ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিএনএনের বিশ্লেষণ ট্রাম্পকে বিপাকে ফেলতে পারে ‘প্রতিশ্রুতি’

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
ট্রাম্পকে বিপাকে ফেলতে পারে ‘প্রতিশ্রুতি’
নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঢেউয়ের ওপর ভর করে হোয়াইট হাউসে এসেছেন, সে ঢেউই আগামীতে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দলে টেনেছেন, সেগুলো যদি রাখতে না পারেন, তাহলেই বাধবে বিপত্তি। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে গাড়ি বিমা সব কিছুর খরচ নিয়ে বিরক্ত। ডেমোক্র্যাটদের ওয়াশিংটনে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়ে সে বিরক্তিই প্রকাশ করেছেন তারা। ট্রাম্প প্রচারের সময় বারবারই আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে মূল্যস্ফীতি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। তবে সিএনএনের বিশ্লেষণ বলছে, ট্রাম্প নিজেও মূল্যস্ফীতি সমস্যার মুখে পড়বেন।  

মূল্যস্ফীতি বাদেও অভিবাসন ও কর আরোপ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, প্রচুর অবৈধ অভিবাসীকে তিনি বের করে দেবেন এবং দেশে বেশ কিছু পণ্যের আমদানির ওপর উচ্চ কর আরোপ করবেন। সমস্যা হলে এ দুটোই মূল্যস্ফীতি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

এ ছাড়া ট্রাম্প রাষ্ট্রীয় ঋণে ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার পরিকল্পনা করেছেন। এটি হলে বন্ডের বাজারে প্রভাব পড়বে। বাড়ির মর্টগেজ ও তারল্য ঋণ এবং গাড়ি কেনার মতো বিষয়গুলো আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাবে।

অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের প্রধান মার্কিন অর্থনীতিবিদ রায়ান সুইট বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফলাফল উপেক্ষা করা উচিত হবে না রিপাবলিকানদের। ভোটাররা মূল্যস্ফীতি পছন্দ করেন না এবং তারা এটি ভুলবেন না।’

তবে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি রাখবেন কি না। অনেক বিনিয়োগকারীই মনে করছেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তিন ট্রিলিয়ান ডলার মূল্যের আমদানি বাজারে কর আরোপ করতে যাবেন না এবং তিনি কাগজপত্র না থাকা লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকেও ফেরত পাঠাবেন না। তারা হয়তো ঠিকই বলছেন। কারণ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের কড়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে নরম হয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। দায়িত্ব শুরু হওয়ার পর অনেক কিছুই বদলে যায়।

এটি হলেও ট্রাম্পের বিপদই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার (৬৭ শতাংশ) জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভালো নেই বা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। মাত্র ৩২ শতাংশ বলেছেন অর্থনীতি ভালো বা অসাধারণ অবস্থায় রয়েছে। যারা অর্থনীতি ভালো নেই বা দুর্বল রয়েছে বলে জানিয়েছেন, তাদের ৬৯ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া ট্রাম্পের জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ল্যাটিনো ভোটারদের ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন, অর্থনীতি এক নম্বর সমস্যা। ফলে ভোটাররা জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে কতটা বিরক্ত তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে।    

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। গড়ে প্রত্যেক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি পরিবারের ১ হাজার ১২০ ডলার বা তার বেশি খরচ করতে হয়। অথচ ২০২১ সালের জানুয়ারিতেও এ খরচ কম ছিল। 

আয়ও কিছুটা বেড়েছে। গড় আয় প্রতি মাসে ১ হাজার ১৯২ ডলার। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, মানুষ যা আয় করছেন, তার পুরোটাই প্রায় চলে যাচ্ছে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে। এগুলো গড় হিসাব। মূল চিত্র আরও অনেক ভিন্ন। বহু মানুষের আয় বাড়েনি। তারা দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। সিএনএনের ফিল ম্যাটিংলি বলেন, ট্রাম্প পেনসিলভানিয়ায় এমন অনেক কাউন্টির ডেমোক্র্যাট ভোটারদের দলে টেনেছেন, যারা এরকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এখন ট্রাম্প যদি কাপড়, খেলনা, আসবাব, বাসাবাড়ি এবং গৃহস্থালি পণ্য, জুতা ও ভ্রমণ দ্রব্যাদির ওপর কর আরোপ করে। তাহলে মার্কিনিদের বছরে খরচ হবে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। এ তথ্য দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল রিটেইল ফাউন্ডেশন। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টউড ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ড্যানিয়েল অ্যালপার্ট বলেন, ‘আমরা দুই দিকেই নেতিবাচক একটি পরিস্থিতি তৈরি করব। একদিকে আমাদের দেশীয় পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাবে… এবং অন্যদিকে চাকরি বা মজুরিতে আমাদের তেমন কোনো উন্নতি হবে না।’

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর পরিকল্পনা পছন্দ করেননি রক্ষণশীল অর্থনীতিবিদ স্টিফেন মুর। তিনি ট্রাম্পের অন্যান্য অ্যাজেন্ডা মেনে নিলেও কর আরোপের ‘ভক্ত নন’ বলেই জানিয়েছেন।  

মুর আরও বলেন, ট্রাম্প যদি কর আরোপকে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তাহলে আমার সমস্যা নেই। তবে আমি আমদানি পণ্যের ওপর নাটকীয়ভাবে কর বাড়ুক তা চাই না। আমার উদ্বেগ হলো, এটিকে টেনে বেশি দূরে নিয়ে গেলে আপনি ইটের বদলে পাটকেল পরিস্থিতিতে পড়বেন।’  

ফলে ট্রাম্প আদতে কী করবেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: রয়টার্স

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের বাইরে প্রতিবাদসহ যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু-আমেরিকান সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। এ ব্যাপারে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে অবগত কি না এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এটি উত্থাপন করেছিলেন কি না।

উত্তরে কিরবি বলেন, ‘আমরা এটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্টও ঘটনাবলির ওপর নিবিড় নজর রাখছেন।’

কিরবি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার-সম্পর্কিত অবস্থানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। শেখ হাসিনাকে অপসারণের পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যাতে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো যায়।’

কিরবি আরও বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সব সময়ই স্পষ্ট। বাংলাদেশের সব নেতার সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বারবার উল্লেখ করেছি, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তারা সব বাংলাদেশির জন্য ধর্ম ও জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। আমরা চাই তাদের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হোক।’

বাংলাদেশে গত বছর কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা হয়নি
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও ওই সময় সরকার প্রায়ই রাজনৈতিক বিরোধিতাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে চিত্রিত করেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।’

২০২৩ সালের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে সন্ত্রাসবাদের নামে আটক করা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের। প্রতিবেদনটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ এসেছে।

ওই বছর সরকার কঠোরভাবে জঙ্গিদের দমনের চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘বিশেষ করে আল-কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আনসার আল-ইসলাম নামেও পরিচিত) ও আইএসআইএস-সংশ্লিষ্ট নব্য জেএমবি সদস্যদের আটক করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ ইউনিট একাধিক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মে মাসে জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা চট্টগ্রামে দুই সৈন্য নিহত হন। মার্চে একই ধরনের হামলায় আরেক সেনা নিহত হন। এ ছাড়া কেএনএফের বিরুদ্ধে নতুন আল-কায়েদা থেকে অনুপ্রাণিত গ্রুপ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়াকে (জেএএইচএস) প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে তারা এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনে। সংগঠনটির কথিত আমিরকে জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে সংগঠনটির কার্যক্রম অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামকরণ করা হয়েছে। অনলাইনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এ আইন সংশোধন করা হলেও এর দ্বারা মূলত নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেপ্তারের অনুমতি দেয়।

মাহফুজ/এমএ/

 

মাঁখোর দুই মেয়াদে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হলেন বাইরু

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ এএম
মাঁখোর দুই মেয়াদে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হলেন বাইরু
নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু (বায়ে,) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মধ্যপন্থী নেতা ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো। তার শাসনামলে তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে ফ্রান্স। বাইরু হলেন মাঁখোর মেয়াদকালের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের মেয়র এবং মধ্যপন্থী মোডেম পার্টির নেতা ফ্রাঁসোয়া বাইরু।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর দেশটির পার্লামেন্টের ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। ফলে নতুন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। একদিন পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মাঁখো।

কথা ছিল ভাষণে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেটি হয়নি। এরপর ৯ ডিসেম্বর দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এক বৈঠকে মাঁখোকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দেন। সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন তিনি।

বিবিসি জানায়, ফ্রাঁসোয়া বাইরু মাঁখোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করার আগে বাইরুর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট।

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর এরইমধ্যে অর্ধেক সময় পার করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট মাঁখো। 

নতুন প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন- এমনটাই আশা করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

চলতি গ্রীষ্মে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইমানুয়েল মাঁখো। এরপর থেকেই দেশটিতে চলছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। সূত্র: বিবিসি

নাবিল/এমএ/

নাইজারে ৩ মাসের জন্য নিষিদ্ধ বিবিসি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
নাইজারে ৩ মাসের জন্য নিষিদ্ধ বিবিসি
ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবেদন প্রচার করার অভিযোগ এনে নাইজারের সরকার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নাইজারের যোগাযোগ মন্ত্রী রালিউ সিদি মোহাম্মদ স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা যেন বিবিসির অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে বুরকিনা ফাসোর সীমান্তের কাছে অবস্থিত সশস্ত্র হামলাকারীরা নাইজারের দুটি গ্রামে ৯০ জনের বেশি সেনা এবং ৪০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। স্থানীয় জনপ্রিয় ভাষা ‘হাউসা’য় এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর এমন সিন্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।  

তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি বিবিসি।

বিবিসির সেখানকার জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলো হাউসা ভাষায় (যা নাইজারে সবচেয়ে বেশি বলা হয়) স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলোর মাধ্যমে নাইজার ও মধ্য আফ্রিকার অন্যান্য জায়গায় সম্প্রচার করে যাতে বড় পরিসরে মানুষ দেখতে পারে।

উল্লেখ্য নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো এই তিনটি পাশাপাশি দেশে গত তিন বছরে ফান্স ও পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে সেনা সমর্থিত জান্তা সরকার ক্ষমতায় বসে। এরপর সেখান থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর ঘাঁটি ও সৈন্যদের সরিয়ে নেয় ফান্স এবং রাশিয়ার প্রভাব বাড়ে দেশগুলোতে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার সেনাঘাঁটিকে স্বাগত জানিয়েছে বুরকিনা ফাসো। 

বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বিরোধী দল-মত শক্তহাতে দমন করার অভিযোগ রয়েছে জান্তাদের বিরুদ্ধে। সূত্র: এপি

মাহফুজ/এমএ/

বাংলাদেশে বাইডেনের কড়া নজর

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
বাংলাদেশে বাইডেনের কড়া নজর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
 
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিউনিকেশনস অ্যাডভাইজার জন কিরবি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।

হোয়াইট হাউজ জানায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের নজর রয়েছে।

বাংলাদেশে অবস্থানরত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসন তাদের কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা। 

এ প্রসঙ্গে জন কিরবি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই পরস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা নিশ্চিত করতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতি বাধার মুখে পড়ে।

দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কিছু। এই পরস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে কয়েক দফা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দিল্লি।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারে রাজনৈতিক অস্থরিতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

হাসিনা পালানোর পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে। দিল্লি হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কারণে এই বিদ্বেষ আরও তীব্র হচ্ছে। 

ভারতে অবস্থান করে হাসিনা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।

এদিকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশকে সমালোচনা করে দেওয়া হাসিনার বক্তব্যে দিল্লির সমর্থন নেই।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে জন কিরবি বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’ সূত্র: দ্য গ্লোবাল কাশ্মির

নাইমুর/অমিয়/

ট্রাম্পের অভিষেকে আমন্ত্রিত চীনের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
ট্রাম্পের অভিষেকে আমন্ত্রিত চীনের প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে এই আমন্ত্রণ অপ্রত্যাশিত ছিল বিশ্লেষকদের কাছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। 

২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ও বাগবিতণ্ডার মধ্যেও এই আমন্ত্রণ আশা করেননি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে ক্যারোলিন বলেন, ‘শুধু মিত্ররাষ্ট্র নয়, যাদের সঙ্গে খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, তাদের সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প বদ্ধপরিকর।’ 

তবে এই আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট সাড়া দেবেন কি না তা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চীন বিশেষজ্ঞ স্কট কেনেডি বলেন, ‘এটা কূটনৈতিক নাট্যমঞ্চের একটা দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। চীনা প্রেসিডেন্টের কথা বাদই দিলাম, ট্রাম্পের আহ্বানে আগেরবার অন্য দেশের প্রধানরাই আসেননি।’

এই আমন্ত্রণের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি। 

তবে শি যদি ট্রাম্পের ডাকে সাড়া দেন, সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে গত মেয়াদে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন। বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

কোভিড মহামারির সময় করোনা ভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ আখ্যায়িত করে বেইজিংকে মহামারির দায় নিতে বলার পর ট্রাম্প-শি সম্পর্ক আরও বিদ্বেষপূর্ণ হয়।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব আবারও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমতায় আসার আগেই চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। 

এসবের পরও ট্রাম্পের আমন্ত্রণ আলোচনার বিষয়ে তার সদিচ্ছাকে স্পষ্ট করে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এখন ভালো সম্পর্ক আছে। কোভিডের সময় আমার দিক থেকে রেষারেষির সূত্রপাত হয়েছিল এটা সত্যি।’ 

এদিকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিলকে পাঠানো এক চিঠিতে সহাবস্থানের আশা প্রকাশ করেন শি জিন পিং। সূত্র: আল-জাজিরা

নাইমুর/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });