ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হারার কারণ বাইডেন: পেলোসি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হারার কারণ বাইডেন: পেলোসি
ন্যান্সি পেলোসি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হারের জন্য জো বাইডেনকে দায়ি করেছেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওয়াশিংটনের অন্যতম প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে অন্য প্রার্থীরাও সুযোগ পেতেন।’ 

এর আগে গত জুলাই মাসে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম নির্বাচন থেকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। 

পেলোসি বলেন, ‘বাইডেন কমলা হ্যারিসকে দ্রুত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় সে সময় প্রার্থী বাছাইয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। যদি সবকিছু আরও আগে ঘটত, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। কমলা যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই লড়েছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে মনোনয়ন পেলে তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী মনোভাব নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন।’ 

এদিকে হ্যারিসের সমর্থকরাও ডেমোক্র্যাটদের হারের পেছনে বাইডেনকেই দায়ি করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডেমোক্র্যাট নির্বাচনি প্রচারক বলেন, ‘প্রচারণায় আমরা কোনো খামতি রাখিনি। একমাত্র বাইডেনের কারণেই হ্যারিস ও ডেমোক্র্যাটরা এবার হেরেছেন।’

এ দিকে বাইডেনের সমর্থক এক নির্বাচনি প্রচারক বলেন, ‘হারার পর কমলা অজুহাত দেখাচ্ছেন। এক মিলিয়ন ডলার খরচ করার পরেও কেউ হেরে গেলে দায় তার নিজেরই।’ সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/পপি/

সামরিক আইন জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ এএম
সামরিক আইন জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রার্থনা
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ক্ষমা প্রর্থনা করেন। 

ইউন তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেছেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং জনগণের প্রতি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

ভবিষ্যতে আর এমন আদেশ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন ঘোষণার পর তাকে সম্ভাব্য অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যেটি তৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পরিষদে বাতিলও করা হয়।

প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তার দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউন এখন আর স্বাভাবিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তার পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’

এদিকে ধারণা করা হয়েছিল, সামরিক আইন জারির পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউন নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি তা না করে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য তার দলকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তিনি অভিশংসন প্রসঙ্গে তেমন কিছু বলেননি।

এদিকে আজ (শনিবার) প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির কথা রয়েছে। তাকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে।

বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়-ম্যাং প্রেসিডেন্ট ইউনের ভাষণে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য শুধু জনগণের রাগ ও বিশ্বাসভঙ্গের অনুভূতি বাড়াবে। আমি প্রেসিডেন্টকে সরাতে চেষ্টা করব।’    

ইয়নের সামরিক আইন ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে। পরে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ইউন তার আদেশ প্রত্যাহার করেন।  

তিনি দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির কারণে মূলত তিনি সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর কারণে তিনি এটি করেছিলেন। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/পপি/ 

ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৩ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় তারা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগটি তোলা হয়। ৭২ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তার সহযোগীরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ইসলামাবাদের কাছে আদিয়ালা কারাগারে শুনানির আয়োজন করেন এবং সেখানে অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দেন। ইমরান খান গত এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন মামলায় ওই কারাগারে বন্দি আছেন।

২০২৩ সালে অল্প সময়ের জন্য দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। সে সময় তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। সামরিক অবকাঠামোতেও হামলার ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরে সরকারি আইনজীবী জানান, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি সন্ত্রাসের ক্যাটাগরিতে পড়ে এবং সামরিক সদর দপ্তরে হামলা ‘সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করতে উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।’ সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

নার্গিস মোহাম্মদীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
নার্গিস মোহাম্মদীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
নার্গিস মোহাম্মদী

ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার তাকে চিকিৎসাসেবার জন্য মুক্তি দিলেও ওয়াশিংটন বলেছে, তাকে কারাবন্দি রাখা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নার্গিস মোহাম্মদীর শারীরিক অবস্থা এখনো গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে তাকে আটকে রাখা একেবারেই ঠিক হয়নি। এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নার্গিসের স্বাস্থ্যের অবনতি ইরানি শাসকদের নির্যাতনের সাক্ষ্য দেয়। আমরা আবারও নার্গিস এবং অন্য রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।’

৫২ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদী ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ইরানে কারারুদ্ধ রয়েছেন। ইরানি নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব এবং মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি

যেকোনো মূল্যে রাশিয়া নিজকে রক্ষায় প্রস্তুত: ল্যাভরভ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
যেকোনো মূল্যে রাশিয়া নিজকে রক্ষায় প্রস্তুত: ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

যেকোনো উপায়ে নিজ দেশকে রক্ষা করতে রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদেরকে সম্প্রতি ইউক্রেনে আঘাত হানা ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি ‘গুরুত্বসহকারে’ ভাবতে বলেছেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দশ গুণ বেশি গতিতে ধাবিত হয়। ফক্স নিউজের সাবেক সাংবাদিক কার্লসনকে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বুঝতে হবে যে, ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের অপকৌশলকে পরাজিত করতে রাশিয়া সব উপায় অবলম্বন করবে। 

তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের দিনিপ্রতে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস অস্ত্র পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর মস্কো এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ জানিয়েছেন, রাশিয়া আর উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আগ্রহী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন যে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে রাশিয়া আরও শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। 

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার হাইপারসনিক ব্যবহারকে ‘রাশিয়ার পাগলামির সর্বশেষ লড়াই’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

ওই সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও তার মিত্রদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। ইউক্রেনে সংঘাত বৃদ্ধিতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে বদ্ধপরিকর। যদিও কোন প্রক্রিয়ায় তা শেষ হবে, সে বিষয়ে ল্যাভরভ কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। 

তিনি ট্রাম্পের বিষয়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন এমন মানুষ যিনি ফলাফল দেখতে চান। সূত্র: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকলে ‘বিপদ’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকলে ‘বিপদ’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তা হলে দক্ষিণ কোরীয়রা ‘বড় ধরনের বিপদের’ মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান দুং-হুন। তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) এই নেতা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের ‘রাষ্ট্রবিরোধিতার’ অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে হান বলেছিলেন, তারা বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাব আটকে দেবেন। কিন্তু সে অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে এসে তিনি এখন বলছেন ভিন্নকথা। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে। তবে সে প্রস্তাব পাস করতে অন্তত আটজন শাসক দলের সংসদ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন পড়বে।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসাধারণ হতবাক হয়ে যায়। তারা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পরে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

শুক্রবার নিজ বক্তব্যে হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে প্রেসিডেন্ট ইউন ক্ষমতায় থাকলে আবারও সামরিক আইন জারি করার মতো ‘চরম পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।’

হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে যে গ্রেপ্তার করার পর বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে এখন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও সামরিক আইন জারির চেষ্টা হতে পারে। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, তারা পার্লামেন্ট ভবনের কাছাকাছি থাকছেন, যাতে সে রকম কোনো ঘোষণা এলে দ্রুত সেখানে গিয়ে সেই ঘোষণা বাতিল করার জন্য ভোট দিতে পারেন। সূত্র: বিবিসি