ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে এসেছে কাতার। উভয় পক্ষ রক্তপাত বন্ধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলেই কাতার সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। 

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। 

তবে এখন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো আশা দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে হামাস নেতারা সাড়া দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনো দেশের রাজধানীতে তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।

এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা। ইসরায়েল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালেই তারা আবার মধ্যস্থতা করবে। তার আগে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগে বলা হয়েছিল, ১০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত না হলে কাতার নিজের ভূমিকা থেকে সাময়িক বিরতি নেবে। 

২০১২ সাল থেকেই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি রয়েছে। 

গত শনিবার বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, একটি চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার কারণে দেশটি থেকে হামাসের ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে কাতার।

তবে এসব তথ্য ভুল বলে নিশ্চিত করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। 

কাতার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েল-হামাস মীমাংসার ক্ষেত্রে এ ঘাঁটি অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।  

হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি কাতার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলে সেটা কোথায় হবে এ বিষয়েও আলোচনা চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। 

অনেকে ইরানের কথা চিন্তা করলেও সম্প্রতি ইরানে হামাসের নেতা হত্যাকাণ্ডের পর তেহরান কাতারের মতো সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হবে না বলে মত বিশ্লেষকদের।

তুর্কিকে একটি বিকল্প হিসেবে ভাবছেন অনেকেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশটিতে হামাসের বেশ কিছু নেতা বসবাসও করছেন। 

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান এবং অঞ্চলটিতে মানবিক সংকটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিরক্তি প্রকাশ করেছে। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/পপি/

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির
সিরিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-বশির। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মাদ আল-বশিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আসাদবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন। খবর বিবিসি, আল-জাজিরার।

মোহাম্মাদ আল-বশির ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদ পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।

মোহাম্মদ আল-বশিরের জন্ম ১৯৮৩ সালে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে ইদলিবে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের (এসএসজি) প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়। এর আগে তিনি এসএসজির উন্নয়ন ও মানবিকবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সিরিয়ার গ্যাস কোম্পানির সাবেক কর্মী বশির ইঞ্জিনিয়ারিং, শরিয়াহ ও আইনে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বিদ্রোহীদের ১২ দিনের এক ঝটিকা অভিযানে গত রবিবার পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের। এরপর প্রথমেই সামনে আসে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি। আল-বশিরকে যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে, তা সোমবার থেকেই শোনা যাচ্ছিল। 

বাশার আল-আসাদের পতনের আগে থেকেই ইদলিব বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) নিয়ন্ত্রণে ছিল। সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট তাদেরই সরকার। বাশারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্বে ছিল এই এইচটিএস। গত সোমবার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে বাশার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি ও আল-বশিরের সঙ্গে বৈঠক হয়। পরে সংবাদমাধ্যমে আল-জালালি জানিয়েছিলেন, তিনি সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি আছেন।

বিশ্বে এ বছর নিহত হয়েছেন ১০৪ সাংবাদিক: আইএফজে

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
বিশ্বে এ বছর নিহত হয়েছেন ১০৪ সাংবাদিক: আইএফজে
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর সারা বিশ্বে ১০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অর্ধেক নিহত হয়েছেন গাজায়। তাছাড়া এই মুহূর্তে বিশ্বে ৫২০ জন সাংবদিক জেলে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফেডারেশন (আইএফজে) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএফজের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এ বছর ৫৫ জন ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

আইএফজের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্থনি বেলাঞ্জার এএফপিকে বলেন ‘গেল বছর সারা বিশ্বে ১২৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন। যদিও এ বছর আগের বছরের তুলনায় কম নিহত হয়েছেন, তবুও এই বছরটি ছিল একটি দুর্বিষহ বছর।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা অভিযান শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

বিশ্বের সম্মূখে গাজায় যে গণহত্যা চলছে তার নিন্দা জানান অ্যান্থনি বেলাঞ্জার।

তিনি বলেন, গাজায় সাংবাদিকদের টার্গেট করে মারা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের পর সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এশিয়ার অন্যান্য দেশে। এরমধ্যে পাকিস্তানে ছয়জন, বাংলাদেশে পাঁচজন এবং ভারতে তিনজন নিহত হয়েছেন।

ইউরোপের ক্ষেত্রে ইউক্রেনে ২০২৪ সালে চার সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

এছাড়া চীনে ১৩৫ জন সাংবাদিক এখনো বন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএফজে। সূত্র- দ্য ডন

সুমন/অমিয়/

সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স-জার্মানি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স-জার্মানি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় ফ্রান্স ও জার্মানি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক ফোনালাপে এ কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।

ফোনালাপের বিষয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, দুই নেতা ফোনালাপে দেশটির নতুন সরকারের কাছে মানুষের মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।

এ ছাড়া দুই নেতা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দেশত্যাগের বিষয়েও আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফোনালাপে দুই নেতা সিরিয়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তাছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সহযোগিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও কথা বলেন। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাবিল/এমএ/

সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহী জোট

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহী জোট
সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন দেশটির জনগণ ও বিশ্ব মোড়লদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিদ্রোহী জোট এখন নতুন সরকার গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে।
 
ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন স্যালভেশন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সম্মত হয়েছেন। 

তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জালালি।

এদিকে বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল-গোলানি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করতে জালালি ও উপরাষ্ট্রপতি ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। 

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরা জানায়, বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন ট্রানজিশনাল অথরিটির প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ আল-বাশিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আগে স্যালভেশন সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন।

বিদ্রোহী জোটের অন্যতম প্রধান অংশ হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। যেটি সিরিয়ার যুদ্ধকে একটি নতুন মোড় দিয়েছে। 

২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত শত হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে এবং দেশের অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তবে বিদ্রোহী জোটের পক্ষ থেকে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা জানানো হয়নি।  
এদিকে দামেস্কে কিছু বিদ্রোহী যোদ্ধা জানান, তারা আশা করেন, শীঘ্রই একটি বেসামরিক প্রশাসন দায়িত্ব নেবে এবং দেশটি শান্তির পথে এগিয়ে যাবে।

ফেরদৌস ওমর নামে এক বিদ্রোহী যোদ্ধা বলেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষমতায় আসুক।’ 

এইচটিএস ঘোষণা করেছে, তারা দেশের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের শাস্তি দেবে। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাল কাতার

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাল কাতার
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় রোধে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে কাতার।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত  করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর হয়ে এ সহায়তা দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, চিকিৎসাসামগ্রী ও অস্থায়ী তাঁবু।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রতিষ্ঠিত কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি) পক্ষ থেকে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে পাঠানো একটি পোস্টে জানানো হয়। সূত্র: আল-জাজিরা

নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });