ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। একটু উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার আদান-প্রদান ঘটে। আলিঙ্গনে শরীর আর মন দুই ভালো থাকে। জীবনের পথে এগিয়ে চলার পাথেয়ও হয়ে উঠতে পারে প্রিয়জনের একটি আলিঙ্গন। শুধু ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রেই নয়; পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গেই আলিঙ্গন করা উচিত। কারণ আলিঙ্গেনের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারও রয়েছে। 

মানসিক চাপ কমায়
বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যকে যদি আপনি বেদনাদায়ক বা অস্বস্তিকর কোনো পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে দেখেন, তাহলে বুকে জড়িয়ে নিন। উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ করুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করলে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটা তার জন্য বড় ধরনের ‘সাপোর্ট’ হতে পারে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাউকে আলিঙ্গন করা হলে তখন ব্রেস্টবোনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা মনকে আবেগপূর্ণ করে তোলে। এটি প্লেক্সাস চক্রকেও সক্রিয় করে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে। এই গ্রন্থি শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
আলিঙ্গন হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার দারুণ একটি উপায়। ভালোবাসার মানুষকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরলে শরীর থেকে অক্সিটোসিন নির্গত হয়। অক্সিটোসিনকে ভালোবাসার হরমোন বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই হরমোন শরীরকে রিল্যাক্স করায় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত আলিঙ্গন করা জরুরি।

ভালো ঘুমে সহায়তা করে
আপনার যদি রাতে ভালো ঘুম না হয়ে তবে আলিঙ্গন ভালো সমাধান হতে পারে। অক্সিটোসিন নিঃসরণ শুধুমাত্র স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে না বরং শিথিলতাও বাড়ায়। এই প্রশান্তির অনুভূতি শান্তিপূর্ণ এবং আরামদায়ক রাতের ঘুমে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, ভালো ঘুমের জন্য আপনার ঘুমের রুটিনে একটি আলিঙ্গন যুক্ত করার কথা ভেবে দেখুন!

মেজাজ ভালো থাকে 
আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে উত্তেজনা কমে যায়। এর ফলে শরীর থেকে সেরোটোনিন হরমোন ভালোভাবে নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেজাজকে উন্নত হয়।

একাকিত্ব দূর করে
কাছের মানুষদের থেকে যত দূরে সরে যাবেন, নিজেকে তত বেশি একা ও নিঃসঙ্গ লাগবে। আলিঙ্গন মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিরাপদ, অন্যের কাছে প্রিয় এবং একা নই। তাই একাকিত্ব দূর করতে আলিঙ্গনের বেশ ভালো কাজ করে।

ভয় দূর করতে সাহায্য করে
আলিঙ্গন মৃত্যুর উদ্বেগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলিঙ্গন মানুষের মন থেকে অস্তিত্বের ভয় দূর করতেও সহায়তা করে। তাই একাকিত্বের সময় একটি টেডি বিয়ারকে আলিঙ্গন করেলেও নিরাপত্তার অনুভূতি হয়।

ব্যথা দূর করে
শুধু মনের ব্যথা নয়, শরীরের ব্যথাও দূর করে আলিঙ্গন। এটি আপনার শরীরের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। যে কারণ শরীরের উত্তেজনা হ্রাস হয়, যা উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলোকে শিথিল করে। 

 

কলি

ঈদে বিশ্বরঙ এর সাহরি আওয়ার

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
ঈদে বিশ্বরঙ এর সাহরি আওয়ার
ছবি: বিশ্বরঙ

ঈদ মানেই হাসি আনন্দ, উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙানো। রোজার ঈদকে ঘিরে বেশ আগে থেকেই শুরু হয় ঈদ উদযাপনের সকল পরিকল্পনা। নতুন পোশাকের অপেক্ষায় থাকে সবাই। উৎসব পার্বন উদযাপনে বিশ্বরঙ সবসময়ই অগ্রপথিক।  নতুন ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করা বিশ্বরঙ এর স্বভাবসিদ্ধতা সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি এই ঈদে ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন সব ট্রেন্ডি ডিজাইন। দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চলের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাহারি নকশা ও বৈচিত্রময়তায় উপস্থাপন করেছে বিশ্বরঙ  ঈদ আয়োজনে।

 ঈদ উৎসবের রঙে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বরাবরের মতোই দেশীয় কাপড়, উপকরণ ব্যবহার করে ঈদ-উল-ফিতরের আয়োজনে পোশাকে ট্রেন্ডি এবং ট্রেডিশনাল লুকের নান্দনিক উপস্থাপন করেছে। দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, ধুপিয়ান সিল্ক, তসর সিল্ক, লিলেন, কাতান, জ্যাকার্ড কাপড় ব্যবহার করেছে।

রঙের ব্যবহারে কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ম্যাচিউরড টোন  এর পরিমিত ব্যবহার  করা হয়েছে।  কাজের মাধ্যম হিসাবে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, ডিজিটাল প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারি, কম্পিউটার এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কারচুপি, নকশী কাঁথা জারদৌসিসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল। এবারের ঈদ আয়োজনে বিশ্বরঙ প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের জন্যই ভিন্ন কিছু যোগ করেছে।

শিশুদের জন্য এনেছে নান্দনিক সব কালেকশন সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং নারীদের জন্য আছে ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের ছোঁয়া। স্বাদও সাধ্যের মধ্যেই প্রিয়জনকে খুশি করতে বিশ্বরঙ নিয়ে এসেছে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে আকর্ষনীয় শাড়ি। যা পাওয়া যাবে বিশ্বরঙ এর সকল শোরুমে। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিশ্বরঙে চলছে সেহরি আওয়ার। রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে Website/Online থেকে ঈদের কেনাকাটা করলেই পাচ্ছেন ফ্ল্যাট  ২০% ডিসকাউন্ট । বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন  

 কলি

বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে টুয়েলভ

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে টুয়েলভ
ছবিঃসংগৃহীত

ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের জন্য নানা অফারে এবারের ঈদের কালেকশন নিয়ে নিজেদের ফ্যাশন ট্রেন্ডের জানান দিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা ক্লদিং ব্র্যান্ড টুয়েলভ। গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার প্রানকেন্দ্র পান্থপথের বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে এই আউটলেটটি উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। 

এসময় টুয়েলভের বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৫ এ অবস্থিত এই আউটলেটে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে দারুণ সব কালেকশন নিয়ে এবার নিজেদের সম্ভার সাজিয়েছে টুয়েলভ। এথনিক এবং ওয়েস্টার্ন এই দুই বিভাগে ফ্যাশনেবল, ট্রেন্ডি এবং যুগের সঙ্গে আধুনিক ও মানানসই পোষাক নিয়ে বাজারে এসেছে তারা। সঙ্গে রয়েছে বাচ্চাদের পোষাকও। ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা এবং সাচ্ছন্দের বিষয়টিও মাথায় রেখেছে টুয়েলভ ক্লদিং।

রাজধানীর বুঁকে একেবারে কেন্দ্রস্থলে থাকা ফ্যাশনেবল ক্রেতাদের পছন্দ ও সুবিধা মাথায় রেখেই  এই আউটলেটটি খুলেছে টুয়েলভ কতৃপক্ষ। যদিও বসুন্ধরা সিটির গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং লেভেল ১ এ এর আগেও দুটো আউটলেট টুয়েলভের থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এতো বড় পরিসেরে এসেছে তারা।

অনুষ্ঠানে টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব, টুয়েলভের পরিচালক ও সিওও মোঃ মতিউর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় আউটলেটের শুভ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

নতুন করে উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের জন্য দারুণ  অফার রেখেছে টুয়েলভ কতৃপক্ষ। নির্দিষ্ট পরিমান কেনাকাটায় টগি ওয়ার্ল্ড এর ফ্রি টিকিট, টুয়েলভের গিফট ভাউচার, ক্রেতাদের জন্য গিফট হ্যাম্পারসহ নানা আয়োজনে বসুন্ধরা সিটিতে নতুন আউটলেটের উদ্বোধনী পর্ব সাজিয়েছে টুয়েলভ।

/ফারজানা ফাহমি

ঈদের জন্য স্টাইলিশ আবায়া ও হিজাব

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
ঈদের জন্য স্টাইলিশ আবায়া ও হিজাব

শালীনতা বজায় রাখা এবং পর্দা করার উদ্দেশ্যে আবায়া ও হিজাব ব্যবহার করা হয়। তবে শালীনতা বজায় রেখে আবায়া ও হিজাবের সঙ্গে আজকাল গুরুত্ব পাচ্ছে ফ্যাশনের বিষয়টিও। আর তাই বোরকা ও হিজাবে নিত্যনতুন আসছে নতুনত্ব। যোগ হচ্ছে স্টাইল ও অনুষঙ্গ। ঈদ উপলক্ষে আবায়া ও হিজাবের খোঁজ জানাচ্ছেন- ফারজানা ফাহমি

সময়ের সাথে সাথে বোরকা ও হিজাবের প্রতি এখন অনেক নারীই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। রোজকার যাতায়াত থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো জমকালো অনুষ্ঠান, পার্টিতেও এখন অনেকেই আবায়া ও হিজাব পরতে পছন্দ করেন।

বিগত কয়েক বছরে দুনিয়াজুড়ে হিজাবি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে দারুণ একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। আমাদের দেশে  নারীরা প্রতিদিনের কর্মস্থল, স্কুল-কলেজে হিজাব পরলেও আজকাল  বিভিন্ন  পার্টি থেকে শুরু করে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠানে হিজাব পরতে দেখা যায়। 

নানা রকম আবায়া

এক সময়ের শুধু কালো বোরকা ছাপিয়ে এখন বিভিন্ন ধরনের রঙ ও ডিজাইনের বোরকা পাওয়া যায় বাজারে। যার মধ্যে অন্যতম হল আবায়া। লং, সেমি লং আবায়া , কুচি দেয়া আবায়া , কোটি, কাফতান , আবায়া বোরকা, স্ট্রেচড আবায়া, ডাবল লেয়ার আবায়া সহ  বিভিন্ন ডিজাইনের আবায়া এখন মার্কেট এ পাওয়া  যায়। ঈদের জমকালো পার্টিতে পরতে পারেন পছন্দের আবায়া কিংবা কাফতান স্টাইলের বোরকা।

হিজাবে নতুনত্ব
আজকাল হিজাবের ডিজাইনের কোনো কমতি নেই বাজারে। নিত্যনতুন স্টাইলিশ হিজাব যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়েও হিজাব বাঁধছেন নারীরা। কটন, সার্টিন, সুতি, জর্জেট, লিনেন, নেটসহ বিভিন্ন কাপড়ের হিজাব পাওয়া যায়। প্রিন্টের হিজাবের মধ্যে ডোরাকাটা, জ্যামিতিক এবং ফ্লাওয়ার প্রিন্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। স্টাইলিশ হিজাবের মধ্যে পাওয়া যাবে শিমারি ম্যাক্সি হিজাব, কটন শিমারি সিক্যুয়েন্স হিজাব, স্টোন সেটিং হিজাব, গ্লিটার হিজাব, পার্টি হিজাব, নেট হিজাব প্রভৃতি। যারা হিজাব ভালোমতো বাঁধতে পারেন না, তারা কিনে নিতে পারেন রেডি হিজাব কিংবা টার্সেল হিজাব।

হিজাবের অনুষঙ্গ
হিজাবের সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ হিজাব ক্যাপ, টিউব ক্যাপ প্রভৃতি পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে চুল সেট করে তার ওপর হিজাব বাঁধতে হবে। এতে হিজাব ভালোমতো সেট হবে আর দেখতেও সুন্দর লাগবে। বিভিন্ন ধরনের হিজাব ক্যাপের মধ্যে রয়েছে জিগজ্যাগ হিজাব ক্যাপ, পার্ট হিজাব ক্যাপ প্রভৃতি। হিজাব সেট করতে বর্তমানে লেসের ফুলের, পমপমের হিজাব পিন, স্টোন-পার্ল-পুঁতি পিন, ব্যান্ড, ঝুমকা, মালা, টিকলি হিজাব পিন প্রভৃতি পাওয়া যায়। এছাড়া স্টোন, পার্ল, ক্রিস্টাল, মেটাল, ডায়মন্ড কাট স্টোন সেটিং ব্রোচসহ বিভিন্ন ধরনের ব্রোচ দিয়েও সেট করতে পারেন হিজাব। জমকালো হিজাব ব্রোচ ব্যবহার করুন পার্টিতে। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বেছে নিন হালকা নকশার হিজাব পিন।

হিজাব ও আবায়া গুলো স্থানীয় মার্কেটে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এছাড়া, ঢাকার বসুন্ধরা শপিং মল,নিউমার্কেট,গাউছিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পেজ থেকে পছন্দ অনুযায়ী কিনে নিতে পারেন আপনার পছন্দ সই অবায়া ও হিজাব।

/ফারজানা ফাহমি

ঈদ আয়োজনে 'বালুচর'র বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
ঈদ আয়োজনে 'বালুচর'র বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি
ছবি: বালুচর

ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে ছেলেদের প্রথম পছন্দ থাকে পাঞ্জাবি। ফ্যাশন সচেতন মানুষেরা ঈদের রং ছড়ায় পাঞ্জাবি দিয়ে। এবারের ঈদে বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে 'বালুচর'।

ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন চৌধুরীর হাত ধরে বালুচরের যাত্রা শুরু ২০০৮ সালে। জগন্নাথ  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে। সমসাময়িক ফ্যাশনকে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতেই ‘ফ্যাশন ফর ক্রিয়েশন’ স্লোগান নিয়ে বালুচরের পথচলা। এরই মধ্যে পরিণত হয়েছে ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি ও কুর্তার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে। 

মূলত পাঞ্জাবিতে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য হাল ফ্যাশনের ফিউশন ঘটিয়ে তৈরি করছে নিজস্ব ধারা। তাতে থাকছে কাট ও প্যাটার্নে বৈচিত্র্য। ফ্যাশনিস্তাদের কাছে যা দ্রুততম সময়ে সমাদৃত হয়েছে। পণ্যসম্ভারে রয়েছে পাঞ্জাবি, কুর্তা, পায়জামা, কটি, ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট। রেগুলার, স্লিম ও ফিট উভয় ধরনের পাঞ্জাবির সংগ্রহ রয়েছে। আছে এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবিও। এই ঈদে

বাবা-ছেলের স্পেশাল পাঞ্জাবির বিশাল কম্বো এসেছে। আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনেও কেনাকাটা করা যাবে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বালুচর পেয়েছে বেশ কিছু সম্মাননা।

বালুচরের বিভিন্ন ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে  ৯০/৯১ নিচতলা, আজিজ সুপার মার্কেট, লেভেল ৩, শাহবাগ, ঢাকা ও  ৮১-৮২, ১০২/এ, তৃতীয় তলায়।  আহমদ আলী টাওয়ার, জয়দেবপুর, গাজীপুর। আকুরটাকুর পাড়া, জেলা সদর রোড, টাঙ্গাইল। কমার্শিয়াল এরিয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট।

 কলি

সেহরির জন্য সেরা খাবার

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
সেহরির জন্য সেরা খাবার
ছবি: খবরের কাগজ

সুস্থভাবে রোজা পালন করার জন্য জরুরি সঠিক পুষ্টি। এ কারণে সেহরিতে সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা খুব জরুরি। সেহরির খাবারে এমন কিছু উপাদান রাখা প্রয়োজন যা ধীরে ধীরে পচনশীল হয়, শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।

রোজায় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে খেজুর খেলে দিনভর কর্মক্ষম থাকার শক্তি পাওয়া যায়। সেহরির সময় অন্তত এক থেকে দুটি খেজুর খান। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ। এতে রয়েছে অনেক আঁশ। এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

সেহরিতে তরল জাতীয় খাবার যেমন ডাল বা স্যুপ রাখতে পারেন। অনেকে আবার কামরাঙা, আমড়া, জলপাই, টমেটো, চালতা বা অন্যান্য টক জাতীয় খাবারের খাটাই খেতে পছন্দ করেন।এতে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়।

সবুজ শাক বা পানি জাতীয় সবজি যেমন- পেঁপে, পটোল, লাউ, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স খান। তবেই পানির অভাবে সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
জটিল কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার। লাল চালের ভাত বা ব্রাউন রাইস, ওটস, লাল আটার রুটি, মুসুর বা মুগ ডাল। এ খাবারগুলো ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায় এবং ক্ষুধার অনুভূতি কমায়।

প্রচুর পরিমাণে আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার শোষণ করতে বেশি সময় নেয় শরীর। তাই রোজা থাকা অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ শরীর শক্ত সামর্থ্য থাকে এবং এই সময় ক্ষুধা কম পায়। কলা, আম, গাজর, আপেল, বাদাম, ডাল ইত্যাদি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ডিম খাওয়ার ফলে মাংসপেশি শক্তিশালী থাকবে এবং সারাদিন রোজা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়।
পানি জাতীয় ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত। এতে করে দিনের বেলায় শরীর ঠাণ্ডা থাকে। তাই পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণ করতে সেহরিতে তরমুজ, আপেল, তাল, কমলা, মাল্টা, কলা ও পেয়ারা খেতে পারেন।

সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সারাদিন শক্তি যোগাবে। মাছ, মাংস, তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, দুধজাত খাবার, প্রভৃতি খাবার প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া এইসবে  ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান ও প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরের হাড়ের সুস্থতার জন্য জরুরি। বিশেষভাবে সেহরিতে দুধ গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হতে পারে।

 কলি