জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একে অপরকে দুষছে রাশিয়া-ইউক্রেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এনারহোদার শহরে অবস্থিত। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। গত রবিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রেটিতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীই ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। কিয়েভকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আগুন দেওয়ার জন্য তিনি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রেটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মস্কো দখল করে রেখেছে বলেও জানান জেলেনস্কি।
অন্যদিকে জাপোরিঝিয়ায় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া গভর্নর ইয়েভজেনি বালিটস্কি বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারে আগুন লেগেছে। আর ইউক্রেনের হামলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিদ্যুৎকেদ্রের তেজস্ক্রিয়ার মাত্রা হামলার পর বৃদ্ধি পায়নি জানিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান গভর্নর।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে মস্কো। এতদিন যুদ্ধ চলেছে ইউক্রেনের ভেতরে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছে।
কারস্কে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে গতকাল জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনা কারস্কের ভেতরে ঢুকে পড়ায় ওই অঞ্চলের নিকটবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। গভর্নর অ্য়ালেক্সি স্মিরনভ বলেছেন, ‘যেসব জায়গা সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ নয়, সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
রাশিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়ার পর কারস্ক থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারস্কে ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়লে রাশিয়া ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। রাশিয়ান ওয়ার ব্লগারদের মতে, গতকাল সোমবারও কারস্কে রুশ সেনা ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে এবং সেখানে এরই মধ্যে রুশ কিছু ভূখণ্ড ইউক্রেনের দখলে চলে গেছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত রবিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘রাশিয়া কারস্ক থেকে প্রায় দুই হাজার বার ইউক্রেনে হামলা করেছে। তার একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এই আক্রমণের একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দরকার ছিল।’ সূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে