সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হোমস থেকে আসাদ সরকারের বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে শহরটির প্রবেশপথে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনী তাহরির আল-শামের তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছিল। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি'র
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) অন্য আরেকটি বড় শহর হামা দখলে নিয়েছিল তাহরির আল-শাম। মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বড় সাফল্য পেতে যাচ্ছে বিদ্রোহী বাহিনী। গত সপ্তাহে আলেপ্পো শহরও দখলে নিয়েছেল বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বেড়ে এখন ২৮ হাজার ৫২৫ বর্গকিলোমিটার হয়েছে।
যদি বিদ্রোহী বাহিনী হোমস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তাহলে দামেস্ক এবং উপকূলীয় অঞ্চলের পথ খুলে যাবে। এটি রাশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি তারতুস ও হেমেইমিমের জন্য বড় হুমকির কারণ হবে।
বিদ্রোহী বাহিনীর কমান্ডার হাসান আবদুল গানি বলেন, ‘আমাদের সময় বাঁচানোর জন্য আমরা আসাদ বাহিনীকে পরামর্শ দিচ্ছি, চলে যাও হোমস থেকে, দামেস্ক থেকে এবং পুরো সিরিয়া থেকেই।’
সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী নতুন করে ‘সাউদার্ন অপারেশনস রুম’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে, ‘আমাদের গন্তব্য দামেস্ক।’
এদিকে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘ইদলিব, হামা এবং হোমস সিরিয়ার বিরোধীদের হাতে। এখন তারা দামেস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা আশা করি, সিরিয়ার এই অভিযান কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই এগিয়ে যাবে।’ তাছাড়া সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে লেবানন ও জর্ডান সিরিয়ার সঙ্গে তাদের সকল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।
সিরিয়ার আসাদ সরকারের বড় সহযোগী রাশিয়া তার নাগরিকদের অবিলম্বে সিরিয়া ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল চীনও তার নাগরিকদের সিরিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
সিরিয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল কাতারের দোহায় একটি বিশেষ বৈঠকে বসবে তুরস্ক, ইরান এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি।
মাহফুজ/এমএ/