ঢাকা ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা ব্যক্তিই তার রানিংমেট

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম
ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা ব্যক্তিই তার রানিংমেট
ছবি: সংগৃহীত

কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই গত সোমবার (১৫ জুলাই) উইসকনসনের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে উপস্থিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় উপস্থিত জনতাকে বলতে শোনা যায় ‘ফাইট’, ‘ফাইট’, ‘ফাইট’। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের প্রথম রাতে মনোযোগ নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে, তার মধ্যে একটি হলো- ট্রাম্পের রানিং মেট বেছে নেওয়ার বিষয়টি।

ওই আয়োজনে উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প রানিং মেট হিসেবে বেছে নেন ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে। আগামীতে ট্রাম্প বিজয়ী হলে তিনিই হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। 

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন জেডি ভ্যান্স। ওই বছর এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেছিলেন, আমি কখনই ট্রাম্পের লোক নই। আমি তাকে কখনই পছন্দ করিনি।’ ওই একই বছর ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন ভ্যান্স। পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের একজন।

রানিং মেট বেছে নেওয়ার বিষয়টি বেশ গোপন রেখেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণা দেওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে তিনি ভ্যান্সকে ফোনে নিজ সিদ্ধান্ত জানান। সিএনএন বলছে, ভ্যান্সের যোগাযোগ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ট্রাম্পের জনতুষ্টিবাদী বিষয়গুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গত শনিবার হামলার শিকার হন ট্রাম্প। সে সময় তিনি এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন। গুলি ট্রাম্পের কান স্পর্শ করে বের হয়ে যায়। গোটা বিষয়টির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিভক্তির চিত্রটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে ওই ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ট্রাম্প দুই নেতাই মার্কিনিদের এক হওয়ার আহ্বান জানান। 

এর আগে বাইডেন ট্রাম্পকে মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। গত সোমবার এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পকে নিশানা বানানো উচিত গত সপ্তাহে এমন মন্তব্য করে তিনি ভুল করেছেন। সিক্রেট সার্ভিসের উপস্থিতি সত্ত্বেও ট্রাম্পকে হত্যার জন্য এত কাছে কীভাবে বন্দুকধারী আসতে পেরেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

এদিকে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন চলবে চার দিন। আগামী বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বক্তব্য রাখবেন। সে অনুষ্ঠানেই তার আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাকাপাকিভাবে বাইডেনের রাজনৈতিক ও নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি। 

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অনেকটা নীরবই হয়ে গেছে বাইডেন বিতর্ক। ওই ঘটনার আগে বেশ সরবভাবেই অনেকে প্রশ্ন তুলছিলেন¬- বাইডেন আদৌ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো অবস্থায় আছেন কি না? ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের পর অনেকেই তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। 

ট্রাম্পের রানিং মেট ভ্যান্সকে তার ‘ক্লোন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাইডেন। গত সোমবার ওই মন্তব্য করেন তিনি। মতামত জরিপে এখনো কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে নভেম্বরের নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা এখনই বলা মুশকিল। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন। 

মোদি-বাইডেন ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে : হোয়াইট হাউস

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৩ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
মোদি-বাইডেন ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে : হোয়াইট হাউস
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সংগৃহীত ফটো

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের গত সোমবারের ফোনালাপে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিনি টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপের সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন।

ওদিকে সোমবার হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার কোনো উল্লেখ ছিল না। ফলে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়টি নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, দুই নেতা বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবার আলোচনা করেছেন।

হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন ও মোদির মধ্যে মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফর নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়েও কথা হয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে ঐতিহাসিক সফরের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। জ্বালানি খাতসহ ইউক্রেনের জন্য শান্তি ও চলমান মানবিক সহায়তার বার্তার জন্যও মোদির প্রশংসা করেন বাইডেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে কোয়াডের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় মোদি জানান, ‘আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি, এবং সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিগগিরই বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়েছি।’

মোদি আরও বলেন, তিনি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন।

‘শিগগিরই শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা আমি পুনরায় ব্যক্ত করি।’ বলেন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের ফলে সৃষ্ট যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মোদি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা

অমিয়/

জাপানের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বিমানের অনুপ্রবেশ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২২ এএম
জাপানের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বিমানের অনুপ্রবেশ
ছবি: সংগৃহীত

চীনের গোয়েন্দা বিমান আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাপান। এ ধরনের প্রত্যক্ষ লঙ্ঘনের ঘটনা এবারই প্রথম। জাপানের মন্ত্রিপরিষদের মুখ্যসচিব এ লঙ্ঘনের ঘটনাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর প্রতিবাদে টোকিওতে চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তাকেও ডেকে পাঠিয়েছেন।

এমন একটি সময়ে এ ঘটনা ঘটল যখন ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে আঞ্চলিক প্রভাব প্রশ্নে এক রকম প্রতিযোগিতায় নেমেছে চীন। গত সোমবার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে চীনের আকাশযান। ওই সময় জাপানিরা বিমানটিকে সতর্ক করে। তবে কোনো অস্ত্র বা ফ্লেয়ার গান ব্যবহার করা হয়নি বলে উল্লেখ করেছে জাপানের সম্প্রচারক এনএইচকে। তবে এ ঘটনায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

জাপানের সরকার বলছে তারা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে সে দাবিও জানিয়েছে তারা। বেইজিং এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

এর আগে টোকিও পূর্ব চীন সাগরে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে চীনের জাহাজের উপস্থিতি শনাক্ত করেছিল। ওই দ্বীপপুঞ্জকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে। সূত্র: বিবিসি 

মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা কমেছে

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের শঙ্কা কমেছে
প্রতীকী ছবি/ সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার শঙ্কা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্সের জেনারেল সি কিউ ব্রাউন। সোমবার (২৬ আগস্ট) তিনি এ তথ্য জানান। তবে ইরান এখনো উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এ চেয়ারম্যান। 

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ পাল্টাপাল্টি হামলা চালানোর পর বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি কমেছে এমনটাই ধারণা তার। ব্রাউন বলছেন, ইসরায়েল এ দুটি হামলার ঝুঁকি ছিল। তার মধ্যে একটি কেটে গেছে। হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। ইরান এখনো হামলা চালায়নি। 

প্রসঙ্গত, তেহরানে গত মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ইরান ইসরায়েলকে জবাব দেওয়ার হুমকি দেয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল হানিয়াকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেনি। 

তাৎক্ষণিকভাবে আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি কমেছে কি না সে প্রশ্নে ব্রাউন বলেছেন, ‘অনেকটা হ্যাঁ’। তিনি আরও জানান, পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি কীভাবে সম্পন্ন হয়, সেটির ওপর। ইরানের হামলার ওপর নির্ভর করবে ইসরায়েলি কী ধরনের পাল্টা আক্রমণ চালায়, যা বড় পরিসরে নির্ধারণ করবে সংঘাত কোন পথে গড়াবে। 

সিরিয়া, ইরাক ও জর্ডানের ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ওই জেনারেল। ব্রাউন আরও জানান, এ রকমটি হলে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানগতভাবে প্রস্তুত। 

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকালেও দেইর এল-বালাহ ও খান ইউনিসে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন মারা গেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার হাসপাতালগুলোকেও চাপে রেখেছে। 

সেগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। গাজার বেইত লাহিয়া কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, চিকিৎসা খাতে জ্বালানি যেতে দিচ্ছে না ইসরায়েল এবং তারা এ খাতটির সম্পূর্ণ ধ্বংসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ৪০ হাজার ৪৭৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৬৪৭ জন। এ ছাড়া পুরো গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। 

মানুষকে আশ্রয়হীন অবস্থায় ক্ষুধায় কষ্ট করতে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রচুর লাশ পড়ে আছে। সেগুলো রয়ে গেছে গণনার বাইরে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

পশ্চিমবঙ্গে মমতার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও, সংঘর্ষ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১১ এএম
পশ্চিমবঙ্গে মমতার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও, সংঘর্ষ
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ছুড়েন। ছবি: সংগৃহীত

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উত্তাল কলকাতা। গতকাল হাজারো মানুষ রাজ্য সচিবালয় ভবন নবান্ন ঘেরাও করে। গতকাল সকালের দিকে ‘নবান্ন অভিযান’ শুরু করে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’। 

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গতকাল কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।  মমতার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকে শত শত মানুষ সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশসহ অনেক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদ মিছিলের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি ছাত্র-জনতাকে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস গতকাল সমাবেশে সহিংসতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে। বিক্ষোভকারীদের যেকোনো পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করছে পুলিশ।

পুলিশ ব্যাপক বলপ্রয়োগ করলেও আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিমুখে যেতে অনড় অবস্থানে থাকে। তারা ব্যারিকেডের ওপরে উঠেও ‘দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ’ স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও দেখা যায় এই স্লোগান। কারও কারও হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে।

এদিকে কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তাদের ইট-পাটকেলে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মতে, হাওড়া ব্রিজ, সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুল এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এদিকে নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক চার ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। তাদের ছাড়ানোর জন্য যা আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন এবং যত অর্থ প্রয়োজন তা তিনি বহন করবেন।

শুভেন্দু আরও বলেছেন, আন্দোলনকারীদের মারধর করা হলে তিনি পথে নামবেন। প্রয়োজনে অবরোধ করবেন। এ ছাড়া দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে আজ বুধবার ‘রাজ্য স্তব্ধ’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় প্রথমে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও এবার মিথ্যা নির্ণয় পরীক্ষায় (লাই ডিটেক্টর টেস্ট) দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, লাই ডিটেক্টর টেস্টে সঞ্জয় জানিয়েছেন, তিনি সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেই ওই তরুণীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। মৃত অবস্থায় দেখে তিনি ঘটনাস্থল থেকে ভয়ে পালিয়ে যান। সূত্র: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা

মায়ানমার সীমান্তে চীনের সেনার টহল, মহড়া

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
মায়ানমার সীমান্তে চীনের সেনার টহল, মহড়া
ছবি: সংগৃহীত

চলতি সপ্তাহে মায়ানমার সীমান্তের কাছে টহল দিয়েছে চীনের সেনারা। বর্তমানে মায়ানমারে তীব্র গৃহযুদ্ধ চলছে। জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা। রাখাইনের প্রায় পুরোটাই চলে গেছে জান্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সব মিলিয়ে এসব সংঘাতের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে চীন।

ভয়েস অব আমেরিকার খবর বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড। তারা নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

মায়ানমারের যুদ্ধের প্রভাব চীনের ভেতরে এরই মধ্যে বেশকিছু প্রভাব ফেলেছে। যেমন- মায়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিগত বিদ্রোহীদের জোট জান্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে সফল হামলা চালায়। তবে জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যভ্রষ্ট গোলার আঘাতে চীনের ভেতর পাঁচজন আহত হয়।

ইউনানের স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট চার জায়গায় সেনা মহড়া চলবে। সশস্ত্র টহল, যৌথ বিমান ও স্থল টহলের মতো কর্মকাণ্ড চালাতে দেখা যাবে সেনা ইউনিটগুলোকে। দেশটির সাউদার্ন কমান্ড এরই মধ্যে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

এবারই প্রথম নয়। গত নভেম্বর মাসেও মায়ানমার সীমান্তের কাছে পাঁচটি মহড়া চালায় চীনের সেনাবাহিনী। মায়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও যুদ্ধের বিষয়টিকে চীন সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়্যাং ই। 

গত জানুয়ারিতে মায়ানমারে যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রেখেছিল চীন। তবে জুন মাসে সে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের এক সদস্য নতুন করে হামলা চালালে দেখা দেয় অস্থিরতা।

তবে মায়ানমারের সেনা সরকারের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং মনে করেন চীনের ইঙ্গিতেই চলছে এসব। তিনি এর আগে চীনের দিকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ তোলেন, বিদেশি রাষ্ট্র জাতিগত বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা