
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্ক ব্যাপক সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা মোতোয়েন করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তুরস্কের এ সামরিক সমাবেশ কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার আইন আল-আরব (কোবানি) অঞ্চলে অভিযান চালানোর প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, তুরস্কের এ সেনা সমাবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার একটি বিশাল ভূখণ্ড দখল করে আছে মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) যারা মূলত কুর্দি জনগোষ্ঠীর লোক। তারা ওয়াইপিজি বা পিওয়াইডি নামেও পরিচিত। তুরস্কের সঙ্গে পিকেকের দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে অনেকদিন ধরেই। সম্প্রতি সিরিয়ায় হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) ক্ষমতায় আসার পর পিকেকের সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা যে বাড়বে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পিকেকে কর্মকর্তারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এই অভিযান থেকে বিরত থাকার জন্য।
তুরস্কের কাছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত পিকেকে। সম্প্রতি পিকেকের ওপর আরও চাপ বাড়িয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলালের একটি বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার নতুন প্রশাসন যদি অনুরোধ করে, তুরস্ক সিরিয়ার সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত।’
এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন কামনা করছে যাতে তুরস্কের সম্ভাব্য সামরিক অভিযান প্রতিহত করা যায় ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের সংঘাত কয়েক যুগ ধরে চলছে। এর আগে কুর্দিরা গোপনে বহুবার তুরস্কের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে বহু সেনাকে হত্যা করেছে। তুরস্কও কুর্দিদের ওপর সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে অনেকবার। ২০১৭ ও ২০২২ সালে তুরস্ক বড় ধরনের অভিযান চালায় কুর্দিদের ওপর। পাশাপাশি তুরস্ক মনে করে কুর্দিদের অধিকৃত এলাকা থেকে সস্তায় তেল-গ্যাস নিতে ও অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় রাখতেই কুর্দিদের অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
মাহফুজ/এমএ/