অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে গত অক্টোবরের পর থেকে তিনটি সামরিক স্থল অভিযান পরিচালনার পর আবার সেখানে উচ্ছেদ আদেশ জারি করল দখলদার দেশ ইসরায়েল। অঞ্চলটি থেকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। দক্ষিণ গাজার শহরটির বাস্তুচ্যুত অধিবাসীদের নিজ আবাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই আদেশ জারি করা হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের ফোনে ম্যাসেজ ও অডিও বার্তা পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেয় ইসরায়েল।
এক্সের পোস্টে বলা হয়, ‘আপনাদের নিজের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই এই এলাকা থেকে অবিলম্বে সরে যেতে হবে। আপনি যে এলাকায় আছেন, সেটি একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।’
আদেশ জারির পর গত শনিবার মধ্যরাতেই গাজার পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-মাওয়াসি এবং উত্তরের দেইর-আল-বালাহইয়ের দিকে ছুটতে শুরু করেছেন খান ইউনিসের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা।
বাস্তুচ্যুতদের একজন ২৮ বছর বয়সী জাকি মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত। দশমবারের মতো আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়স্থল ছাড়তে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ তাদের জিনিসপত্র, সন্তান-সন্ততি, আশা এবং ভয় সঙ্গে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কারণ এখানে কোনো নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।’
এদিকে নতুন করে বিতর্কিত মন্তব্য করে আবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উচিত গাজায় (ইহুদিদের) অভিবাসনে উৎসাহিত করা এবং স্থায়ীভাবে উপত্যকাটি দখল করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরোপুরি আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত হামাসকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’ কট্টর ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত বেন-গভির শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিপক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করে আসছেন।