দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী শনিবার তার বিরুদ্ধে আবার অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হবে। এবিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল বলেন, ‘আমি অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দীর্ঘ ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউন বলেন, ‘সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্রের পতন রোধ এবং বিরোধী দলের সংসদীয় একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি আইনগত সিদ্ধান্ত।’
সামরিক শাসন জারি নিয়ে গত ভাষণগুলোতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেও এবারই প্রথম তিনি জোরালোভাবে নিজেকে সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন এবং তার সিদ্ধান্তে অটল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে পদত্যাগ করাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিশংসনের আযোজন করছে কিন্তু আমি এতে হার মানব না।’
এর আগে বিরোধী দল গত শনিবার অভিশংসনের আয়োজন করে কিন্তু ক্ষমতাসীন দল (পিপল পাওয়ার পার্টি, পিপিপি) ভোট বর্জন করায় প্রেসিডেন্ট অভিশংসন থেকে মুক্তি পান।
যদি পার্লামেন্টে অভিশংসনের বিলটি পাস হয় তাহলে সেটি যাবে সংবিধানের কোর্টে। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্টসহ তার অনেক সহকর্মী জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং কয়েকজনের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
মাহফুজ/এমএ/