ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যারা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যারা
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড্যারন আসেমোগলু  ও সিন জনসন এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন

এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিন অধ্যাপক। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড্যারন আসেমোগলু  ও সিন জনসন এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন।

সোমবার (১৪ অক্টােবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কীভাবে প্রভাব ফেলে তা অধ্যয়নের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন এই তিন অর্থনীতিবিদ। 

গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এ বছর ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্র, ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর শান্তিতে এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কারজয়ীর নাম প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।

প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি সোনার মেডেল, সনদপত্র এবং এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা) পাবেন।

অমিয়/

রাশিয়ার শক্তিশালী আক্রমণ ঠেকানোর দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
রাশিয়ার শক্তিশালী আক্রমণ ঠেকানোর দাবি ইউক্রেনের
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার শক্তিশালী আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রভাবশালী কমান্ডার ওলেক্সান্ডার স্ট্যানিস্লাভোভিচ সিরস্কি। 

শনিবার (২ নভেম্বর) টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার গ্রুপে তিনি এ কথা জানান।

এদিকে প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে এবারের অভিযানেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে মস্কো।
 
তবে ওলেক্সান্ডার বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বেশ তৎপর রয়েছে। আমরা রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পারছি।’  

২০২২ সালে রাজধানী কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হবার পর থেকেই পুতিনের আদেশে রাশিয়ার সেনাবাহিনী পূর্ব-ইউক্রেনের ডোনবাস শিল্প অঞ্চলে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তখন থেকেই অঞ্চলটি যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) মস্কো দাবি করেছে, ডোনবাসের সম্মুখভাগের আরও দুইটি স্থাপনা দখলে নিয়েছে তারা।

এ ছাড়া রাশিয়ার অন্যতম সংবাদ সংস্থা এজেন্টসভো ইউক্রেনের ভূ-স্থানিক মানচিত্র বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, অক্টোবরের ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যেই রাশিয়া প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার (৮০ বর্গমাইল) ইউক্রেন-অধ্যুষিত এলাকা দখল করেছে।

তবে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সহায়তা করতে সৈন্য পাঠানোয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ভয়াবহ পর্যায়ে মোড় নিচ্ছে বলে আশংকা করছেন রাশিয়ার বিশ্লেষকরা। 

এ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে নিক্ষেপের অনুমতি চেয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের শরনাপন্ন হচ্ছেন। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/পপি/

ট্রাম্পের রাজনৈতিক পুনরুত্থান

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
ট্রাম্পের রাজনৈতিক পুনরুত্থান
ডোনাল্ড ট্রাম্প

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর অনেক বিশ্লেষকই ট্রাম্পের রাজনীতিবিদ পরিচয়ের ওপর দাঁড়ি টেনে দিলেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মজবুত অবস্থানই প্রমাণ করে তার রাজনীতির অধ্যায়ের কিছু পৃষ্ঠা এখনও বাকি আছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প অভিনব এক রাজনৈতিক পুনরুত্থানের আভাস দিচ্ছেন।

ট্রাম্পের সফলভাবে ফিরে আসার পেছনে তার প্রচারণা পদ্ধতির ব্যাপক রদবদল ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তার দল রিপাবলকান পার্টির বেহাল দশা হয়েছিল। ট্রাম্প-প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি সাবেক এ প্রেসিডেন্টের করুণ পরিস্থিতিকে ত্বরান্বিত করেছিল। 

এ ছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের একটি মব ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল হিলে হামলা করলে ট্রাম্পের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সমালোচকদের পাশাপাশি নিজের দলের কিছু প্রভাবশালী নেতাও তার বিরুদ্ধে কথা বলেন।

তবে এমন করুণ পরিস্থিতিতেও ট্রাম্প আবার ফিরে আসার আভাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

নিজের বক্তব্যের বাস্তবায়ন করেই যেন ২০২২ সালের মিডটার্ম ইলেকশনে তার সমর্থকদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়তে সমর্থ হন। রিপাবলিকান পার্টিতে তার প্রতি ভরসা এরপর থেকে বাড়তেই থাকে। ঘটনাক্রমে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং নির্বাচনের একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনি বিজয়ের সুবাস পাচ্ছেন বললেও ভুল হবে না। 

এবার তিনি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি ফ্লোরিডায় গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের মতো প্রায় সব অঙ্গারাজ্যেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা করতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছেন।  

ট্রাম্পের প্রচরণায় তার একনিষ্ঠ সমর্থকদের পাশাপাশি অনেকেই মুগ্ধ। অনেককেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে।

মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিনের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে তার পুনরুত্থাপিত গ্রহণযোগ্যতা গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এর আগে ২০২৪-এর নির্বাচনি বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের সামনে তার যুক্তিতর্কের দুর্বলতার ব্যাপারে সমালোচিত হলেও প্রাথমিক জরিপগুলোতে তিনি বেশ শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছেন। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প শুধু ক্ষমতায় যেতে চান এমন না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপরিচালনা কাঠামো নতুন আদলে গড়তে চান। 

উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে ট্রাম্প জয়লাভ করুক আর নাই করুক, তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে প্রায় কবর থেকে তুলে এনে যে বর্তমানের শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন এ কথা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/পপি/অমিয়/

স্যাটারডে নাইট লাইভে যা বললেন হ্যারিস

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
স্যাটারডে নাইট লাইভে যা বললেন হ্যারিস
মায়া রুডলফ ও কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ (এসএনএল) শোতে অংশগ্রহণ করেছেন। 

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে হ্যারিস নিজেই তার চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তার প্রতিপক্ষ অভিনেত্রী মায়া রুডলফও হ্যারিসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। 

এ সময় তাদের দুজনকেই কালো স্যুট এবং মুক্তার মালা পরে মুখোমুখি অবস্থানে দেখা যায়।

দুজনে মিলে হ্যারিসের নামে বিভিন্ন মজাদার কৌতুক করেন। 

তারা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা রাজনীতির ড্রামা শেষ করতে চায়। তারা একটি নতুন রাষ্ট্র চায়। নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে শান্ত রাখুন। এগিয়ে নিয়ে যান।’ 

হ্যারিস মজার ছলে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি কি সত্যি এমন করে হাসি?’ 

রুডলফ উত্তরে বলেন, ‘একটু তো বটেই।’

অনুষ্ঠান শেষে হ্যারিস সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠানটি মজার ছিল।

পরে তিনি মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

এই প্রথমবার হ্যারিস এসএনএলে উপস্থিত হন। এর আগে বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এই শোতে উপস্থিত হয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: কখন জানা যাবে চূড়ান্ত ফল?

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: কখন জানা যাবে চূড়ান্ত ফল?
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ঘনিয়ে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। 

আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে ভোটকেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে খোলা থাকবে। 

তবে অঙ্গরাজ্যভেদে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার সময় পরিবর্তন হতে পারে। বেশিরভাগ কেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকবে।

ভোট গণনা কখন শুরু হবে এবং ফলাফল কখন জানা যাবে?

ভোটকেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল আসা শুরু করবে। তবে কিছু রাজ্যে দ্রুত গণনা সম্পন্ন হবে। 

অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হতে দেরি হওয়ার কারণে ফলাফল কিছুটা দেরিতে আসতে পারে।

এ বছর নির্বাচন খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে ভোট গণনা অনেক রাত পর্যন্ত চলতে পারে এবং কয়েক দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল জানা নাও যেতে পারে।

ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞানী রেমন্ড জে লা রাজার মতে, ‘প্রথম কয়েক দিনে হয়তো চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে না।’

ফাইভথার্টিএইটের জাতীয় নির্বাচন জরিপ অনুসারে, কমলা হ্যারিস শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।

যদি ফলাফলে টাই হয়, তাহলে কী হবে?

নির্বাচনে জিততে একজন প্রার্থীর ৫৩৮ ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০ ভোট প্রয়োজন। ফলাফল ২৬৯-২৬৯ বা কোনো তৃতীয়পক্ষ ইলেক্টোরাল ভোট পেলে এবং কোনো প্রার্থী ২৭০ ভোটে না পৌঁছালে, ‘কনটিনজেন্ট নির্বাচন’ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। যেখানে প্রতিটি রাজ্য এক ভোট দেয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলে প্রার্থী বিজয়ী হন।

গত বছরের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

২০২০ সালের নির্বাচনে পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার চার দিন পর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে নির্বাচনের পরের দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সূত্র: আল-জাজিরা

তাওফিক/পপি/অমিয়/

শেষ মুহূর্তের প্রচারে কমলা-ট্রাম্পের শব্দযুদ্ধ

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
শেষ মুহূর্তের প্রচারে কমলা-ট্রাম্পের শব্দযুদ্ধ
কমলা হ্যারিস-ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগবিতণ্ডায় মেতেছেন।

রবিবার (৩ নভেম্বর) পৃথক অনুষ্ঠানে হ্যারিস ও ট্রাম্প একে অপরের খামতি দেখিয়ে মন্তব্য করেছেন।
 
এ সময় অ্যাটলান্টা, অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনার পাশাপাশি মোট সাতটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করতে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
 
অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভিবাসী নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা ক্ষমতায় এলে আমেরিকার প্রত্যেকটা শহর একেকটা জঘন্য ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসী ক্যাম্পে পরিণত হবে।’  

অন্যদিকে ট্রাম্পের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে কমলা বলেন, ‘ট্রাম্প মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি, যিনি প্রতিহিংসা ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না। তিনি জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে চলে যাওয়ার জন্যই ক্ষমতা চাইছেন।’
 
এ ছাড়া ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ভয়ানক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

বাগবিতণ্ডার এ ঘটনা আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীর মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতারই প্রতিফলন। উভয়পক্ষই তাদের যুক্তি ও ব্যঞ্জনার মাধ্যমে নিজের সমর্থন পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের ফলাফলের জন্যে মুখিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। দেখার বিষয়, কমলা এবার দেশটির নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়েন, নাকি ২০১৬ নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি হয়।

নাইমুর/পপি/অমিয়/