কেনিয়ার এক বোর্ডিং স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশের এক মুখপাত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় ডরমেটরিতে ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২৪। বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে। স্কুলের বেশির ভাগ ভবন কাঠের হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়ায়।
হিলসাইড এনডারাশা একাডেমি নামের ওই স্কুলটিতে সরকারি কয়েকটি সংস্থা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, আর ১৪ জন আহত হয়েছে। আমাদের টিম এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে।’
দেশটির সিটিজেন টেলিভিশনের খবর বলছে, ‘আগুনে পুড়ে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রুটো বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই মর্মান্তিক ঘটনা সুচারুভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কেনিয়ার রেড ক্রস জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুলটি ঘিরে রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর বেশির ভাগই ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থী মারা যায়।
২০০১ সালে নাইরোবির বাইরে অবস্থিত কিয়াঙ্গুলি সেকেন্ডারি স্কুলে আগুনের ঘটনায় ৫৮ স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়। ২০১২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার হোমা বে কাউন্টির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে আট শিক্ষার্থী মারা যায়। বিবিসির খবর বলছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কেনিয়ায়।
২০২২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার এক ডরমেটরি পুড়ে যায়। সে সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি