ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতার গুরুত্ব: ভারতের প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতার গুরুত্ব: ভারতের প্রধান বিচারপতি
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতার গুরুত্ব কতটা।’ 

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সব মূল্যবোধ উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে দেশের জনগণের পরস্পরের প্রতি এবং জাতির প্রতি যে কর্তব্য রয়েছে, তা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় স্বাধীনতা দিবস।’

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের জনগণের একে অপরের প্রতি যে দায়িত্ব আছে, তা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জাতি সংবিধানের মূল্যবোধগুলোকে বুঝতে পারছে। বাংলাদেশে আজকে যা ঘটছে, স্বাধীনতা আমাদের জন্য কতটা মূল্যবান, তা পরিষ্কারভাবে মনে করিয়ে দিচ্ছে। স্বাধীনতা ও মুক্তি লাভ সহজ, কিন্তু এ বিষয়গুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অতীতের ঘটনাগুলো জানা-বোঝা দরকার।’

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এই প্রেক্ষাপটে ভারতে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে এসব কথা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। সূত্র: ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই

বিদ্যুতের পাওনা টাকা চেয়ে ড. ইউনূসকে আদানির চিঠি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
বিদ্যুতের পাওনা টাকা চেয়ে ড. ইউনূসকে আদানির চিঠি
বিদ্যুতের পাওনা টাকা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি

বিদ্যুত্‍ বাবদ বকেয়া টাকা চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। দ্রুত ৮০ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য চিঠিতে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতীয় ওই ব্যবসায়ী। 

গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্য ইকোনমিক টাইমস এই চিঠির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এই বিশাল অঙ্কের টাকা পায়। চিঠিতে আদানি লিখেছেন, ‘ঋণদাতারা এখন আমাদের প্রতি কঠোর হয়েছে। কারণ আমরা বাংলাদেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি।’

আদানি বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ নিয়মের ভিত্তিতে পরিশোধ করারও অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আদানি বাংলাদেশের কাছে যে ৮০ কোটি ডলার পান, তার মধ্যে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ বিলম্বিত হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বিদ্য়ুত্‍ সরবরাহের জন্য় বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপের ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে।

বাংলাদেশে ৮ থেকে ৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানির ৮০ কোটি ডলার পাওনা। ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে আদানি পাওয়ার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। আদানি তার কোম্পানির ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালও বাংলাদেশে পাঠান।

পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো হবে না : মমতা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো হবে না : মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নতে সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন তিনি।

বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করা হচ্ছে জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে বাংলার নামে বদনাম করা হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ জুটেছে। যারা এখান থেকে পড়াশোনা করে, খেয়েদেয়ে মানুষ হয়ে বাইরে গেছেন, তারা একতরফা কথা শুনে বাংলার বদনাম করছেন।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তারা তো দুই পক্ষের কথা শুনতে পারছেন না। তাদের বোঝা উচিত- বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র। ভারত আলাদা রাষ্ট্র। এটি আপনারা মাথায় রাখতে ভুলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ অন্য একটি রাষ্ট্র, তাদের আমরা সম্মান করি। তাদের ভাষাকে সম্মান করি। এখানে বাংলাদেশ হবে না।’

আরজি কর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বাংলায় একটি ঘটনা ঘটলেও তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা কেউ তা সমর্থন করি না। চুপচাপ আছি। নীরবে বেদনা সহ্য করছি। পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বারণ করেছি।’ 

চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে পরিষেবা দিন।’

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের টালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্প্রতি চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি। চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা পাননি তিনি। মমতা জানান, ওই হাসপাতালগুলোর নাম তাদের কাছে রয়েছে। পুলিশের একজন ওসি রোগী হিসেবে গিয়েছিলেন। তাকে ভর্তি করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওই হাসপাতালগুলোর কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’ 

এ সময় যারা ভর্তি করতে অস্বীকার করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

আরজি করে ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার কাণ্ড থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় সাত লাখ রোগী বহির্বিভাগে সেবা পাননি। হাসপাতালে প্রায় ৭০ হাজার রোগীকে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সাত হাজারের বেশি পূর্বপরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। 

মণিপুরে সহিংসতা : ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, ৩ জেলায় কারফিউ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
মণিপুরে সহিংসতা : ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, ৩ জেলায় কারফিউ
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে চলমান সহিংসতার মধ্যে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে আবারও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্রদের বিক্ষোভের পর রাজধানী ইম্ফলসহ তিন জেলায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও। চলমান সহিংসতার মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

কারফিউ আরোপ করা জেলাগুলো হলো ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম ও থাউবাল। এর আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিমে কারফিউ শিথিল করার নির্দেশ দেওয়া ছিল। কিন্তু পরে আবার নতুন নির্দেশনা জারি করে সেই শিথিল আদেশ বাতিল করা হয়।     

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবর বলছে, মণিপুরে সংঘাত আবার বেড়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা ও বিক্ষোভের ঘটনায় অশান্তি বেড়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের তাদের বাসস্থানের বাইরে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, গণমাধ্যম ও আদালতের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কারফিউর আওতামুক্ত থাকবেন। এ ছাড়া পৌরসভার কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ কর্মী, পেট্রলপাম্পের কর্মী, ফ্লাইটের যাত্রী ও মিডিয়াকর্মীদেরও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটিতে চলমান সহিংসতায় মোট ৮ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১২ জন। মণিপুরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। গত সোমবার ইম্ফলের খোয়াইরামবান্দ উইমেন মার্কেট এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় ওই মার্কেটের নারী ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেন। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার মণিপুরের সচিবালয় ও রাজভবনে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ সময় রাজ্যের আঞ্চলিক ও প্রশাসনিক অখণ্ডতার সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

গত বছরের মে মাস থেকে ইম্ফল উপত্যকার মেইতেই ও কুকি-জো গোষ্ঠীর মধ্যকার জাতিগত সহিংসতায় দুই শরও বেশি মানুষ মারা যায়। সে সময় বাস্তুচ্যুত হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে 

 

ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির আঘাত, নিহত ৬৩

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির আঘাত, নিহত ৬৩
টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে একটি সেতু। ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েতনামের টাইফুন ইয়াগির আঘাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০ জন। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশটির উত্তরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।

ইয়াগির ফলে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।

দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫২ জন আহত হয়েছেন।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ৩০ বছরের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন এটি। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঘন্টায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আঘাত হানে ইয়াগি। এতে বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে যায়, বেশ কিছু ভবন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন এবং বহু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে।

থাই নগুয়েন ও ইয়েন বাই শহরের কিছু অংশে একতলা বাড়িগুলো মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। বাসিন্দারা সাহায্যের জন্য ছাদে অপেক্ষা করছেন।

হ্যানয়ের কাং হা বা কাই নদী হিসেবে পরিচিত রেড রিভারের তীরবর্তী এলাকা আংশিকভাবে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 
 
নদীর কাছাকাছি বসবাসকারী ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দা ফান থি তুয়েত জানান, তিনি এর আগে কখনো এত বেশি পানি দেখেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের জীবন বাঁচাতে আমাকে উচু ভূমিতে আসতে হয়েছে। আমরা সঙ্গে কোনো আসবাবপত্র আনতে পারিনি। এখন সবকিছুই পানির নিচে।’ সূত্র: বিবিসি

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৬

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৬
সিরিয়ার মধ্য হামা প্রদেশের মাসিয়াফের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি হামলার স্থানে সিরিয়রা ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করছেন। এএফপি

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের হামা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সেনাসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছেন। 

গত রবিবার রাতে চালানো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সমরাস্ত্র সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক ও ভবন।

হামার স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক মাহের আল-ইউনেসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সানা।

সিরিয়ার এক মিলিটারি সোর্স সানাকে জানিয়েছেন, লেবাননের আকাশসীমা থেকে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

তিনি আরও জানান, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় তাদের অভিযানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

দুটি আঞ্চলিক গোয়েন্দা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এর আগেও হামলাস্থল মাসাফে অবস্থিত রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন সম্পর্কিত গবেষণা কেন্দ্রটি কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছিল। এই গবেষণা কেন্দ্রে ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল অস্ত্র উৎপাদনে নিয়োজিত আছে বলে মনে করা হয়। মাসাফের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক জানান, হতাহতরা বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সিরিয়ায় ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক শ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বিশেষ করে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালায় তারা। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তখন থেকে সিরিয়ায়ও ইসরায়েলি বিমান হামলা তীব্র হয়েছে।

এদিকে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের নতুন শর্তজুড়ে দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি নাকচ করে দিয়েছেন হামাসের মুখপত্র বাসেম নাঈম। হামাসের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের এই সম্পর্কিত কোনো আলোচনাই হয়নি বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছেন তারা ‘আলোচনাকে বিষাক্ত’ করে তুলেছেন। তবে হামাস যৌক্তিক বিষয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে যেকোনো সময় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাসেম। সূত্র: আল-জাজিরা