ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান। ছবি: সংগৃহীত

গাজা ও সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন।

এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পথ কিছুটা মসৃণ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরিতি প্রস্তাবের আলোচনার অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  
জর্ডান সফর শেষে ব্লিঙ্কেন তুর্কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে ইসরায়েল, মিশর ও কাতারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন সালিভান। 

২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের কিছুটা কার্যকর প্রভাব রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পায় সিরিয়া। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে পালিয়ে সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
  
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পাশাপাশি খোদ যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে আসাদের পতনের পর এইচটিএসকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এ বিষয়ে সফর শুরুর আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারব্যবস্থার পক্ষে। সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ 

এদিকে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়টিও এই সফরের আলোচ্য বিষয়।

এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও যুদ্ধে আটক হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির উদ্দেশ্যে কাতার ও মিশরের সাহায্য চাইবে বলেন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অতীতে এ ধরনের আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও এবারের সফর কার্যকর সমাধান নিয়ে আসবে বলে আশা করেছে বাইডেন প্রশাসন। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘বিশ্ব হামাসকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না, এটা তাদের বোঝোর সময় হয়েছে।’

আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি খুব কাছে- এ কথা বলছি না। তবে প্রত্যেক পদক্ষেপই আমাদেরকে শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিনটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য জানায় জিও নিউজ। 

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী লাক্কি মারওয়াতে একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ১৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ছয়জন আহত হয়েছে।

আরেকটি অভিযান খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলার একটি এলাকায় পরিচালিত হয়, যেখানে আট সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।

অন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয় খাইবার জেলার বাঘ এলাকায়, যেখানে চারজন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল, রিং লিডার আযিজ উর রহমান (ক্বারি ইসমাইল) এবং মুকলিস। এ ছাড়া দুইজন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিদপ্তরটি আরও জানায়, এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নিরীহ সাধারণ মানুষকে  হত্যা করার মতো বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো।

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আরও জানিয়েছে, ‘সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

এদিকে, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সফল অভিযানের জন্য তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। সূত্র: জিও নিউজ

তাওফিক/ 

সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ এএম
সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড
পানির নিচে নিজের ক্যাপসুলে কোচ। ছবি: সংগৃহীত

পানামা উপকূলে সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন জার্মান নাগরিক রুডিগার কোচ (৫৯)। মূলত ৩০ মিটারের একটি ক্যাপসুলের ভেতরে তিনি এ সময়টা কাটিয়েছেন। গত শুক্রবার ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে আসেন কোচ। 

রুডিগার কোচ বের হয়ে আসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা রেয়েস।

এর আগে পানির নিচে সর্বোচ্চ সময় অবস্থানের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জোসেফ দিতুরির। তিনি ফ্লোরিডার এক লেকে নিজের রেকর্ডটি করেন। মোট ১০০ দিন পানির নিচে অবস্থান করেছিলেন তিনি। 

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা  কোচের নতুন রেকর্ড গড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সমুদ্রের ৩৬ ফুট গভীরে থাকা ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে কোচ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা দুঃসাহসিক কাজ ছিল, যা শেষ হয়েছে। অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল, যেখানে সবকিছু শান্ত ও অন্ধকারময়। সমুদ্র সেখানে জ্বলজ্বল করে। পোর্টহোলের মাধ্যমে সমুদ্রের দৃশ্য দেখেছেন বলেও জানান রুডিগার কোচ।

কোচ বলেন, এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব। আপনাকে নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করতে হবে। 

রুডিগার কোচের ৩০ মিটার ওই ক্যাপসুলে একটা বিছানা, একটা টয়লেট, টিভি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল। সঙ্গে শরীরচর্চার সাইকেলও ছিল।   

কোচ শুধু বিশ্বরেকর্ড করার জন্য কাজটি করেননি। মানুষের সমুদ্রে আবাস গড়ে তোলা সম্পর্কিত নতুন ধারণাকে উৎসাহিত করতে চান তিনি। এটি যে করা সম্ভব, সেটি প্রমাণ করার জন্যই এ কাজ করেছেন কোচ। সমুদ্রের তলদেশে তিনি যা যা করেছেন, সেগুলো চারটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। কোচের এই রেকর্ডের পর নতুন করে পানির নিচে বসবাসের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সূত্র: রয়টার্স 

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এ লক্ষ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন যুদ্ধ না থামায় তা হলে দেশটির ওপর আরও কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। 

পুতিন এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার টিভি সাংবাদিককে বলেছেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের) বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিবৃতি থেকে বুঝতে পেরেছি যে তিনি একত্রে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা সব সময়ই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহী ও প্রস্তুত। বর্তমানের বাস্তবতায় আমাদের দেখা করা উচিত এবং ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করা উচিত।’    

এ ছাড়াও পুতিন জানান যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাস্তবমুখী, ব্যবসায়িক ও নির্ভরযোগ্য। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এক ডিক্রি স্বাক্ষর করে রেখেছেন, যার কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন না। 

ট্রাম্পের পক্ষে বেশ কিছু কথাও বলেছেন পুতিন। তিনি দাবি করেন যে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ হয়তো শুরু হতো না। ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনেও ট্রাম্প বঞ্চিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। তিনি পুতিনের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে বসতে প্রস্তুত এমনটাও জানিয়েছেন। 

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শান্তি অর্জনের ইচ্ছাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। তবে আমি নিশ্চিত যে, কোনো রুশ কূটকৌশলই আর সফল হবে না।’ সূত্র: রয়টার্স   

মেক্সিকোতে নামতে পারল না মার্কিন বিমান

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
মেক্সিকোতে নামতে পারল না মার্কিন বিমান
মেক্সিকোর সীমান্তে অপেক্ষারত কিছু অভিবাসী । যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অনুরোধ রাখেনি মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া অভিবাসীদেরকে মেক্সিকোতে রেখে আসতে চেয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ জন্য দেশটিতে মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অনুমতি দেয়নি দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 

গত শুক্রবার গুয়াতেমালাতেও একই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট দুটি ফ্লাইটে ৮০ জন করে ১৬০ জন অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানো হয়। তবে মেক্সিকোর অনুমতি না পাওয়ায় সেদিকে আর অভিবাসী পাঠাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাদের। অভিবাসীসংক্রান্ত নানা ইস্যুতে তারা সহযোগিতাও করে। প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তারা আনন্দের সঙ্গেই মেক্সিকান অভিবাসীদের গ্রহণ করবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেনি। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও এ ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই। 

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পুরোনো এক কর্মসূচি আবার শুরু করে। ওই কর্মসূচির নাম ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’। এর আওতায় মেক্সিকান নন এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে জোরপূর্বক রাখা হয়। 

মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাম গত বুধবার জানান, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য যেসব মার্কিন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তার দেশ গ্রহণ করবে, তাদেরও সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। মেক্সিকো এখনো এটি করেনি। 

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর নতুন করে আবার আলোচনায় চলে আসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সম্পর্ক। ট্রাম্প ওভাল অফিসে পা রেখেই সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত তারা সে সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে। এ ছাড়াও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামীতে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে ওই সীমান্তে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

মুক্তি পেলেন আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
মুক্তি পেলেন আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি
ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীরে ফিরছে বাসগুলো। ছবি: সংগৃহীত

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ছিলেন।

চার ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২০০ জন ফিলিস্তিনি। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের রামাল্লার বিতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আমরা এইমাত্র নিশ্চিত করেছি যে, রেডক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিরে আসা চার জিম্মিকে বর্তমানে আইডিএফ বিশেষ বাহিনী এবং আইএসএ বাহিনী তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর আগে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার এবং সৈন্যরা ফিরে আসা জিম্মিদের অভিবাদন জানিয়েছে।’ তবে ‘আইডিএফের মুখপাত্রের ইউনিট সবাইকে ফিরে আসা জিম্মি এবং তাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করতে অনুরোধ করেছে।’

মুক্তি পাওয়া চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে শেষ অভ্যর্থনা জানায় হামাস। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তি পেতে যাওয়া ২০০ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং প্রায় সবাই দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এদের মধ্যে আছেন একজন ৬৯ বছর বয়সী যিনি ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে ইসরায়েলি কারাগারে ছিলেন। মুক্তি পেতে যাওয়া সর্বকনিষ্ঠ বন্দি ১৫ বছর বয়সী এক তরুণ।

মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিশরের মাধ্যমে তিউনিশিয়া, কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর অল্পসংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে। সূত্র: আল জাজিরা