ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ৬৬

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পিএম
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ৬৬
ইসরায়েলের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ গাজার নুসেইরাত এলাকার শরণার্থী শিবির। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের পৃথক বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৬৬ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।

স্থাস্থ্যকর্মীদের তথ্যমতে ঘটনাস্থলের আশেপাশে বেশ কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ঘরছাড়া ফিলিস্তিনের নাগরিকরা নুসেইরাত অঞ্চলে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছিলেন। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়লের যুদ্ধ শুরু হলে এই অঞ্চলে আরও শরণার্থী এসে আশ্রয় নেন।

বৃহস্পতিবারের হামলায় রাফা অঞ্চলের খান ইউনিসে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে- নিহতরা ত্রাণের গাড়ি দেখভালের কাজে কর্মরত ছিলেন।

তবে ইসরায়লের দাবি, হামাস সদস্যরা ত্রাণের পণ্য লুট করতে আসলে হামলা চালানো হয়। হামাসের ‘জঙ্গী তৎপরতা’ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে বেশ কয়েকবার ত্রাণের ট্রাক সশস্ত্র ডাকাতের কবলে পড়ায় হামাস ছোট ছোট দল গঠন করে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

সংগঠনটির দাবি, গত এক বছরে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত প্রায় ৭০০ জন হামাস সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

হামলার আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি জেলায় বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 
ঘোষণার পর অঞ্চলগুলো থেকে বেশিরভাগ পরিবারকেই গাজার মধ্যাঞ্চলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

একইদিনে আরেকটি পৃথক হামলায় পশ্চিম নুসেইরেত অঞ্চলের আল-জালালা সড়কে ২২ জন নিহত হয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে মারা গেছেন আল-আওদা হাসপাতালের এক চিকিৎসক।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এক হাজার ৫৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরিতি বাস্তবায়ন করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাভভাইজার জেক সালিভান। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

ট্রাম্পকে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ট্রাম্পকে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ
ট্রাম্পকে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার মাইক জনসন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার মাইক জনসন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী ৪ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনপ্রণেতাদের সামনে এটি হবে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাষণ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র রিপাবলিকান স্পিকার জনসন তাকে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে তিনি ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা তুলে ধরতে আহ্বান জানান।

এ ছাড়া চিঠিতে বিশেষ করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম সপ্তাহে তার ‘দৃঢ় নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপ’-এর প্রশংসা করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমেরিকার সুবর্ণ যুগ শুরু হয়েছে,’ যা ট্রাম্প তার সোমবারের উদ্বোধনী ভাষণে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি বর্তমানে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।

শুক্রবার থেকে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে অনুপস্থিত রয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম সফরে তিনি উত্তর ক্যারোলিনা ও ক্যালিফোর্নিয়ার দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শনিবার তিনি নেভাদার লাস ভেগাসে তার সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। সূত্র: এএফপি

বাসস/তাওফিক/ 

ট্রাম্পের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হতে পারে সৌদি আরব

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ এএম
ট্রাম্পের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হতে পারে সৌদি আরব
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর সৌদি আরবে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প সবার আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।
 
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার প্রথম বিদেশি সফর সৌদি আরব হতে পারে।’ 

তবে ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা প্রথমে ব্রিটেনে সফর করেন।

ট্রাম্প জানান, আন্তর্জাতিক সফরের প্রথমেই সৌদি আরবে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, আরব দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কিনতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছিল।

‘এখনো যদি সেই প্রস্তব সঠিক হয়, তবে আমি আবারও সেখানে যাব,’ তিনি বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক মিত্র সৌদি আরব। ট্রাম্প তার প্রথম দফার শাসনামলে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।

এদিকে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প সবার আগে রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সে সময় সৌদি সরকার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। সূত্র: রয়টার্স
 
তাওফিক/ 

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২২ এএম
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩০
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিনটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য জানায় জিও নিউজ। 

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী লাক্কি মারওয়াতে একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ১৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ছয়জন আহত হয়েছে।

আরেকটি অভিযান খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলার একটি এলাকায় পরিচালিত হয়, যেখানে আট সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।

অন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয় খাইবার জেলার বাঘ এলাকায়, যেখানে চারজন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল- রিংলিডার আযিজ উর রহমান (ক্বারি ইসমাইল) এবং মুকলিস। এ ছাড়া দুইজন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিদপ্তরটি আরও জানায়, এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করার মতো বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আরও জানিয়েছে, ‘সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

এদিকে, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সফল অভিযানের জন্য তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। সূত্র: জিও নিউজ

তাওফিক/ 

সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ এএম
সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড
পানির নিচে নিজের ক্যাপসুলে কোচ। ছবি: সংগৃহীত

পানামা উপকূলে সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন জার্মান নাগরিক রুডিগার কোচ (৫৯)। মূলত ৩০ মিটারের একটি ক্যাপসুলের ভেতরে তিনি এ সময়টা কাটিয়েছেন। গত শুক্রবার ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে আসেন কোচ। 

রুডিগার কোচ বের হয়ে আসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা রেয়েস।

এর আগে পানির নিচে সর্বোচ্চ সময় অবস্থানের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জোসেফ দিতুরির। তিনি ফ্লোরিডার এক লেকে নিজের রেকর্ডটি করেন। মোট ১০০ দিন পানির নিচে অবস্থান করেছিলেন তিনি। 

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক সুজানা  কোচের নতুন রেকর্ড গড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সমুদ্রের ৩৬ ফুট গভীরে থাকা ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে কোচ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা দুঃসাহসিক কাজ ছিল, যা শেষ হয়েছে। অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল, যেখানে সবকিছু শান্ত ও অন্ধকারময়। সমুদ্র সেখানে জ্বলজ্বল করে। পোর্টহোলের মাধ্যমে সমুদ্রের দৃশ্য দেখেছেন বলেও জানান রুডিগার কোচ।

কোচ বলেন, এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব। আপনাকে নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করতে হবে। 

রুডিগার কোচের ৩০ মিটার ওই ক্যাপসুলে একটা বিছানা, একটা টয়লেট, টিভি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল। সঙ্গে শরীরচর্চার সাইকেলও ছিল।   

কোচ শুধু বিশ্বরেকর্ড করার জন্য কাজটি করেননি। মানুষের সমুদ্রে আবাস গড়ে তোলা সম্পর্কিত নতুন ধারণাকে উৎসাহিত করতে চান তিনি। এটি যে করা সম্ভব, সেটি প্রমাণ করার জন্যই এ কাজ করেছেন কোচ। সমুদ্রের তলদেশে তিনি যা যা করেছেন, সেগুলো চারটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। কোচের এই রেকর্ডের পর নতুন করে পানির নিচে বসবাসের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সূত্র: রয়টার্স 

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এ লক্ষ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন যুদ্ধ না থামায় তা হলে দেশটির ওপর আরও কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। 

পুতিন এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার টিভি সাংবাদিককে বলেছেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের) বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিবৃতি থেকে বুঝতে পেরেছি যে তিনি একত্রে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা সব সময়ই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহী ও প্রস্তুত। বর্তমানের বাস্তবতায় আমাদের দেখা করা উচিত এবং ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করা উচিত।’    

এ ছাড়াও পুতিন জানান যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাস্তবমুখী, ব্যবসায়িক ও নির্ভরযোগ্য। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এক ডিক্রি স্বাক্ষর করে রেখেছেন, যার কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন না। 

ট্রাম্পের পক্ষে বেশ কিছু কথাও বলেছেন পুতিন। তিনি দাবি করেন যে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ হয়তো শুরু হতো না। ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনেও ট্রাম্প বঞ্চিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। তিনি পুতিনের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে বসতে প্রস্তুত এমনটাও জানিয়েছেন। 

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শান্তি অর্জনের ইচ্ছাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। তবে আমি নিশ্চিত যে, কোনো রুশ কূটকৌশলই আর সফল হবে না।’ সূত্র: রয়টার্স