বন্যাকবলিত মায়ানমারের জন্য বিদেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাং। সেখান থেকে এ রকম অনুরোধ আসার ঘটনাকে ‘বিরল’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিন বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
এর ওপর আরও প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে বন্যা ও ভূমিধস। টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে এশিয়ায় চলতি বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা থেকে রেহাই পায়নি মায়ানমারও। ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস তৈরি হয়েছে দেশে।
ইয়াগির আঘাতে দেশটিতে অন্তত ৩৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে মায়ানমারের জান্তা সরকার। এ ছাড়া ২ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং বলেছেন, ‘কর্মকর্তাদের বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে উদ্ধার ও সহায়তার প্রশ্নে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।’
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, ‘উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব সামাল দেওয়া জরুরি।’ আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে বিদেশ থেকে সহায়তা আনার কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছিল।
দেশটির স্বাধীন গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত ‘মায়ানমার নাও’ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সেখানে মৃতের সংখ্যা ৬৬। ইয়াগি মায়ানমার ছাড়াও ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও ফিলিপিন্সে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং অন্তত ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এর জেরে।
মায়ানমারের কিছু ভবনের নিচের অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নারী ও শিশুসহ বাসিন্দাদের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে হয়েছে। অনেককে উদ্ধারকর্মীরা নৌকা দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতার বেশকিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
সামরিক এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মায়ানমারের বেশকিছু এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তারা ভূমিধসে কয়েক ডজন মানুষের চাপা পড়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। জান্তা সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার ছয়শ’ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা