ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলছে যুদ্ধবিরতি। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধমূলক সংগঠন হামাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তারা আরও জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত এই যোদ্ধারা ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হয়ে থাকতে পারে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন কংগ্রেসের দুটি সূত্রে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গাজা যুদ্ধে হামাস যত সংখ্যক যোদ্ধা হারিয়েছে প্রায় সমসংখ্যক যোদ্ধা নতুনভাবে যোগদান করেছে। তবে এই বিষয়টি এখনো মার্কিন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।
হামাস এবং ইসরায়েল গত রবিবার ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এই সংঘাত গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করেছে।
গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, হামাস নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিলেও তাদের অনেকে তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। এদের সাধারণ নিরাপত্তা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১৪ জানুয়ারি সতর্ক করে বলেছিলেন, হামাস যতো যোদ্ধা হারিয়েছে, প্রায় ততোই নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গাজা যুদ্ধে হামাসের প্রায় ২০ হাজার যোদ্ধা নিহত হতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তারা হামাসকে একটি দীর্ঘমেয়াদি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক এভ্রিল হেইন্স বলেছেন, ‘গাজা সংকটের কারণে সন্ত্রাসবাদে প্রভাব পড়বে এবং এটি বিশ্বজুড়ে সহিংসতাকে উসকে দিবে।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, হামাসের বেশিরভাগ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছে, তবে সংগঠনটি এখনো সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, ‘হামাস গাজা শাসন করবে না। যদি তারা চুক্তি ভঙ্গ করে, তবে ইসরায়েল যা প্রয়োজন তাই করবে এবং ওয়াশিংটন তাদের সমর্থন করবে।’ সূত্র: রয়টার্স
তাওফিক/