লক্ষ্মীপুর জেলার ৭৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ১৪০টি মাদ্রাসায় কোনো শহিদ মিনার নেই। জেলার ২০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি জেলা শিক্ষা অফিস। অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকলেও বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে।
যেসব প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই সেসব বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলাগাছ আবার কোনোটিতে কাঠ ও রঙিন কাগজ দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহিদ মিনার তৈরি করে ফুল দেওয়া হয়। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবসে কিছুসংখ্যক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রভাতফেরির আয়োজন ছাড়া তেমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না বলে জানা গেছে। যদিও এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়া থাকে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ দিবস পালিত হয়নি মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়, তা তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।’
জেলার বিপুলসংখ্যক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ২০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহিদ মিনার স্থাপন করা যাচ্ছে না। শহিদ মিনার তৈরির জন্য স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। অধিকাংশ এলাকায়ই শহিদ মিনার স্থাপনে কেউ এগিয়ে আসে না।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর আন্দার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন সিহাব জানান, 'তার বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য তাদের উদ্যোগ থাকলেও এলাকায় তেমন কোনো অর্থদাতা না থাকায় শহিদ মিনার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।’