ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীনে তাপপ্রবাহে নতুন রেকর্ড

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
চীনে তাপপ্রবাহে নতুন রেকর্ড
ছবি: সংগৃহীত

চীনের পূর্বাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় গত শনিবার রেকর্ডমাত্রায় পৌঁছেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য।

সূত্রানুসারে, পূর্বাঞ্চলীয় হ্যাংজু শহরের তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এটি পূর্বের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ২০২২ সালে এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ঝেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হ্যাংজুতে ১ কোটি ২৫ লাখ লোকের বসবাস। এটি প্রযুক্তির কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। আবহাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ভুক্তভোগী লিখেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি গলে যাচ্ছি।’

গত শনিবার বিকেলে চীনের উষ্ণতম ১০টি শহরেরই অবস্থান ছিল এই ঝিজিয়াং প্রদেশে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন। দেশটি অঙ্গীকার করেছে তারা ২০৩০ সাল নাগাদ নিঃসরণ কমিয়ে আনবে এবং ২০৬০ সাল নাগাদ নিঃসরণ শূন্যতে নেমে আসবে। সূত্র: এএফপি 

জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎকার নিরাপত্তা পরিষদ একটি ‘অকার্যকর’ ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
নিরাপত্তা পরিষদ একটি ‘অকার্যকর’ ব্যবস্থা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি পুরনো, অন্যায্য এবং অকার্যকর একটি ব্যবস্থা। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় সামগ্রিকভাবে এই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এর স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে বাধা হয়েছে। গুতেরেস এ সম্পর্কে বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ আজকের বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সত্য হলো, সুদান, গাজা এবং ইউক্রেনে চলমান সংঘাত বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদ নিজের সক্ষমতা প্রমাণে পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

গুতেরেস, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১১ মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অন্য অঙ্গসংস্থাসমূহ বিশেষত মানবিক সংস্থাসমূহ ফিলিস্তিনিদের ধারাবাহিকভাবে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ তার রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে এই সংঘাত বন্ধ করতে না পারায় জাতিসংঘের অন্য সংস্থাগুলো আশাহত হয়েছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ মানে শুধু নিরাপত্তা পরিষদ নয়।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মীরা। এটাও সত্য, মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে ভাবে, নিরাপত্তা পরিষদ আমাদের (জাতিসংঘ) ব্যর্থ করেছে।’

গুতেরেস বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা মাঠপর্যায়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতায় ফেলেছে।’
গাজায় জাতিসংঘের শরণার্থী ও ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, ‘‘গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সংস্থাটির ২০০ কর্মী নিহত হয়েছেন। সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও তাদের কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ইসরায়েল সংস্থাটির কর্মীদের ‘জঙ্গীবাদে’ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল। এর ফলে কিছু দেশ ইউএনআরডব্লিউএতে অর্থায়ন আটকে রেখেছিল। এরপরও সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’’

সাক্ষাৎকারে আন্তোনিও গুতেরেস অভিযোগ করেন, ‘বিশ্বের বড় শক্তিগুলো গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রদর্শন করছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এরপরও তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরিভাবে একটি দায়মুক্তির পরিবেশে বসবাস করছি।’ জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে আরও চাপ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে আরও কঠোর হতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি। একই সময়ে আমরা বলেছি, দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন  গুতেরেস। ইসরায়েলের এই জোরপূর্বক বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরে সম্ভাব্য যেকোনো দখলদারি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হবে’।

ইসরায়েলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, পশ্চিম তীরে উচ্ছেদ, বসতি স্থাপন, জমি দখল এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসরায়েল সরকার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে অবমূল্যায়নের চেষ্টা করছে। অবশ্যই এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারদের পৈশাচিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী গাজা শহর এবং খান ইউনিসে হামলা চালাচ্ছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় উপতক্যাটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিহতের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ১৮২ জনে। সূত্র: আল-জাজিরা

আন্দোলনকারীদের চমকে দিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে মমতা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
আন্দোলনকারীদের চমকে দিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে মমতা
হঠাৎই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রতিবাদকারীদের অনেকটা চমকে দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি হঠাৎই উপস্থিত হন সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে। সেখানে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় মমতা বলেন- মুখ্যমন্ত্রী নয়, দিদি হিসেবে এসেছি এখানে।

মমতার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমারও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি।

গত শুক্রবার রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর নিম্নচাপের কারণে শনিবার দিনভর ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসও জানিয়েছিল। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বলেন, শুক্রবার সারারাত ঝড়়বৃষ্টি হয়েছে। আপনারা যেভাবে বসে আছেন, তাতে আমার কষ্ট হচ্ছে। ৩৪ দিন ধরে আমিও রাতের পর রাত ঘুমাইনি। কারণ আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়।

আন্দোলনকারীদের সব দাবি সরকার বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব। আমি একা সরকার চালাই না। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি সবার সঙ্গে আমি আপনাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করব। যদি কেউ দোষী হন, শাস্তি পাবেন। সিবিআইকে অনুরোধ করব, দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। দোষীদের ফাঁসি হোক। কেউ দোষী থাকলে আমি নিশ্চয় ব্যবস্থা নেব। এটুকু বলতেই আমি এসেছি।’

এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা কাজে ফিরুন। আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেব না।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিদেশি সহায়তা চাইলেন সামরিক প্রধান

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ এএম
বিদেশি সহায়তা চাইলেন সামরিক প্রধান
বন্যাকবলিত মায়ানমারের জন্য বিদেশি সহায়তার অনুরোধ। ছবি: সংগৃহীত

বন্যাকবলিত মায়ানমারের জন্য বিদেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাং। সেখান থেকে এ রকম অনুরোধ আসার ঘটনাকে ‘বিরল’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিন বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

এর ওপর আরও প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে বন্যা ও ভূমিধস। টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে এশিয়ায় চলতি বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা থেকে রেহাই পায়নি মায়ানমারও। ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস তৈরি হয়েছে দেশে। 

ইয়াগির আঘাতে দেশটিতে অন্তত ৩৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে মায়ানমারের জান্তা সরকার। এ ছাড়া ২ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং বলেছেন, ‘কর্মকর্তাদের বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে উদ্ধার ও সহায়তার প্রশ্নে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।’ 

উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, ‘উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব সামাল দেওয়া জরুরি।’ আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে বিদেশ থেকে সহায়তা আনার কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছিল।

দেশটির স্বাধীন গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত ‘মায়ানমার নাও’ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সেখানে মৃতের সংখ্যা ৬৬। ইয়াগি মায়ানমার ছাড়াও ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও ফিলিপিন্সে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং অন্তত ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এর জেরে।

মায়ানমারের কিছু ভবনের নিচের অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নারী ও শিশুসহ বাসিন্দাদের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে হয়েছে। অনেককে উদ্ধারকর্মীরা নৌকা দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতার বেশকিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।  

সামরিক এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মায়ানমারের বেশকিছু এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তারা ভূমিধসে কয়েক ডজন মানুষের চাপা পড়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। জান্তা সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার ছয়শ’ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা  

কিছু সরকারি চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা রাখবেন না কমলা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
কিছু সরকারি চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা রাখবেন না কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস

নির্বাচিত হলে কিছু সরকারি চাকরির জন্য কলেজ ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে নেবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেনসিলভানিয়ায় বক্তব্য রাখার সময় ওই মন্তব্য করেন তিনি।

কমলা হ্যারিস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি অপ্রয়োজনীয় কিছু ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে নেব, যাতে চার বছরের ডিগ্রি ছাড়াও সরকারি চাকরি পেতে সুবিধা হয়।’ 

ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শুরুতে এক জরিপে তারা দেখেছে ২৫ বছরের কম বা বেশি বয়সী ৬২ শতাংশের বেশি মার্কিনির কোনো স্নাতক ডিগ্রি নেই। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতি দুই মার্কিন ভোটারের মধ্যে তিনজনেরই কোনো কলেজ ডিগ্রি ছিল না। 

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গত শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কলেজ ডিগ্রির বাইরেও যে সফলতার পথ রয়েছে, সেটিকে মূল্যায়ন করা। যেমন- শিক্ষানবিশ বা কারিগরি কর্মসূচি। ডিগ্রির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির দক্ষতা প্রকাশ পায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কমলা আশ্বাস দেন, ‘বেসরকারি খাতকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাব।’ সূত্র: রয়টার্স

যে শহরে দেখানো যাবে না জীবাশ্ম জ্বালানির বিজ্ঞাপন

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
যে শহরে দেখানো যাবে না জীবাশ্ম জ্বালানির বিজ্ঞাপন
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহর। ছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের কোনো স্থানে এখন থেকে আর পেট্রল, ডিজেল, বিমান পরিবহন সংস্থা ও ক্রুজ জাহাজের কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। কারণ এগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির প্রচার চালায়, যা বৈশ্বিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অভিনব এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে শহরটি বিশ্বের প্রথম শহরে পরিণত হলো, যারা জীবাশ্ম জ্বালানির প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

শুধু জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, জলবায়ুর ক্ষতি করে এমন কোনো পণ্যেরই বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না শহরটিতে। গত বৃহস্পতিবার এক আইনের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই নিয়মের কারণে বিলবোর্ড, বাস ছাউনি থেকে শুরু করে শহরের রাস্তা থাকবে জলবায়ুবিরোধী বিজ্ঞাপনমুক্ত।

চলতি বছরের শুরুতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা যেভাবে তামাকের বিরুদ্ধে যে রকম দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল, সে রকমভাবেই যাকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যাতে সামনে নিয়ে আসা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, গুতেরেসের ওই মন্তব্যের পরই এ রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল হেগ কর্তৃপক্ষকে। পুরো বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে।

আগামীতে আরও কিছু শহর একই পথে হাঁটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে মে মাসে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছিল স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের কাউন্সিলও। তবে হেগে যে নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়েছে, তা একেবারে আইনসিদ্ধ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান