ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার, বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার, বিক্ষোভ
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে দুই প্রবাসী বাংলাদেশিকে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন প্রবাসীরা।

স্থানীয় সময় গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৮) ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৪৩)। বাবুল মিয়া আগে সপরিবারে থাকতেন ম্যারিল্যান্ডে। সম্প্রতি তিনি বাফেলোতে বাড়ি কেনেন। আর ইউসুফ গত ডিসেম্বরে স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ বাফেলোতে যান স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য। ঘটনার সময় তারা বাড়ির সংস্কারকাজ করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর একটি সোয়াট টিমকে ডাকা হয়। স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

প্রবাসীদের বিক্ষোভ

এমন ঘটনায় কানাডা সীমান্তসংলগ্ন বাফেলোতে বসবাসরত অর্ধলক্ষাধিক প্রবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রবাসীরা। হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

বাফেলো সিটির মেয়র বাইরেন ডব্লিউ ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন। তারা কমিউনিটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশের ঘণ্টা দুয়েক পর সিটির নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে সন্দেহভাজন ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে জোড়া খুনের সংবাদ জানার পর পরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন ও বাফেলো কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

চীনে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে নিহত ২

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
চীনে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে নিহত ২
চীনের হাইনান ও গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানার পর বর্তমানে সুপার টাইফুন ইয়াগি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

চীনের হাইনান প্রদেশের ওয়েনচাং শহর ও গুয়াংডং প্রদেশের ঝানজিয়াং শহরে প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়াসহ আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এতে এখন পর্যন্ত দুজন নিহত এবং ৯২ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিজিটিএন এ তথ্য জানায়।

এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝানজিয়াং শহরের জুওয়েন কাউন্টিতে আঘাত হানে এই টাইফুন। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

এই আগে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে টাইফুনটি দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের ওয়েনচাং শহরের ওয়েংটিয়ান টাউনশিপে আঘাত হানে। সে সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার ছিল বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এখন পর্যন্ত ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকাসহ সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একাধিক শহরে রাস্তা, সেতু এবং টানেলের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। 

টাইফুনের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যালয় এবং হংকংয়ের স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন। 

হাইনানের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারী ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশন টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত হাইনান ও গুয়াংডং প্রদেশে ত্রাণ সহায়তার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ২৮ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে।

চীনে আঘাত হানা সুপার টাইফুন ইয়াগি এই বছরের ১১তম ঘূর্ণিঝড়, যা বর্তমানে আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে বেইবু উপসাগরীয় অঞ্চল এবং ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এ ঝড়কে আরও তীব্রতর করেছে।’ সূত্র: সিজিটিএন

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

বৈশ্বিক অস্থিরতার ওপর সতর্ক নজর রাখতে এবং ‘অপ্রত্যাশিত’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে এক সামরিক অনুষ্ঠানে ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয়কে ইঙ্গিত করে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

লক্ষ্ণৌতে প্রথম জয়েন্ট কমান্ডার্স কনফারেন্সের শেষ দিনের বক্তৃতায় রাজনাথ এসব মন্তব্য করেন। বক্তব্যে তিনি যৌথ সামরিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ এবং কোনো যুদ্ধে জড়ালে দেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে সেসবের জন্য প্রস্তুতির তাৎপর্যের ওপরও জোর দিয়েছেন।

ভারতকে ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’ উল্লেখ করে রাজনাথ সিং বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি রক্ষা করতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এবং বাংলাদেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মতো অন্যান্য বৈশ্বিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। 

কমান্ডারদের এই পরিস্থিতিগুলো বিশ্লেষণ, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের পূর্বাভাস ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজনাথ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সমস্যা নিয়ে ‘ব্যাপক বিশ্লেষণের’ প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। সেগুলো এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।

রাজনাথ আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সত্ত্বেও ভারত একটি অসাধারণ শান্তির সুফল উপভোগ করছে। ভারত শান্তিপূর্ণভাবে বিকশিত হচ্ছে। তবে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সব সময়ের জন্য আমাদের শান্তি অটুট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমানের ওপর মনোনিবেশ করতে হবে এবং চারপাশে ঘটতে থাকা ক্রিয়াকলাপগুলোর ওপর নজর রাখতে হবে। ভবিষ্যৎমুখী হওয়ার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। আর এ জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী ও মজবুত জাতীয় সুরক্ষা উপাদান থাকা উচিত।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহাকাশ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধে সক্ষমতা বিকাশের ওপরও জোর দিয়েছেন। তিনি সামরিক নেতৃত্বকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশের আহ্বানও জানান। তিনি এগুলোকে আধুনিক দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেন। 

রাজনাথ ভারতের সামরিক নেতৃত্বকে তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতের সর্বশেষ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘এই উপাদানগুলো সরাসরি কোনো সংঘাত বা যুদ্ধে অংশ নেয় না, তবে তাদের পরোক্ষ অংশগ্রহণ অনেকাংশেই যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করে।’ সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

কর ফাঁকির মামলায় হান্টার বাইডেনের দোষ স্বীকার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
কর ফাঁকির মামলায় হান্টার বাইডেনের দোষ স্বীকার
হান্টার বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন কর ফাঁকির মামলার অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টিকে এরই মধ্যে ‘বিস্ময়কর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসের আদালতে আইজীবীদের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করেন হান্টার। 

এর আগে তিনি এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। ফলে মামলার দীর্ঘমেয়াদি বিচার কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। 

আদালতের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাদক ও বিলাস দ্রব্য কেনা এবং যৌনকর্মীর সেবা নেওয়ার তথ্য গোপন করেছেন হান্টার বাইডেন। এভাবে ১৪ লাখ মার্কিন ডলারের সরকারি কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি।

গত জুনে ডেলাওয়ারের আদালত হান্টার বাইডেনকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। ওই মামলায় সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।

বৃহস্পতিবার আদালত তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলার ৯টি অভিযোগের প্রতিটি পড়ে শোনানোর সময় ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেন বলেন, ‘দোষী’। এরপর দোষ স্বীকারের পর এক ই-মেইল বিবৃতিতে হান্টার বাইডেন বলেন, আমি আমার পরিবারকে আর কষ্টের মধ্য দিয়ে, আরও গোপনতা লঙ্ঘন বা অপ্রয়োজনীয় বিব্রতকর মুহূর্তের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাব না।’ 

হান্টারের আইনজীবী অ্যাবে লাওয়েল বলেন, ‘হান্টার তার পরিবারকে আজ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং এটি তার পক্ষ থেকে নেওয়া একটি সাহসী ও আন্তরিক পদক্ষেপ।’ 

এর আগে আদালত থেকে জানানো হয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত হলে আসামির সর্বোচ্চ ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে। সূত্র: এপি

ইসরায়েলে লেবাননের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
ইসরায়েলে লেবাননের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের মেতুলা শহরে ট্যাংক বহর লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। সংগৃহীত

উত্তর ইসরায়েলের মেতুলা শহরে ট্যাংক বহর লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ। এতে বেশকিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান। তবে হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে কানের সংবাদে জানানো হয়। 

কান জানিয়েছে, লেবানন ভূখণ্ড থেকে তিনটি এন্টি-ট্যাংক মিসাইল দ্বারা মেতুলায় হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। 

অন্যদিকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি দখলদাররা নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা এবং আর্টিলারি শেল দ্বারা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ। এই হামলার ফলে তেল-আন-নাস এবং আল-হামাম এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নিশ্চিত করেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননের কমপক্ষে ১৭টি এলাকায় নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস দিয়ে তৈরি গোলাবারুদ ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

সাদা ফসফরাসের ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। গাজায়ও নিয়মিত সাদা ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। সূত্র: আল-জাজিরা

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ এএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ এএম
কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হিলসাইড এনডারাশা একাডেমি। ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ার এক বোর্ডিং স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশের এক মুখপাত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় ডরমেটরিতে ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২৪। বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে। স্কুলের বেশির ভাগ ভবন কাঠের হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়ায়।

হিলসাইড এনডারাশা একাডেমি নামের ওই স্কুলটিতে সরকারি কয়েকটি সংস্থা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, আর ১৪ জন আহত হয়েছে। আমাদের টিম এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে।’ 

দেশটির সিটিজেন টেলিভিশনের খবর বলছে, ‘আগুনে পুড়ে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রুটো বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই মর্মান্তিক ঘটনা সুচারুভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কেনিয়ার রেড ক্রস জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুলটি ঘিরে রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর বেশির ভাগই ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থী মারা যায়।

২০০১ সালে নাইরোবির বাইরে অবস্থিত কিয়াঙ্গুলি সেকেন্ডারি স্কুলে আগুনের ঘটনায় ৫৮ স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়। ২০১২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার হোমা বে কাউন্টির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে আট শিক্ষার্থী মারা যায়। বিবিসির খবর বলছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কেনিয়ায়।

২০২২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার এক ডরমেটরি পুড়ে যায়। সে সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি