ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
ছবি : সংগৃহীত

এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে। গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধের এক প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৮টিদেশ।

বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনাসহ ৮ দেশ। 

বিপক্ষে ভোট দেওয়া অন্য দেশগুলো হলো ইসরায়েল, হাঙ্গেরি, প্যারাগুয়ে, টোঙ্গা, পাপুয়া নিউ গিনি, নাউরু এবং চেক প্রজাতন্ত্র। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ১২ দেশ। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসের মধ্যে অবিলম্বে শর্তহীন ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবিও করা হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলো মানতে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এসব প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়।

এদিকে গাজা উপত্যকায় গতকাল ইসরায়েলের চালানো হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮০৫ জনে।

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লেবানন থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

সেন্টকম জানায়, কমান্ড প্রধান জেনারেল এরিক কুরিলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতিস্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন।

কুরিলার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থায়ীভাবে সংঘাতের অবসান ঘটাতে এটি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংঘাত বন্ধে এটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সপ্তম ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে তাদের অভিযান শেষ করেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিতে লেবাননের সেনাদের খিয়াম এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ইউনিফিল) সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

ট্রাম্পের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হতে পারে সৌদি আরব

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
ট্রাম্পের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হতে পারে সৌদি আরব
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর সৌদি আরবে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প সবার আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।
 
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার প্রথম বিদেশি সফর সৌদি আরব হতে পারে।’ 

তবে ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা প্রথমে ব্রিটেনে সফর করেন।

ট্রাম্প জানান, আন্তর্জাতিক সফরের প্রথমেই সৌদি আরবে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, আরব দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কিনতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছিল।

‘এখনও যদি সেই প্রস্তব সঠিক হয়, তবে আমি আবারও সেখানে যাব,’ তিনি বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক মিত্র সৌদি আরব। ট্রাম্প তার প্রথম দফার শাসনামলে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।

এদিকে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প সবার আগে রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সে সময় সৌদি সরকার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। সূত্র: রয়টার্স
 
তাওফিক/ 

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিনটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য জানায় জিও নিউজ। 

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী লাক্কি মারওয়াতে একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ১৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ছয়জন আহত হয়েছে।

আরেকটি অভিযান খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলার একটি এলাকায় পরিচালিত হয়, যেখানে আট সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।

অন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয় খাইবার জেলার বাঘ এলাকায়, যেখানে চারজন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল, রিং লিডার আযিজ উর রহমান (ক্বারি ইসমাইল) এবং মুকলিস। এ ছাড়া দুইজন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিদপ্তরটি আরও জানায়, এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নিরীহ সাধারণ মানুষকে  হত্যা করার মতো বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো।

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আরও জানিয়েছে, ‘সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

এদিকে, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সফল অভিযানের জন্য তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। সূত্র: জিও নিউজ

তাওফিক/ 

সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ এএম
সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড
পানির নিচে নিজের ক্যাপসুলে কোচ। ছবি: সংগৃহীত

পানামা উপকূলে সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন জার্মান নাগরিক রুডিগার কোচ (৫৯)। মূলত ৩০ মিটারের একটি ক্যাপসুলের ভেতরে তিনি এ সময়টা কাটিয়েছেন। গত শুক্রবার ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে আসেন কোচ। 

রুডিগার কোচ বের হয়ে আসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা রেয়েস।

এর আগে পানির নিচে সর্বোচ্চ সময় অবস্থানের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জোসেফ দিতুরির। তিনি ফ্লোরিডার এক লেকে নিজের রেকর্ডটি করেন। মোট ১০০ দিন পানির নিচে অবস্থান করেছিলেন তিনি। 

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা  কোচের নতুন রেকর্ড গড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সমুদ্রের ৩৬ ফুট গভীরে থাকা ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে কোচ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা দুঃসাহসিক কাজ ছিল, যা শেষ হয়েছে। অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল, যেখানে সবকিছু শান্ত ও অন্ধকারময়। সমুদ্র সেখানে জ্বলজ্বল করে। পোর্টহোলের মাধ্যমে সমুদ্রের দৃশ্য দেখেছেন বলেও জানান রুডিগার কোচ।

কোচ বলেন, এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব। আপনাকে নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করতে হবে। 

রুডিগার কোচের ৩০ মিটার ওই ক্যাপসুলে একটা বিছানা, একটা টয়লেট, টিভি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল। সঙ্গে শরীরচর্চার সাইকেলও ছিল।   

কোচ শুধু বিশ্বরেকর্ড করার জন্য কাজটি করেননি। মানুষের সমুদ্রে আবাস গড়ে তোলা সম্পর্কিত নতুন ধারণাকে উৎসাহিত করতে চান তিনি। এটি যে করা সম্ভব, সেটি প্রমাণ করার জন্যই এ কাজ করেছেন কোচ। সমুদ্রের তলদেশে তিনি যা যা করেছেন, সেগুলো চারটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। কোচের এই রেকর্ডের পর নতুন করে পানির নিচে বসবাসের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সূত্র: রয়টার্স 

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এ লক্ষ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন যুদ্ধ না থামায় তা হলে দেশটির ওপর আরও কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। 

পুতিন এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার টিভি সাংবাদিককে বলেছেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের) বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিবৃতি থেকে বুঝতে পেরেছি যে তিনি একত্রে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা সব সময়ই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহী ও প্রস্তুত। বর্তমানের বাস্তবতায় আমাদের দেখা করা উচিত এবং ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করা উচিত।’    

এ ছাড়াও পুতিন জানান যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাস্তবমুখী, ব্যবসায়িক ও নির্ভরযোগ্য। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এক ডিক্রি স্বাক্ষর করে রেখেছেন, যার কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন না। 

ট্রাম্পের পক্ষে বেশ কিছু কথাও বলেছেন পুতিন। তিনি দাবি করেন যে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ হয়তো শুরু হতো না। ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনেও ট্রাম্প বঞ্চিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। তিনি পুতিনের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে বসতে প্রস্তুত এমনটাও জানিয়েছেন। 

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শান্তি অর্জনের ইচ্ছাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। তবে আমি নিশ্চিত যে, কোনো রুশ কূটকৌশলই আর সফল হবে না।’ সূত্র: রয়টার্স   

মেক্সিকোতে নামতে পারল না মার্কিন বিমান

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
মেক্সিকোতে নামতে পারল না মার্কিন বিমান
মেক্সিকোর সীমান্তে অপেক্ষারত কিছু অভিবাসী । যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অনুরোধ রাখেনি মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া অভিবাসীদেরকে মেক্সিকোতে রেখে আসতে চেয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ জন্য দেশটিতে মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অনুমতি দেয়নি দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 

গত শুক্রবার গুয়াতেমালাতেও একই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট দুটি ফ্লাইটে ৮০ জন করে ১৬০ জন অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানো হয়। তবে মেক্সিকোর অনুমতি না পাওয়ায় সেদিকে আর অভিবাসী পাঠাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাদের। অভিবাসীসংক্রান্ত নানা ইস্যুতে তারা সহযোগিতাও করে। প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তারা আনন্দের সঙ্গেই মেক্সিকান অভিবাসীদের গ্রহণ করবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেনি। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও এ ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই। 

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পুরোনো এক কর্মসূচি আবার শুরু করে। ওই কর্মসূচির নাম ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’। এর আওতায় মেক্সিকান নন এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে জোরপূর্বক রাখা হয়। 

মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাম গত বুধবার জানান, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য যেসব মার্কিন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তার দেশ গ্রহণ করবে, তাদেরও সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। মেক্সিকো এখনো এটি করেনি। 

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর নতুন করে আবার আলোচনায় চলে আসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সম্পর্ক। ট্রাম্প ওভাল অফিসে পা রেখেই সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত তারা সে সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে। এ ছাড়াও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামীতে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে ওই সীমান্তে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স