫ ও ভিটামিন সি রয়েছে। খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।

খেজুরে যে ফাইবার থাকে সেটি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতেও কার্যকর। এতে আমাদের অন্ত্রের কার্যপ্রণালি ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট স্ট্রেস এবং প্রদাহজনিত জ্বালা কমায়। কিন্তু খেজুর খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া উচিত।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

খেজুরে রয়েছে অত্যন্ত কার্যকরী পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

 কলি

স্বাস্থ্যকর সাহরির রেসিপি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
স্বাস্থ্যকর সাহরির রেসিপি
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

সাহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। এতে শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সঞ্চিত থাকে। তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহরিতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হয়। সাহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি সহজে ও তাড়াতাড়ি বানানো যায় এমন কয়েকটি পদের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা 

ফল ও চিড়া

উপকরণ
চিড়া ২ কাপ, আখের গুঁড় ৪ টেবিল চামচ, কলা ২টি, ডালিমের দানা ৪ টেবিল চামচ, আপেল কুচি ১ কাপ, স্ট্রবেরি ৬টি, ঘন দুধ ২ কাপ, মধু ২ চা চামচ।

প্রণালি
চিড়া ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরে লিকুইড দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে সামান্য ঘন করে নিন। এবার ফল ধুয়ে আলাদা করে কেটে রাখুন। তারপর সার্ভিং ডিশে ভিজানো চিড়া দিন। পরে ঘন দুধ ঢেলে দিন। এবার এক এক করে ফল সাজিয়ে নিন। শেষে আখের গুড় কুচি ফলের মাঝে দিয়ে মধু দিন। ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। নরমাল ফ্রিজে ২-৩ ঘণ্টা, তৈরি হয়ে গেল ফলেল চিড়া।

সেদ্ধ ছোলার মিশ্র সালাদ

উপকরণ
ছোলা সেদ্ধ ৫০ গ্রাম, টমেটো ২টি, শসা ২টি, ডিম সেদ্ধ ২টি, বিট লবণ সামান্য, ভাজা মরিচ গুঁড়া স্বাদমতো, ধনে ও পুদিনাপাতা কুচি প্রয়োজন মতো, কিউই ফল ১টা, স্ট্রবেরি ৪টি।

প্রণালি
ছোলা সাদা বা কালো পানিতে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরে চুলায় সেদ্ধ করে নিন। ডিম ও সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন। পরে দুই ভাগ করে নিন। খোসাসহ শসা, টমেটো কিউব করে কেটে রাখুন। এবার বাটিতে শসা, টমেটো, ছোলা সেদ্ধ, ডিম সেদ্ধ দিয়ে বিট লবণ, ভাজা মরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা কুচি ছড়িয়ে স্ট্রবেরি দিয়ে পরিবেশন করুন। 

হেলদি চিকেন উইংস

উপকরণ
চিকেন উইংস ১৬ পিস, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, টমেটো পেস্ট ২ কাপ, সাদা তিল ২ চা চামচ।

প্রণালি
চিকেন উইংস পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন। এবার বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। পরে মাইক্রো ওভেনে ১০০% হাই পাওয়ারে ১২-১৫ মিনিট রান্না করুন। মাইক্রো ওভেনে তেল কমে রান্না করা যায় বলে হেলথি হয়। এরপর সার্ভিং ডিশে সাদা তিল ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

 কলি 

কে ক্র্যাফটে ঈদে শাড়ির আয়োজন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
কে ক্র্যাফটে  ঈদে শাড়ির আয়োজন
ছবি: কে ক্র্যাফট

নানা পোশাকের প্রতি আকর্ষণ বা পছন্দ থাকলেও শাড়ির আবেদন কিন্তু কমেনি। তাই ঈদকে সামনে রেখে কে ক্র্যাফটের শাড়ির বৈচিত্রপূর্ণ ডিজাইনের একটি বড় আয়োজনই থাকছে। নিজস্ব উইভিং ডিজাইনে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি কাড়বে।  

কটন, সিল্ক, হাফ সিল্ক, অরগাঞ্জা, টাঙ্গাইল কটন, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কোটা কটন ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য থাকবে। শাড়ীর আঁচল, কুচি, জমিন ও পাড়ে রয়েছে ভিন্নতা। জমকালো আয়োজনের অনুষ্ঠানে অনিন্দ্যরূপে নিজেকে সাজাতে শাড়ীর আঁচল, পাড় ও জমিনে স্ক্রিন প্রিন্টের সাথে এমব্রয়ডারী ও কারচুপির কাজ করা হয়েছে। একই রঙের নানান শেডের আঁচল ও পাড়ে ভারী স্ক্রিন প্রিন্টের সাথে এমব্রয়ডারী, কারচুপি ও মিরর বসানো শাড়ীগুলো একাধারে যেমন পার্টি উপযোগী আবার উৎসবমুখী। আবার ভারী আঁচল এবং পাড়ে প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ করা শাড়িও দিবে পার্টি লুক। ঈদে দিনের বেলায় স্বস্তি বা আরামদায়ক মানেই সুতি শাড়ি অথবা তাঁতের সুতি শাড়ি। রাতে সিল্ক, হাফ সিল্ক কিংবা অরগাঞ্জা পরা যেতে পারে।

মুঘল আর্ট,  ফ্লোরাল, জামদানি, কাঁথা স্টিচ, ট্র্যাডিশনাল, ট্রাইবাল, ইক্কত, পেইসলে, জিওমেট্রিক, ইজিপশিয়ান, টার্কিশ সহ মিক্সড  মোটিফের উপস্থাপনা ও নানা মিডিয়ার ব্যবহারে থাকবে নিপুনতা। মেরুন, ম্যাজেন্টা, পার্পল, রিগ্যাল পার্পল, ল্যাভেন্ডার, নেভী, স্কাই,  হোয়াইট, পার্ল হোয়াইট, কফি, বার্গান্ডি, কোরা, জাভা গ্রীন, টারকুইশ ছাড়াও আরও অন্যান্য শেড নিয়ে ডিজাইন করা বর্ণিল শাড়ীগুলো পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন।  

উজ্জ্বল রঙ, কণ্ট্রাস্ট কম্বিনেশনে করা সবার জন্য উপযোগী এবং উৎসবমুখী এ আয়োজনে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট কারচুপি করা শাড়িগুলো অনন্য। 

কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ থেকে ঈদ আয়োজন এর শাড়ি কিনতে পারেন সাশ্রয়ী মূল্যে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন 

কলি