দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ক্ষমা প্রর্থনা করেন।
ইউন তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেছেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং জনগণের প্রতি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
ভবিষ্যতে আর এমন আদেশ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন ঘোষণার পর তাকে সম্ভাব্য অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যেটি তৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পরিষদে বাতিলও করা হয়।
প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তার দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউন এখন আর স্বাভাবিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তার পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’
এদিকে ধারণা করা হয়েছিল, সামরিক আইন জারির পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউন নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি তা না করে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য তার দলকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তিনি অভিশংসন প্রসঙ্গে তেমন কিছু বলেননি।
এদিকে আজ (শনিবার) প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির কথা রয়েছে। তাকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়-ম্যাং প্রেসিডেন্ট ইউনের ভাষণে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য শুধু জনগণের রাগ ও বিশ্বাসভঙ্গের অনুভূতি বাড়াবে। আমি প্রেসিডেন্টকে সরাতে চেষ্টা করব।’
ইয়নের সামরিক আইন ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে। পরে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ইউন তার আদেশ প্রত্যাহার করেন।
তিনি দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির কারণে মূলত তিনি সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর কারণে তিনি এটি করেছিলেন। সূত্র: বিবিসি
তাওফিক/পপি/