ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ৬ অভিবাসী নিহত

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ এএম
মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ৬ অভিবাসী নিহত
মেক্সিকোর গুয়াতেমালা সীমান্তে সৈন্যদের গুলিতে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেশটির দক্ষিণে ৩৩ জন অভিবাসীর একটি দলকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুয়াতেমালা সীমান্তের প্রায় ২৫ মাইল উত্তরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে, এতে আরও ১০ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি চেকপোস্টে না থেমে গতি বাড়িয়ে পালাতে চাইলে সেনাদলের দুই কর্মকর্তা গুলি চালান। তদন্ত চলাকালীন ওই দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাড়িটিকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে থামানোর উদ্দেশ্যে তারা গুলি ছুড়েছিলেন।

প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসেবে যায়। এ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই চাপে রয়েছে মেক্সিকো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, অভিবাসীরা মিসর, নেপাল, কিউবা, ভারত ও পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তবে যারা মারা গেছে তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করেনি দেশটি। সূত্র: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪ সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রদেশের দিকে তাকিয়ে আছেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোলান্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেট পার্টির কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে শুরু করে চার বছর ক্ষমতায় থাকবেন। ভোটাররা প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রার্থী নির্বাচনের জন্যও ভোট দেবেন।

আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা। 

এবারের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করছেন বিশ্লেষকরা। 

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবসময়ই নির্দিষ্ট কিছু প্রদেশকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করে। ওই প্রদেশগুলো ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ভাগ হয়ে থাকে। তবে প্রতিবারই কিছু প্রদেশে প্রত্যাশিত ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে কম জনপ্রিয় প্রার্থী জেতেন।

এদিকে পেনসিলভেনিয়া ও এর ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গত কয়েকবারের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন এবং নেভাডা প্রদেশে ডেমোক্র্যাট দলের বাইডেন খুব কম ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তাই এ নির্বাচনে ট্রাম্পের লক্ষ্য থাকবে এ প্রদেশগুলোকে নিজের পক্ষে আনা। 

ফ্লোরিডা এবং ওহাইও আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের স্বাক্ষী হলেও সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে মজবুত রিপাবলিকান ঘাঁটি হিসেবেই নিজেদের প্রমাণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা নির্ধারিত সময়ের আগেই পোস্টাল ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট দিয়ে থাকেন। এতে কোন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তা নিয়ে গুঞ্জন চলতে থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

নাইমুর/পপি/অমিয়/

ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা, নিহত ৭

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা, নিহত ৭
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দুটি পৃথক বোমা হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন থাইল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ছিল বলে জানিয়েছে দুদেশের কতৃপক্ষ।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রকেট হামলায় ইসরায়েলের মেতুলা শহরের কাছে একজন ইসরায়েলি কৃষক এবং চারজন থাই কৃষক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দুদেশের কর্তপক্ষ।

পরে উপকূলীয় শহর হাইফার শহরতলিতে কিবুতজ আফেকের কাছে একটি জলপাই বাগানে পৃথক হামলায় এক ইসরায়েলি নারী এবং তার ছেলে নিহত হন।

এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, হাইফার উত্তরে ক্রায়োট এলাকার দিকে এবং লেবাননের শহর খিয়ামের দক্ষিণে ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে তারা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবানন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্য করলেও তারা প্রতিহত করতে পারেনি। 

এদিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসা তাদের চার নাগরিক নিহত এবং একজন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। 

ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী কৃষিজমিতে কাজ করার সময় এই হামলার শিকার হন কৃষকরা।

এলাকাটি একটি সামরিক অঞ্চলের অংশ হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল বলে জানায় স্থানীয় জরুরি সেবাদাতাদের এক সূত্র।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কিবুতজের পশ্চিম গ্যালিলি অঞ্চল লক্ষ্য করে প্রায় ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে এবং কিছু খোলা জায়গায় পড়েছে। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/অমিয়/পপি/

সার্বিয়ার রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ভেঙে নিহত ১৪

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
সার্বিয়ার রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ভেঙে নিহত ১৪
ধসেপড়া স্টেশনে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

সার্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদের একটি রেলওয়ে স্টেশনের কংক্রিট ছাদ ভেঙে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিচ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনায় আহত তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে দুই নারীকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কয়েক ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। 

জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভুচিক বলেন, আশা করি মৃতের সংখ্যা ১৪-এর বেশি হবে না। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের সঠিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। 

তবে এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

উদ্ধারকাজে ৮০ জনেরও বেশি কর্মী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে অংশ নিয়েছেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।

মিলোশ ভুকেভিচ শুক্রবারকে নোভি সাদের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এটিকে সার্বিয়ার জন্য একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ ছাড়া তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় সার্বিয়া সরকার শনিবার শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সার্বিয়ার রেলওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামের সংস্থা জানিয়েছে, কংক্রিটের ছাদটি স্টেশনের সঙ্গে পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। এটি ১৯৬৪ সালে নির্মিত হয়েছিল।

এই রেলওয়ে স্টেশনটির ভবন ২০২১ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। এ বছর আবারও তা সংস্কার করা হয় এবং গত ৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/অমিয়/পপি/

লেবানন-গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা, যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
লেবানন-গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা, যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ
হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান শত্রুতার মধ্যে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরায়েলি হামলার পর একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেখা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

লেবানন ও গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির চুক্তির আশা কমে এসেছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) গাজা ও লেবাবনের দক্ষিণ শহরগুলোতে এ হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় গাজায় প্রায় ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা। 

এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজার খান ইউনিস শহরে তাদের বিমান হামলায় হামাসের সর্বশেষ শীর্ষনেতা ইজ আল-বীন কাসাব নিহত হয়েছেন।

এদিকে রয়টার্সের তথ্যমতে, শুক্রবার বৈরুতে প্রায় ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েল নির্দিষ্ট ১০টি স্থান হিজবুল্লাহর ঘাঁটি দাবি করে সাধারণ মানুষকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

লেবাননের নাগরিকরা ইসরায়েলের এই হামলাকে অন্যায় দাবি করে বলছেন, তাদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ থামাতেই হবে।

নতুন করে ইসরায়েলের করা এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত সমঝোতা চুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা আগামী মঙ্গলবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা আনতে তৎপর ছিলেন।

তবে শুক্রবারের আল-আকসা হামাস টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামাস এ সাময়িক সমঝোতার পক্ষে নয়।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবিত এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, গাজায় বছরব্যাপী চলমান যুদ্ধ থামিয়ে ফিলিস্তিনের নির্দিষ্ট অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তবে চুক্তি হওয়ার আগেই এর বিরোধ দেখা গেল।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক চাপের তোয়াক্কা না করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তার মূল লক্ষ্য।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, উত্তর গাজায় মানবেতর দিন যাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের সশস্ত্র হামলার ভয়ে প্রতিমুহূর্তেই তারা অসুখ ও দাঙ্গায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স 

নাইমুর/অমিয়/পপি/

ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়ার অজুহাতে গত বুধবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়া তৃতীয় কোনো দেশকেও রেহাই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।

এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্পে জড়িত থাকায় ভারতের দুই শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

দুই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্যে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন, হংকং, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। 

দেশটির উপ অর্থসচিব ওয়ালি অ্যাডিয়েমো বলেন, আমেরিকা ও আমাদের মিত্ররা রাশিয়ায় অবৈধ অস্ত্র এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রবাহ বন্ধ করতে নির্ধারিত পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র দপ্তর ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করেছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে তাদের অভিযুক্তদের সমর্থনের জন্য ৪০টি কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাতগুলোকে সতর্ক বার্তা দেবে। বার্তাটি হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবিলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া