ইসরায়েলের পৃথক বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৬৬ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।
স্থাস্থ্যকর্মীদের তথ্যমতে ঘটনাস্থলের আশেপাশে বেশ কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ঘরছাড়া ফিলিস্তিনের নাগরিকরা নুসেইরাত অঞ্চলে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছিলেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়লের যুদ্ধ শুরু হলে এই অঞ্চলে আরও শরণার্থী এসে আশ্রয় নেন।
বৃহস্পতিবারের হামলায় রাফা অঞ্চলের খান ইউনিসে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে- নিহতরা ত্রাণের গাড়ি দেখভালের কাজে কর্মরত ছিলেন।
তবে ইসরায়লের দাবি, হামাস সদস্যরা ত্রাণের পণ্য লুট করতে আসলে হামলা চালানো হয়। হামাসের ‘জঙ্গী তৎপরতা’ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বেশ কয়েকবার ত্রাণের ট্রাক সশস্ত্র ডাকাতের কবলে পড়ায় হামাস ছোট ছোট দল গঠন করে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
সংগঠনটির দাবি, গত এক বছরে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত প্রায় ৭০০ জন হামাস সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
হামলার আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি জেলায় বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ঘোষণার পর অঞ্চলগুলো থেকে বেশিরভাগ পরিবারকেই গাজার মধ্যাঞ্চলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
একইদিনে আরেকটি পৃথক হামলায় পশ্চিম নুসেইরেত অঞ্চলের আল-জালালা সড়কে ২২ জন নিহত হয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে মারা গেছেন আল-আওদা হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এক হাজার ৫৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরিতি বাস্তবায়ন করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাভভাইজার জেক সালিভান। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/অমিয়/