ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বাড়ছে, মহামারির আশঙ্কা ডব্লিউএইচওর

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ এএম
ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বাড়ছে, মহামারির আশঙ্কা ডব্লিউএইচওর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ছবি: সংগৃহীত

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুহার এত দ্রুত বেড়ে চলেছে যে, মহামারির আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছর এ রোগে প্রায় ৫ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও এ তথ্য দিয়ে রোগটি প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ২৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ম্যলেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর প্রকোপ বাড়ছে।

ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের আর্নড লে মেনাচ সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুহারের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আমরা প্রাক-মহামারি অবস্থায় আছি।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ব্যাহত হয়। ফলে ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যু বেড়ে যায়। সেই বছর ম্যালেরিয়ায় অতিরিক্ত ৫৫ হাজার মারা গিয়েছিল।

তারপর থেকে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমেছে। পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কমেছে।

কিন্তু ২০২৩ সালে ম্যালেরিয়ায় আফ্রিকায় আনুমানিক মৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১ লাখে ৫২ দশমিক ৪। যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। 

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে জানিয়েছে, ‘ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে দ্রুতই পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে হবে।’

ডব্লিউএইচও ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে রোলআউটকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত করেছে, যা প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন কার্যক্রম প্রথম ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মালাউইতে শুরু করা হয়। এরপর কেনিয়া এবং ঘানাতে এ টিকা কার্যক্রম চালানো হয়। ২০২৩ সালের শেষদিকে এই তিনটি দেশে প্রায় ২০ লাখ শিশু আরটিএস,এস ভ্যাকসিনের টিকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। 

ডব্লিউএইচওর ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন দলের প্রধান মেরি হ্যামেল বলেন, ‘ওই তিনটি দেশে আমাদের পাইলট টিকা কর্মসূচির মাধ্যমে চার বছরে মৃত্যুহার ১৩ শতাংশ কমে গেছে।’

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউএইচও এখন অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন কর্মসূচির অনুরূপ ফল দেখার জন্য উন্মুখ। এই দেশগুলোও চলতি বছরের শুরুতে ‘একই পথ অনুসরণ করে’ টিকা দিতে শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত সাব-সাহারান আফ্রিকাজুড়ে ১৭টি দেশ ডব্লিউএইচও নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। আরও আটটি দেশ ভ্যাকসিন জোট জিএবিআইয়ের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য তহবিলের অনুমোদন পেয়েছে। 

বাসস/তাওফিক/অমিয়/ 

নেতানিয়াহুর নিরাপত্তামন্ত্রীসহ ৩ জনের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
নেতানিয়াহুর নিরাপত্তামন্ত্রীসহ ৩ জনের পদত্যাগ
ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর ও তার দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ ঘোষণা করছে। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করায় কট্টর ইহুদিপন্থী ও ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে তার দল ন্যাশনালিস্ট-রিলিজিয়াস ওজমা ইহুদিত পার্টির অন্য দুই মন্ত্রীও নেতানিয়াহুর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছে।

হামাসের সঙ্গে কোনোপ্রকার সমঝোতা করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে তারা পদত্যাগ করবেন এমন ঘোষণা তারা আগেই দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে নেতানিয়াহুর অফিস থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করায় এ ঘোষণা তারা।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এ চুক্তি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সন্ত্রাসীদের (‌হামাসের) কাছে পরাজয়ের শামিল। তারা আরও বলে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হত্যাকারীদের (ইসরায়েলের হাতে বন্দী ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়া হবে। তাই তারা নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেন। 

তবে তারা আরও জানায়, তারা নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে সরে গিয়ে পদত্যাগ করেছে কিন্তু তারা নেতানিয়াহুর সরকারকে কোনো প্রকার সমস্যায় ফেলতে চায় না। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না।

পার্লামেন্টে বেন গাভীরের দলের ৬ জন সদস্য আছে। এই পদত্যাগের কারণে নেতানিয়াহুর সরকারে পতন হবে না। কারণ তারা চলে গেলেও ৬২ এমপি থাকবে। ইসরায়েলে কোনো দল বা জোটের ক্ষমতায় আসতে বা থাকতে হলে ১২০ সদস্য বিশিষ্ট সংসদের কমপক্ষে ৬১ জন এমপির সমর্থন দরকার।

এর আগে অর্থমন্ত্রী ও রিলিজিয়াস জায়ানিজম পার্টির প্রধান বেজালেল স্মোট্রিচও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু তার কাছ থেকে এখনো পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায় নি।

বেন গাভির ও স্মোট্রিচ হলেন ইসরায়েলের মন্ত্রীসভায় সবচেয়ে কট্টর ইহুদিপন্থী। তাদের কারণেই আগের যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলো স্বাক্ষর হয় নি। তারা হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় চান এবং হামাসকে নির্মূল করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এদিকে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের উদ্ধার করা নিয়ে চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর। যুদ্ধের মাধ্যমেও নির্মূল করা যায়নি হামাসকে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস 

মাহফুজ

 

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর
হামাস জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ করায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হচ্ছে হয়েছে। হামাস ইসরায়েলের হাতে জিম্মিদের তালিকা তুলে দেওয়ায় স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫মিনিটে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানায়। 

এদিকে আজ স্থানীয় সময় সকাল আড়ে ৮টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ না করায় তা আর কার্যকর করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। 

এর আগে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবন্দি মুক্তিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস। ইসরায়েল এই জিম্মিদের তালিকা চেয়েছিল। কিন্তু হামাস প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রকাশ করেতে পারেনি। যার ফলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। 

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রথম প্রহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/ 

ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে কঠোর বার্তা লেবাননের

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে কঠোর বার্তা লেবাননের
লেবাননের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। ছবি: আনাদুলু নিউজ অ্যাজেন্সি

লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে কঠোর বার্তা দিয়েছেন লেবাননের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। তিনি জানান, গত নভেম্বরের ২৭ তারিখে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় দখলকৃত ভূখণ্ড থেকে সরে যেতে হবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আউন এসব কথা বলেন।

রবিবার(১৯ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট কার্যলয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আনাদুলু নিউজ অ্যাজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে। 

বিবৃতি জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আউন ইসরায়েলি বাহিনী স্থল ও আকাশপথের সীমা ক্রমাগত লঙ্ঘণ করার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাড়িঘর ধ্বংস করার বিষয়ে মহাসচিবের নিকট তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে আউন বলেন, ‘ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। বাড়িঘরে ও সীমান্তে বোমাবর্ষণ করে গ্রাম ধ্বংস করছে যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি লেবাননের সার্বভৌমত্বের জন্য আঘাত।’

এর আগে জোসেফ আউন গত ৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং গেল দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে শূন্য থাকা শীর্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার লেবানন সফরে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘের মহাসচিব জানান, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় আগামী ২৬ জানুয়ারি মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

এদিকে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ইসরায়েল ও লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী হিজবুল্লাহ লিটানি নদী থেকে পিছু হটবে এবং সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলবে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চ থেকে সরে যাবে। সূত্র: আনাদুলু নিউজ অ্যাজেন্সি

তাওফিক/ 

অনিশ্চয়তায় গাজা যুদ্ধবিরতি, অভিযান অব্যাহত রাখার হুমকি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
অনিশ্চয়তায় গাজা যুদ্ধবিরতি, অভিযান অব্যাহত রাখার হুমকি ইসরায়েলের
অনিশ্চয়তায় গাজা যুদ্ধবিরতি। ছবি: বিবিসি

দীর্ঘ ১৫ মাসের হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে অবসান হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন অনিশ্চয়তার দ্বারপ্রান্তে। যেটি আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত পূরণ না করায় এই যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আবারও গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখবে। 

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, হামাস তাদের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘হামাস জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না।’

এরই প্রেক্ষিতে হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত কারণে জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ করতে দেরী হয়েছে। তবে অতি শিগগিরই এই জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।  

এদিকে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবন্দি মুক্তিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর এর বিপরীতে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/ 

তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত
জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ না করায় বিলম্বিত হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি। চিন্তায় গাজাবাসী। ছবি: বিবিসি

ফিলিন্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকদের তালিকা প্রকাশ না করায় গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত হচ্ছে। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘হামাস জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না।’

এদিকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়। যেটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

এরই প্রেক্ষিতে হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত কারণে জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ করতে দেরী হয়েছে। 

এর আগে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবন্দি মুক্তিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর এর বিপরীতে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/