ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎকার নিরাপত্তা পরিষদ একটি ‘অকার্যকর’ ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
নিরাপত্তা পরিষদ একটি ‘অকার্যকর’ ব্যবস্থা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি পুরনো, অন্যায্য এবং অকার্যকর একটি ব্যবস্থা। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় সামগ্রিকভাবে এই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এর স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে বাধা হয়েছে। গুতেরেস এ সম্পর্কে বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ আজকের বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সত্য হলো, সুদান, গাজা এবং ইউক্রেনে চলমান সংঘাত বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদ নিজের সক্ষমতা প্রমাণে পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

গুতেরেস, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১১ মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অন্য অঙ্গসংস্থাসমূহ বিশেষত মানবিক সংস্থাসমূহ ফিলিস্তিনিদের ধারাবাহিকভাবে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ তার রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে এই সংঘাত বন্ধ করতে না পারায় জাতিসংঘের অন্য সংস্থাগুলো আশাহত হয়েছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ মানে শুধু নিরাপত্তা পরিষদ নয়।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মীরা। এটাও সত্য, মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে ভাবে, নিরাপত্তা পরিষদ আমাদের (জাতিসংঘ) ব্যর্থ করেছে।’

গুতেরেস বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা মাঠপর্যায়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতায় ফেলেছে।’
গাজায় জাতিসংঘের শরণার্থী ও ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, ‘‘গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সংস্থাটির ২০০ কর্মী নিহত হয়েছেন। সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও তাদের কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ইসরায়েল সংস্থাটির কর্মীদের ‘জঙ্গীবাদে’ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল। এর ফলে কিছু দেশ ইউএনআরডব্লিউএতে অর্থায়ন আটকে রেখেছিল। এরপরও সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’’

সাক্ষাৎকারে আন্তোনিও গুতেরেস অভিযোগ করেন, ‘বিশ্বের বড় শক্তিগুলো গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রদর্শন করছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এরপরও তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরিভাবে একটি দায়মুক্তির পরিবেশে বসবাস করছি।’ জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে আরও চাপ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে আরও কঠোর হতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি। একই সময়ে আমরা বলেছি, দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন  গুতেরেস। ইসরায়েলের এই জোরপূর্বক বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরে সম্ভাব্য যেকোনো দখলদারি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হবে’।

ইসরায়েলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, পশ্চিম তীরে উচ্ছেদ, বসতি স্থাপন, জমি দখল এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসরায়েল সরকার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে অবমূল্যায়নের চেষ্টা করছে। অবশ্যই এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারদের পৈশাচিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী গাজা শহর এবং খান ইউনিসে হামলা চালাচ্ছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় উপতক্যাটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিহতের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ১৮২ জনে। সূত্র: আল-জাজিরা

ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ
ভোট গণনা চলছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে আজ। ইতোমধ্যে ভোট গণনা চলছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে দুই রাজ্যেই বিজেপির পরাজয় হতে পারে। হরিয়ানায় টানা ১০ বছর সরকার চালিয়েছে বিজেপি। তবে কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগিরদের আন্দোলনের জেরে সেখানে অস্বস্তিতে শাসক দল। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় দেখা গেছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যের আসনসংখ্যা ৯০। ম্যাজিক ফিগার হলো ৪৬। সে হিসেবে অনেকটাই ওপরে রয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপি এগিয়ে মাত্র ২২টি আসনে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট থেকে বিজেপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত (সকাল ১০টা) বিজেপি ১৫টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট ১০টি আসনে এবং অন্যরা ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

এবার হরিয়ানায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াইয়ে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি), আম আদমি পার্টি (আপ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)।

আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে ২০১৯ সালে হাত মিলিয়েছিল জেপিপি। আইএনএলডির নেতৃত্বে আছেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা।

এর আগে ২০১৯ সালে হরিয়ানায় ৪০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৩১টি আসন আর জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি) জিতেছিল ১০টি আসন।

এদিকে পিপলস পালসের সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩ থেকে ৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩ থেকে ১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩ থেকে ৩৭টি আসন। পিডিপির ঝুলিতে যেতে পারে সাত থেকে ১১টি আসন। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট মিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

এবার জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।

হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফায় ভোট হয়েছে ৫ অক্টোবর। মোট প্রার্থী এক হাজার ৩১। এই রাজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন- বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, জেজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা, কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা ভিনেশ ফোগট।

অমিয়/

পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছিলেন, ‘কমলা বিনয়ী নন। কারণ তার নিজের কোনো সন্তান নেই।’

গত রবিবার গভর্নর হাকাবি স্যান্ডার্সের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কমলা। আরকানসাসের গভর্নর পরিবার নিয়ে সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিজের ‘আধুনিক’ পরিবারেরও গল্প করেছেন কমলা। তিনি বলেন, স্বামী ডগ এমহফ এবং স্বামীর আগের সংসারের দুই সন্তান কোল ও এলাকে নিয়েই তার পরিবার।

গত সেপ্টেম্বরে মিশিগানে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাচনি সমাবেশে কমলাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন হাকাবি স্যান্ডার্স। তার দাবি, তার সন্তানরা তাকে বিনয়ী হতে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু কমলার নিজেকে বিনয়ী রাখার মতো কিছু নেই।

গতকাল ‘কল হার ড্যাডি’ নামক এক জনপ্রিয় পডকাস্টে হাকাবি স্যান্ডার্সের সে মন্তব্যের জবাব দেন কমলা হ্যারিস। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীদের একে অন্যকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’ বিনয়ী হওয়াটা সন্তান থাকা বা না থাকার ওপর নির্ভর করে না বলেও জানান কমলা।

পরিবার সম্পর্কে নিজের আধুনিক চিন্তাধারা তুলে ধরে কমলা বলেন, ‘পরিবার বিভিন্নভাবে গঠিত হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়, ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমেও গঠিত হয়। আমার উভয় রকম পরিবারই আছে, আমি মনে করি এটি আমার জন্য একটি সত্যিকারের আশীর্বাদ।’ 

স্বামীর আগের সংসারের সন্তানদের কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘আমার সুন্দর দুটো সন্তান আছে, কোল ও এলা। তারা আমাকে মমালা বলে ডাকে। আমাদের পরিবার অনেক আধুনিক। আমার স্বামীর সাবেক স্ত্রী আমার বন্ধু।’

ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সও এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান না কোনো নিঃসন্তান নারী দেশ পরিচালনা করুন। এর জবাবে গতকাল কমলা বলেন, ‘আমি এটাকে শুধু নোংরা ও নিচ মানসিকতা হিসেবে দেখছি।’ সূত্র: রয়টার্স

ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন

কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছিল হারিকেন হেলেন। ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মেক্সিকো উপকূলে সৃষ্ট হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি অর্জন করছে বলে সতর্কতা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ফ্লোরিডা পিনেলাস কাউন্টির পাঁচ লাখ অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) রবিবার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা টাম্পা বে’র কাছে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। 

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস সতর্ক করে বলেছেন,  ‘মিল্টনের আঘাত হেলেনের চেয়ে শক্তিশালী এবং অধিক ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন ‘হেলেন’। এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজ্যটি। আকস্মিক বন্যায় ইতোমধ্যে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০ জনে পৌঁছেছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। সূত্র: রয়টার্স

ক্ষমার এক দিন পরেই সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
ক্ষমার এক দিন পরেই সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যু
ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে যাও মায়েন্ট মং

মায়ানমারের কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী যাও মায়েন্ট মং গতকাল সোমবার মারা গেছেন। তিনি লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর এক দিন আগেই দেশটির সামরিক জান্তা স্বাস্থ্যগত কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে খবর আসে।

সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের প্রবীণ নেতা যাও মায়েন্ট মং (৭২) বহুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি জান্তা সরকারের জন্য হুমকি ছিলেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জান্তা সরকারের ঘোষণার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএলডির একজন জ্যেষ্ঠ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যের কারণে তার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকির মধ্যে আছে, উন্নতি বা অবনতি দুটোর সম্ভাবনাই ৫০ ভাগ।

ভয়েস অব আমেরিকার খবর বলছে, যাও মায়েন্ট মং মান্দালয়ের এক হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। সেখানেই চলেছে তার ক্যানসার চিকিৎসা। মং মান্দালয় অঞ্চলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে ১০ বছর স্থায়ী গণতন্ত্রের প্রচেষ্টা উৎখাত করার কিছু দিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিন্নমত দমনে জান্তার নিপীড়ন এনএলডির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় শূন্য করে দিয়েছে। অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর সাবেক এনএলডি মুখপাত্র এবং সু চির ঘনিষ্ঠ নিয়ান উইন দেশদ্রোহের অভিযোগে সামরিক হেফাজতে থাকাকালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আরেকজন সংসদ সদস্যকে ২০২২ সালে জান্তা ফাঁসি দেয়, যা ছিল কয়েক দশক পর মায়ানমারে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা। গত বছর মার্চ মাসে জান্তা নতুন নির্বাচনি আইনের অধীনে পুনরায় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে এনএলডিকে বিলুপ্ত করে। এর ফলে এনএলডি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচনটি ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জান্তা ইঙ্গিত দিয়েছে। সু চিকে দুর্নীতি থেকে শুরু করে এরই মধ্যে কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সু চির বর্তমান বয়স ৭৯। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা 

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২ চীনা নাগরিক নিহত

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪১ এএম
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২ চীনা নাগরিক নিহত
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২ চীনা নাগরিক নিহত

পাকিস্তানের করাচিতে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন, এর মধ্যে আরও এক চীনা নাগরিক রয়েছেন।  

দেশটির সিন্ধু প্রদেশে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে বলে দাবি চীনা দূতাবাসের। 

গত রবিবার রাত ১১টায় করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মাজিদ ব্রিগেড এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। 

সংবাদপত্রগুলোর কাছে পাঠানো এক ই-মেইল বিবৃতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা প্রকৌশলীসহ চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাড়িবাহিত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, একটি গাড়ির সঙ্গে তেলের ট্যাংকারের সংঘর্ষের পর বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণটি এতই শক্তিশালী ছিল যে পুরো করাচি শহর থেকে এর শব্দ শোনা গেছে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বিস্ফোরণে সাতটি গাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীনা দূতাবাস। সূত্র: সিএনএন