ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ এএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ এএম
কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হিলসাইড এনডারাশা একাডেমি। ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ার এক বোর্ডিং স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশের এক মুখপাত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় ডরমেটরিতে ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া ওই স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২৪। বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে। স্কুলের বেশির ভাগ ভবন কাঠের হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়ায়।

হিলসাইড এনডারাশা একাডেমি নামের ওই স্কুলটিতে সরকারি কয়েকটি সংস্থা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, আর ১৪ জন আহত হয়েছে। আমাদের টিম এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে।’ 

দেশটির সিটিজেন টেলিভিশনের খবর বলছে, ‘আগুনে পুড়ে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রুটো বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই মর্মান্তিক ঘটনা সুচারুভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বলেছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কেনিয়ার রেড ক্রস জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুলটি ঘিরে রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর বেশির ভাগই ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থী মারা যায়।

২০০১ সালে নাইরোবির বাইরে অবস্থিত কিয়াঙ্গুলি সেকেন্ডারি স্কুলে আগুনের ঘটনায় ৫৮ স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়। ২০১২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার হোমা বে কাউন্টির এক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে আট শিক্ষার্থী মারা যায়। বিবিসির খবর বলছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কেনিয়ায়।

২০২২ সালে পশ্চিম কেনিয়ার এক ডরমেটরি পুড়ে যায়। সে সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ: পরিবেশ উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সুন্দরবনে ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ সালে সুন্দরবনের জাতীয় পশু বাঘ জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ২ দশমিক ৬৪। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ  এবং ২০১৫ সালের তুলনায় ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ ২০২৪’-এর ফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ ছিল, আর ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ১৭। ২০১৮ সালে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়, আর ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ৫৫। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ৮টি বেড়েছিল এবং বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।

তাছাড়া, ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ২১টি বাঘে শাবকের ছবি পাওয়া গেছে, তবে শাবকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ ছোট বয়সে শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাত্র ৫টি শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হয়। জরিপটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিডে এক হাজার ২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডে বাঘের ছবি পাওয়া যায়। প্রায় ১০ লক্ষাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে সাত হাজার ২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। এত বেশিসংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।

বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির এই খবর দেশের সবার জন্য আনন্দের জানিয়ে তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে সরকার ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বন রক্ষিত এলাকা ঘোষণা, ৬০ কিলোমিটার নাইলন ফেন্সিং, ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ ও পুরস্কার প্রদান এবং ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম গঠনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমএ আজিজ, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রমুখ।

অমিয়/

ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ
ভোট গণনা চলছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে আজ। ইতোমধ্যে ভোট গণনা চলছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে দুই রাজ্যেই বিজেপির পরাজয় হতে পারে। হরিয়ানায় টানা ১০ বছর সরকার চালিয়েছে বিজেপি। তবে কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগিরদের আন্দোলনের জেরে সেখানে অস্বস্তিতে শাসক দল। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় দেখা গেছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যের আসনসংখ্যা ৯০। ম্যাজিক ফিগার হলো ৪৬। সে হিসেবে অনেকটাই ওপরে রয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপি এগিয়ে মাত্র ২২টি আসনে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট থেকে বিজেপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত (সকাল ১০টা) বিজেপি ১৫টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট ১০টি আসনে এবং অন্যরা ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

এবার হরিয়ানায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াইয়ে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি), আম আদমি পার্টি (আপ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)।

আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে ২০১৯ সালে হাত মিলিয়েছিল জেপিপি। আইএনএলডির নেতৃত্বে আছেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা।

এর আগে ২০১৯ সালে হরিয়ানায় ৪০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৩১টি আসন আর জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি) জিতেছিল ১০টি আসন।

এদিকে পিপলস পালসের সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩ থেকে ৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩ থেকে ১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩ থেকে ৩৭টি আসন। পিডিপির ঝুলিতে যেতে পারে সাত থেকে ১১টি আসন। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট মিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

এবার জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।

হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফায় ভোট হয়েছে ৫ অক্টোবর। মোট প্রার্থী এক হাজার ৩১। এই রাজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন- বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, জেজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা, কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা ভিনেশ ফোগট।

অমিয়/

পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছিলেন, ‘কমলা বিনয়ী নন। কারণ তার নিজের কোনো সন্তান নেই।’

গত রবিবার গভর্নর হাকাবি স্যান্ডার্সের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কমলা। আরকানসাসের গভর্নর পরিবার নিয়ে সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিজের ‘আধুনিক’ পরিবারেরও গল্প করেছেন কমলা। তিনি বলেন, স্বামী ডগ এমহফ এবং স্বামীর আগের সংসারের দুই সন্তান কোল ও এলাকে নিয়েই তার পরিবার।

গত সেপ্টেম্বরে মিশিগানে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাচনি সমাবেশে কমলাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন হাকাবি স্যান্ডার্স। তার দাবি, তার সন্তানরা তাকে বিনয়ী হতে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু কমলার নিজেকে বিনয়ী রাখার মতো কিছু নেই।

গতকাল ‘কল হার ড্যাডি’ নামক এক জনপ্রিয় পডকাস্টে হাকাবি স্যান্ডার্সের সে মন্তব্যের জবাব দেন কমলা হ্যারিস। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীদের একে অন্যকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’ বিনয়ী হওয়াটা সন্তান থাকা বা না থাকার ওপর নির্ভর করে না বলেও জানান কমলা।

পরিবার সম্পর্কে নিজের আধুনিক চিন্তাধারা তুলে ধরে কমলা বলেন, ‘পরিবার বিভিন্নভাবে গঠিত হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়, ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমেও গঠিত হয়। আমার উভয় রকম পরিবারই আছে, আমি মনে করি এটি আমার জন্য একটি সত্যিকারের আশীর্বাদ।’ 

স্বামীর আগের সংসারের সন্তানদের কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘আমার সুন্দর দুটো সন্তান আছে, কোল ও এলা। তারা আমাকে মমালা বলে ডাকে। আমাদের পরিবার অনেক আধুনিক। আমার স্বামীর সাবেক স্ত্রী আমার বন্ধু।’

ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সও এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান না কোনো নিঃসন্তান নারী দেশ পরিচালনা করুন। এর জবাবে গতকাল কমলা বলেন, ‘আমি এটাকে শুধু নোংরা ও নিচ মানসিকতা হিসেবে দেখছি।’ সূত্র: রয়টার্স

ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন

কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছিল হারিকেন হেলেন। ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মেক্সিকো উপকূলে সৃষ্ট হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি অর্জন করছে বলে সতর্কতা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ফ্লোরিডা পিনেলাস কাউন্টির পাঁচ লাখ অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) রবিবার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা টাম্পা বে’র কাছে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। 

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস সতর্ক করে বলেছেন,  ‘মিল্টনের আঘাত হেলেনের চেয়ে শক্তিশালী এবং অধিক ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন ‘হেলেন’। এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজ্যটি। আকস্মিক বন্যায় ইতোমধ্যে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০ জনে পৌঁছেছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। সূত্র: রয়টার্স

ক্ষমার এক দিন পরেই সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
ক্ষমার এক দিন পরেই সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যু
ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে যাও মায়েন্ট মং

মায়ানমারের কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী যাও মায়েন্ট মং গতকাল সোমবার মারা গেছেন। তিনি লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর এক দিন আগেই দেশটির সামরিক জান্তা স্বাস্থ্যগত কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে খবর আসে।

সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের প্রবীণ নেতা যাও মায়েন্ট মং (৭২) বহুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি জান্তা সরকারের জন্য হুমকি ছিলেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জান্তা সরকারের ঘোষণার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএলডির একজন জ্যেষ্ঠ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যের কারণে তার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকির মধ্যে আছে, উন্নতি বা অবনতি দুটোর সম্ভাবনাই ৫০ ভাগ।

ভয়েস অব আমেরিকার খবর বলছে, যাও মায়েন্ট মং মান্দালয়ের এক হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। সেখানেই চলেছে তার ক্যানসার চিকিৎসা। মং মান্দালয় অঞ্চলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে ১০ বছর স্থায়ী গণতন্ত্রের প্রচেষ্টা উৎখাত করার কিছু দিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিন্নমত দমনে জান্তার নিপীড়ন এনএলডির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় শূন্য করে দিয়েছে। অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর সাবেক এনএলডি মুখপাত্র এবং সু চির ঘনিষ্ঠ নিয়ান উইন দেশদ্রোহের অভিযোগে সামরিক হেফাজতে থাকাকালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আরেকজন সংসদ সদস্যকে ২০২২ সালে জান্তা ফাঁসি দেয়, যা ছিল কয়েক দশক পর মায়ানমারে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা। গত বছর মার্চ মাসে জান্তা নতুন নির্বাচনি আইনের অধীনে পুনরায় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে এনএলডিকে বিলুপ্ত করে। এর ফলে এনএলডি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচনটি ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জান্তা ইঙ্গিত দিয়েছে। সু চিকে দুর্নীতি থেকে শুরু করে এরই মধ্যে কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সু চির বর্তমান বয়স ৭৯। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা