ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সেই হামলাস্থলে আবারও ট্রাম্পের সমাবেশ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
সেই হামলাস্থলে আবারও ট্রাম্পের সমাবেশ
পেনসিলভানিয়ার বাটলারের যে জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেখানে আবারও নির্বাচনি সমাবেশ করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাটলারের যে জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেখানে আবারও নির্বাচনি সমাবেশ করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে গত শনিবার তিনি সেখানে বিশাল এক জনসভার আয়োজন করেন। 

বার্ত সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জনসভায় ট্রাম্প গত ১৩ জুলাই কানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা স্মরণ করেন। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা বলছিলাম।’ এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন, ১৩ জুলাই নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার যে বক্তব্য বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল তা আবার শুরু করেছেন তিনি। 

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক ১২ সপ্তাহ আগে এমনই এক সন্ধ্যায়, এই জায়গাতেই একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি আমাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল।’ তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাম্প হাজার দশেক সমর্থকের সামনে বুলেটপ্রুফ কাচের আড়াল থেকে ভাষণ দেন।

গত ১৩ জুলাই বাটলারে এক নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে হামলা হয়েছিল। শনিবার ঠিক ওই সময় উপস্থিত সবাইকে ট্রাম্প এক মুহূর্ত নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তারপর একটি ঘণ্টা চারবার বাজানো হয় এবং ট্রাম্পসহ আহত চারজনের জন্য একবার করে নীরবতা পালন করা হয়।

একপর্যায়ে ট্রাম্প তার বক্তৃতার মাঝখানে টেসলার প্রধান নির্বাহী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে মঞ্চে ডাকেন। ট্রাম্পকে সমর্থনের পর প্রথম কোনো নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়েছেন মাস্ক। ট্রাম্পের আহ্বানে হাত নাড়িয়ে মঞ্চে উঠেন ইলন মাস্ক। 

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে অবশ্যই ট্রাম্পের জয়ের জন্য ভোট দেওয়া উচিত। কারণ তিনি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের সবার ট্রাম্পের হয়ে কাজ করা উচিত। সূত্র: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে এসেছে কাতার। উভয় পক্ষ রক্তপাত বন্ধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলেই কাতার সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। 

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। 

তবে এখন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো আশা দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে হামাস নেতারা সাড়া দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনো দেশের রাজধানীতে তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।

এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা। ইসরায়েল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালেই তারা আবার মধ্যস্থতা করবে। তার আগে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগে বলা হয়েছিল, ১০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত না হলে কাতার নিজের ভূমিকা থেকে সাময়িক বিরতি নেবে। 

২০১২ সাল থেকেই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি রয়েছে। 

গত শনিবার বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, একটি চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার কারণে দেশটি থেকে হামাসের ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে কাতার।

তবে এসব তথ্য ভুল বলে নিশ্চিত করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। 

কাতার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েল-হামাস মীমাংসার ক্ষেত্রে এ ঘাঁটি অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।  

হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি কাতার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলে সেটা কোথায় হবে এ বিষয়েও আলোচনা চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। 

অনেকে ইরানের কথা চিন্তা করলেও সম্প্রতি ইরানে হামাসের নেতা হত্যাকাণ্ডের পর তেহরান কাতারের মতো সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হবে না বলে মত বিশ্লেষকদের।

তুর্কিকে একটি বিকল্প হিসেবে ভাবছেন অনেকেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশটিতে হামাসের বেশ কিছু নেতা বসবাসও করছেন। 

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান এবং অঞ্চলটিতে মানবিক সংকটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিরক্তি প্রকাশ করেছে। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/পপি/

আবার রাজপথে চিকিৎসকরা আরজি কর-কাণ্ডের বিচার শুরু ১১ নভেম্বর

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
আরজি কর-কাণ্ডের বিচার শুরু ১১ নভেম্বর
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতার আরজি কর-কাণ্ডের তিন মাস গত হয়েছে। এখন বিচার প্রক্রিয়া চলছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে শিয়ালদহ আদালতে এই হত্যার বিচার শুরু হবে।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার আবারও রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন।

শনিবার আন্দোলনকারীরা পেশ করেছেন জনতার চার্জশিট। পাশাপাশি ‘দ্রোহের গ্যালারি’ সাজিয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। গতকাল একযোগে কলকাতার পথে মিছিলে নামে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট, জয়েন্ট ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ডক্টরস ফোরাম। মিছিলে শামিল হয় নাগরিক সমাজও।

শনিবার মিছিলের ডাক দেয় ‘জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।’ সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানায় চিকিৎসকসহ একাধিক সংগঠন। জুনিয়র চিকিৎসকরা মিছিল থেকে জানান, আরজি কর ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা কাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা ওই ঘটনায় যুক্ত সবার নাম জনতার চার্জশিটে দিয়েছি।

অভয়ার সুবিচার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে কলকাতার রাজপথ সাক্ষী ছিল আন্দোলনের। উৎসবের মৌসুমেও আন্দোলন চলেছে। ঘটনার তিন মাসের মাথায় আবারও প্রতিবাদে রাজপথে নামলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল প্রতিবাদী সব ছবি দিয়ে আরজি কর এবং এসএসকেএম হাসপাতালের একাডেমিক ভবনে সাজানো হয়েছে ‘দ্রোহের গ্যালারি’। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এমন গ্যালারি স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছে।

ন্যায়-বিচারের দাবিকে সামনে রেখে শনিবার কলকাতায় মূল মিছিলটি হয়েছে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। সেই নাগরিক মিছিলে শামিল হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি। পরে ‘অভয়া মঞ্চ’-এর আহ্বানে ধর্মতলায় ‘জনতার মতামত, রাজপথে আদালত’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানেই ‘জনতার চার্জশিট’ পেশ হয়। আরজি করের মূল ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামেই প্রথম চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। একজনের পক্ষে এত বড় ঘটনা ঘটানো সম্ভব কিনা, সেই প্রশ্ন তুলে এবং সঞ্জয়ের সাম্প্রতিক দাবির (প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তাকে মুখ না খোলার চাপ দেওয়া হয়েছে) পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরাও গতকালের মিছিলে অংশ নেন।

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা ইরানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
ইরানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার দায়ে এক ইরানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের নির্দেশে ওই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।

ওই ব্যক্তির নাম ফারহাদ শাকেরি (৫১)। মূলত তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষতে। তবে শাকেরিকে আটক করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বর্তমানে ইরানে আছেন বলে ধারণা করছে তারা। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।

আদালতের নথি বলছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড সেপ্টেম্বরে শাকেরিকে পরিকল্পনা সাজানোর কাজটি দেয়। সব মিলিয়ে সাত দিনের মধ্যে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছিল শাকেরিকে। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরে ওই পরিকল্পনা স্থগিত করেন রেভল্যুশনারি গার্ডের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া ইরানের সমালোচনাকারী মার্কিন সাংবাদিককে হত্যার জন্য আরও দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে বিচার বিভাগ। তাদের একজন ব্রুকলিনের বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী কার্লাইল রিভেরা। আরেকজন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের বাসিন্দা জোনাথন লোডহল্ট। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ১০ হাজার লাশ!

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ১০ হাজার লাশ!
যুদ্ধের পর গাজায় কংক্রিটের ধ্বংসস্তুপ। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১০ হাজার লাশ। এদিকে গাজায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক, শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৫২ জন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৪৪ জন বেসামরিক মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা গাজার এক হাজার জন ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য পর্যালোচনা করেছে এবং তাদের ওপর ভয়ংকর আইনি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে, যা গণহত্যার শামিল বলে পরিগণিত হতে পারে। উত্তর গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। যেখানে এক মাসের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি দখলদাররা। এই অঞ্চলে এই এক মাসে নিহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

এদিকে গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের ব্যাপ্তি মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইরান।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, ‘বিশ্ববাসীর জানা উচিত যে এই যুদ্ধের যদি বিস্তৃতি ঘটে, তবে এর ক্ষয়ক্ষতি শুধু পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলজুড়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না। নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি অনেক দূর পর্যন্ত।’

এদিকে ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফার একটি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনী গতকালও লেবাননের টায়ার ও বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে টায়ারে এক গর্ভবতী নারীসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ২৬, অর্ধেকের বেশি সেনা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ এএম
পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ২৬, অর্ধেকের বেশি সেনা
হামলায় উড়ে যায় স্টেশনের যাত্রীছাউনির চাল। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরের একটি রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত ও ৬২ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই সেনাসদস্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) এই বোমা হামলার পর বেলুচিস্তান পুলিশের মহাপরিদর্শক মৌজ্জাম জাহ আনসারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রেলস্টেশনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের লক্ষ্যবস্তু ছিল পদাতিক স্কুলের সেনাসদস্যরা। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) রয়টার্সকে এক ই-মেইল বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

বেলুচিস্তানে সম্প্রতি বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগত দাঙ্গা এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হামলা বেড়েছে। দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহ প্রদেশটিতে ব্যাপক নিরাপত্তাসংকট তৈরি করেছে। বিএলএ দীর্ঘদিন ধরে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহ করে আসছে। দেড় কোটি জনসংখ্যার এই প্রদেশটিতে যে কয়টি সশস্ত্র গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তাদের মধ্যে বিএলএ সবচেয়ে বড়। 

তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রদেশের সমৃদ্ধ গ্যাস ও খনিজসম্পদের অবৈধভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করে আসছে গোষ্ঠীটি। 

রেলওয়ে কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টায় জাফর এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি পেশোয়ারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসার আগেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

কোয়েটার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বালোচ বলেছেন, ‘এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে মনে হচ্ছে। হামলার নির্দিষ্ট কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে।’

এর আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার দেখা ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের টার্গেট এখন নিরীহ মানুষ, শ্রমিক, শিশু ও নারী। যারা নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে তারা করুণার যোগ্য নয়।’
সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি