জীবনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অগাধ। কিন্তু অনেকেই নানা কারণে জীবনের প্রতি বীতস্পৃহ হয়ে পড়েন। তখন অনেকেই আর বাঁচতে চান না। তাদের জন্য মৃত্যুই হয়ে ওঠে একমাত্র মুক্তির পথ। আর এই অনুভূতি বাস্তবে পরিণত করতে ‘ইউথেনেশিয়া’র মতো প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। ইউথেনেশিয়া হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন শেষ করেন। কিছু দেশে এটি আইনসম্মত এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এটি এক বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।
কানাডায় ইউথেনেশিয়া তথা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর হার পাঁচ বছর ধরে ধীর গতিতে বাড়ছে। দেশটি ২০১৬ সালে স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনিভাবে বৈধতা দেওয়ার পর পঞ্চম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ইউথেনেশিয়া চাওয়া ব্যক্তিদের জাতিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। গত বুধবার হেলথ কানাডা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, গত বছর কানাডায় প্রায় ১৫ হাজার ৩০০ মানুষ ইউথেনেশিয়ার সাহায্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। যা দেশটির মোট মৃত্যুর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশটির আইনপ্রণেতারা ২০২৭ সালের মধ্যে মানসিক রোগে আক্রান্তদের জন্য এই ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, যেসব দেশে ইউথেনেশিয়ার আইনি বৈধতা রয়েছে কানাডা তার মধ্যে একটি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন এবং অস্ট্রিয়াতেও এ আইনের বৈধতা আছে।
হেলথ কানাডা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কানাডায় স্বেচ্ছায় মৃত্যুর হার ২০২৩ সালে প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই হার আগের বছরগুলোর গড় ৩১ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই বৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনের কারণ কী তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
যেসব মানুষ সহায়ক মৃত্যুর আবেদন করেছিলেন তাদের ৯৬ শতাংশই স্বাভাবিক মৃত্যুর কাছাকাছি ছিলেন। বাকি ৪ শতাংশ ইউথেনেশিয়া পেয়েছিলেন, যারা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সূত্র: বিবিসি