ইসরায়েল বেশি দিন টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ইরান, ফিলিস্তিন, ইরাক, লেবানন, মিসর, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ‘শত্রু এক’।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার খুতবা দেন খামেনি। সেখানে ওই মন্তব্যগুলো করেন। ইসরায়েলে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার পক্ষেও কথা বলেন খামেনি। তিনি যুক্তি দেন, ওই হামলা আইনসম্মত ও বৈধ। ইসরায়েলের অপরাধের ন্যূনতম শাস্তি ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
ইসরায়েল হিজবুল্লাহ ও হামাসের তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন খামেনি। শত্রু এক জানিয়ে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের নীতি হলো বিভেদ ও বিদ্রোহের বীজ বপন করা। সব মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেওয়া। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরিয়ার জনসাধারণেরও শত্রু।
পাঁচ বছর পর খুতবা দিলেন খামেনি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। শুক্রবার খুতবার দ্বিতীয় অংশে খামেনি আরবিতে কথা বলেন। এ সময় তিনি সরাসরি আরবদের উদ্দেশে বলেন, ইসরায়েলের ওপর যেকোনো হামলা ওই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য সেবাস্বরূপ।
ইসরায়েলকে সমর্থনকারী বিদেশি শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবেও অভিহিত করেন খামেনি। তবে তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি প্রতিরোধ জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠীকে ৭০ বছর পেছনে ঠেলে দিয়েছে। এখন সেটি জন্মলগ্নের মতোই টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে।
লেবাননের মানুষের উদ্দেশেও কথা বলেন খামেনি। তিনি তাদের হতাশ না হওয়ার এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তীব্র বিস্ফোরণ লেবাননে
এদিকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা থেমে নেই। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে প্রবল বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরায়েলের হামলায় বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি কেঁপে উঠেছে কিছুক্ষণ পরপর। বৈরুতের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণ এতটাই তীব্র ছিল যে গাড়ির এলার্ম বেজে উঠেছিল। ভবনগুলোও কেঁপে উঠছিল।
লেবাননের হিজবুল্লাহর এক সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল ১১টি হামলা চালিয়েছে। বৈরুতে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ সেটি। আল-জাজিরার খবর বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। হিজবুল্লাহও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েলের সর্বশেষ আঘাতে লেবাননে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৫১ জন। সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা