যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে দুই প্রবাসী বাংলাদেশিকে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন প্রবাসীরা।
স্থানীয় সময় গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৮) ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৪৩)। বাবুল মিয়া আগে সপরিবারে থাকতেন ম্যারিল্যান্ডে। সম্প্রতি তিনি বাফেলোতে বাড়ি কেনেন। আর ইউসুফ গত ডিসেম্বরে স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ বাফেলোতে যান স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য। ঘটনার সময় তারা বাড়ির সংস্কারকাজ করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর একটি সোয়াট টিমকে ডাকা হয়। স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
প্রবাসীদের বিক্ষোভ
এমন ঘটনায় কানাডা সীমান্তসংলগ্ন বাফেলোতে বসবাসরত অর্ধলক্ষাধিক প্রবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রবাসীরা। হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
বাফেলো সিটির মেয়র বাইরেন ডব্লিউ ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন। তারা কমিউনিটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশের ঘণ্টা দুয়েক পর সিটির নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে সন্দেহভাজন ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে জোড়া খুনের সংবাদ জানার পর পরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন ও বাফেলো কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।