কলকাতার আরজি কর-কাণ্ডের তিন মাস গত হয়েছে। এখন বিচার প্রক্রিয়া চলছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে শিয়ালদহ আদালতে এই হত্যার বিচার শুরু হবে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার আবারও রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন।
শনিবার আন্দোলনকারীরা পেশ করেছেন জনতার চার্জশিট। পাশাপাশি ‘দ্রোহের গ্যালারি’ সাজিয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। গতকাল একযোগে কলকাতার পথে মিছিলে নামে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট, জয়েন্ট ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ডক্টরস ফোরাম। মিছিলে শামিল হয় নাগরিক সমাজও।
শনিবার মিছিলের ডাক দেয় ‘জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।’ সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানায় চিকিৎসকসহ একাধিক সংগঠন। জুনিয়র চিকিৎসকরা মিছিল থেকে জানান, আরজি কর ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা কাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা ওই ঘটনায় যুক্ত সবার নাম জনতার চার্জশিটে দিয়েছি।
অভয়ার সুবিচার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে কলকাতার রাজপথ সাক্ষী ছিল আন্দোলনের। উৎসবের মৌসুমেও আন্দোলন চলেছে। ঘটনার তিন মাসের মাথায় আবারও প্রতিবাদে রাজপথে নামলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল প্রতিবাদী সব ছবি দিয়ে আরজি কর এবং এসএসকেএম হাসপাতালের একাডেমিক ভবনে সাজানো হয়েছে ‘দ্রোহের গ্যালারি’। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এমন গ্যালারি স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছে।
ন্যায়-বিচারের দাবিকে সামনে রেখে শনিবার কলকাতায় মূল মিছিলটি হয়েছে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। সেই নাগরিক মিছিলে শামিল হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি। পরে ‘অভয়া মঞ্চ’-এর আহ্বানে ধর্মতলায় ‘জনতার মতামত, রাজপথে আদালত’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানেই ‘জনতার চার্জশিট’ পেশ হয়। আরজি করের মূল ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামেই প্রথম চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। একজনের পক্ষে এত বড় ঘটনা ঘটানো সম্ভব কিনা, সেই প্রশ্ন তুলে এবং সঞ্জয়ের সাম্প্রতিক দাবির (প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তাকে মুখ না খোলার চাপ দেওয়া হয়েছে) পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরাও গতকালের মিছিলে অংশ নেন।