ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

এবার ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছে গাজার শিশুরা

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম
আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ এএম
এবার ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছে গাজার শিশুরা
তীব্র শীতের মধ্যে আচমকা বৃষ্টি গাজাবাসীর জন্য বয়ে এনেছে আরও দুর্ভোগ। ভারী বর্ষণের ফলে নিজেদের তাঁবুর সামনে সৃষ্ট কাদা সরানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজন যুবক। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি শীতের প্রকোপে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে গত রবিবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় ছয় শিশু এবং এক নার্স মারা গেছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল থাওয়াবতেহ জানিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চলমান যুদ্ধের কারণে গাজার বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁবুতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে তীব্র শীত। দুই সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা গাজার শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পর্যাপ্ত পোশাক ও কম্বলের অভাবে নবজাতকসহ শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রবিবার থেকে উপত্যকায় ভারী বৃষ্টি আরও দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

মাত্র তিন সপ্তাহ বয়সী সিলা আল-নাজমেহ হাইপোথারমিয়ায় (তীব্র ঠাণ্ডা) মারা গেছে। তার পরিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি অস্থায়ী শিবিরে বসবাস করছিল, যেখানে  প্রচণ্ড শীত পড়েছে। সিলা তার বাবা-মা ও দুই ভাইবোনসহ ১০ বারের বেশি স্থানচ্যুত হয়েছেন।

শুধু সিলা নয়, আরও অনেক নবজাতক এবং শিশু শীতের প্রকোপে মারা যাচ্ছে। গত সোমবার মধ্য গাজার আল আকসা শহিদ হাসপাতালে তীব্র ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয়েছে এক মাস বয়সী শিশু আলি আল-বাতরানের। এর মাত্র একদিন আগেই বাতরানদের দেইর-আল-বালাহ এলাকার জীর্ণ তাঁবুতে মারা গেছে তার যমজ ভাই জুমা আল-বাতরান। মৃত্যুর সময় জুমার মাথা ‘বরফের চেয়েও ঠাণ্ডা’ ছিল বলে জানান তার বাবা। স্থানীয় চিকিৎসক ড. আহমদ আল-ফারা জানান, অপুষ্টির কারণে মায়েরা পর্যাপ্ত দুধ সরবরাহ করতে পারছেন না, আর খাদ্যসামগ্রীর অপ্রতুলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মৌলিক চাহিদার অভাব এবং যুদ্ধের প্রভাবে অকালজন্ম। 

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, শিশুদের শীতজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইসমাইল থাওয়াবতেহ এ বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের সমর্থকদের দায়ী করেছেন। ইসরায়েলের হামলায় অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

এদিকে গাজায় একের পর এক জাতিসংঘকর্মী হত্যার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউয়ের প্রধান ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের সামনেই এই অবিরাম বিভীষিকা সংঘটিত হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটির ২৫৮ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় কমপক্ষে ৬৫০ বার হামলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২০ জন জাতিসংঘকর্মী ইসরায়েলের বন্দিশালায় আটক রয়েছেন। এ ছাড়া সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ‘পরিকল্পিতভাবে’ গাজায় ত্রাণসামগ্রী সরবরাহে বাধা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা

আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কানাডা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কানাডা
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি । ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যেই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কানাডা। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রবিবারই (২৩ মার্চ) আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রবিবার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ এবং সংযুক্তির হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও শক্তিশালী ম্যান্ডেটের আশা করছেন।

চলতি মাসে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মার্ক কার্নি। গত ১০ মার্চ তিনি কানাডার লিবারেল পার্টির দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন। আর সংবিধান অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণের দায়িত্ব পান। এরপর ১৪ মার্চ দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডো অধ্যায়ের অবসান ঘটে।

মার্ক কার্নি এমন সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হওয়ার পরই কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। তখন কানাডিয়ান পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে ‘নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেন কার্নি।

বলা যায়, কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি রাজনীতিতে একজন আগন্তুক। তিনি এর আগে কখনও কানাডিয়ান ভোটারদের মুখোমুখি হননি। তাই প্রত্যাশা অনুযায়ী অক্টোবরের বেশ কয়েক মাস আগেই কার্নি যদি সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। কেন না; গত এক দশক ধরে ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার জনপ্রিয়তা-সংকটের মুখোমুখি হয়। তবে ট্রাম্পের হুমকির কারণে কার্নি কানাডিয়ানদের মধ্যে জেগে উঠা দেশপ্রেম এবং একতা তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কানাডার সরকারি একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানায়, তিনি রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কানাডার ৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার উদ্দেশ্যে এক ভাষণে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ট্রাম্প তার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত নিয়ে বারবার উপহাস করেন এবং ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের আহ্বান জানান। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে তিনি ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডাকেন।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমেরিকা কানাডা নয়। এবং কানাডা কখনো, কোনোদিন কোনোভাবে আমেরিকার অংশ হবে না।'

এই পরিস্থিতিতে, আগাম নির্বাচনের ঘোষণার গুঞ্জনের মধ্যে কার্নি গত বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এডমন্টনে এক বক্তৃতায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সংকটের সময় সরকারের একটি শক্তিশালী এবং স্পষ্ট ম্যান্ডেট প্রয়োজন।

কানাডা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্র এবং ঐতিহাসিকভাবে ওয়াশিংটনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তবে প্রতিবেশীর প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রকাশ্য শত্রুতাপূর্ণ নীতি কানাডিয়ান রাজনৈতিক দৃশ্যপট অনেকটাই উল্টে দিচ্ছে। সূত্র: এএফপি

দিনা/অমিয়/

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক অ্যাটর্নির রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
বাইডেন প্রশাসনের সাবেক  অ্যাটর্নির রহস্যজনক মৃত্যু
শনিবার ( ২২ মার্চ) ভার্জিনিয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সাবেক মার্কিন আইনজীবী জেসিকা ডি. আবেরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত

ভার্জিনিয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সাবেক মার্কিন আইনজীবী জেসিকা আবেরের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ( ২২ মার্চ) পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে এখনও তার মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা যায়নি। 

গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে, আলেকজান্দ্রিয়া পুলিশ বিভাগ (এপিডি) আবেরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে তারা একজন 'অচেতন মহিলা' সম্পর্কে একটি ফোন পায়। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা এই আইনজীবীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।‘

এপিডি তাদের বিবৃতিতে জানায়,'তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। ভার্জিনিয়ার প্রধান মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করবে।'

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ রবিবার ( ২৩ মার্চ) একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

৪৩ বছর বয়সী জেসিকা আবের ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে নিয়োগ দেন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করার দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারী তিনি পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগপত্রে আবের বলেন, 'একজন মার্কিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করা অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। আমি সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার এবং টিম কেইন এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাছে এই অফিসের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।'

মার্কিন বিচারবিভাগ থেকে নিজের পদ ছাড়ার মাত্র দুই মাস পরে তাকে এভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। আবেরের উত্তরসূরী মার্কিন অ্যাটর্নি এরিক এস. সিবার্ট বলেন, ‘শনিবার আবেরের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি ভেঙে পড়েন।‘

সিবার্ট বলেন,'একজন নেতা, পরামর্শদাতা এবং আইনজীবী হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। একজন মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ । পৃথিবীতে এত সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি কতটা অর্জন করেছেন তা দেখে আমরা বিস্মিত।‘ 
সূত্র: ফক্স নিউজ

দিনা/

নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চায় বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবাদে মুখরিত তেল আবিব। নেতানিয়াহুর নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান রোনেন বারকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) রাস্তায় নেমেছে তারা। এই বিক্ষোভ সামাল দিতে বেশ বিপাকে পড়ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। 

এর আগেই ইসরায়েলের রোনেন বারকে বহিস্কার করা নিয়ে দখলদার ইসরায়েল প্রশাসনের শীর্ষস্তরেও চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

রবিবার ( ২৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।

এছাড়া তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা নীল-সাদা ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানায়।

এছাড়া রবিবার( ২৩ মার্চ) ইসরায়েলের সংসদ এবং পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়।

গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়াতে, ইসরায়েলি বন্দীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তারা হয় তাদের বন্দীদের হাতে মারা যাবে অথবা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে বলেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্বে থাকা রোনেন বারে’র প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন তাই তাকে ১০ এপ্রিল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র:  আল- জাজিরা

দিনা/

 

এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ পিএম
এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা
ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি । ছবি: সংগৃহীত

এবার ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ।

এক সপ্তাহ আগে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। গতকাল হুতিরা জানালো, নতুন করে হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।

হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি এই হামলাকে ‘আমেরিকার আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে। টিভি চ্যানেলটি জানায়, লোহিত সাগর উপকূলবর্তী হোদেইদা বিমানবন্দরে এ পর্যন্ত তিনবার হামলা চালানো হয়।

১৯-২১ মার্চ পর্যন্ত ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা টানা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য জানায়। এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনজুড়ে ভারী বিমান হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দেয় হুতিদের পুরোপুরি ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়া হবে।

এছাড়া ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা হুতি নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় ইয়েমেনে ৫৩ জন নিহত হন বলে জানায় হুতিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি মাস গাজায় হামলা চালিয়ে আবার শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। এর জবাবে লোহিত সাগরে চলাচলকারী সব ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি দেয় হুতি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র হুতি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে।

সূত্র: এএফপি

দিনা/

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি পরামর্শক কমিটিকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ভারত তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া জনমতের বিষয়টি জানতে পারে। তবে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া দেশটি বিশেষ কিছু করতে পারেনি বা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জয়শঙ্করের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেন, যেখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতিই আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে ঢাকায় পাঠায়।

তবে আগামী ২ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে কি না- সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে ঢাকায় একাধিক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে স্বাগত জানান। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষ করে বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সমঝোতা হতে পারে, যাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন শহরের সংযোগ আরও জোরদার হয়।

এস. জয়শঙ্কর এই আলোচনায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ‘বহিরাগত শক্তির’ ভূমিকা রয়েছে এবং চীনকে তিনি ‘প্রতিপক্ষ’ নয়, বরং ‘প্রতিযোগী’ হিসেবে দেখেন।

জয়শঙ্কর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও আলোচনা করেন। ২০১৪ সালের পর থেকে সংস্থাটির কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত ১৯ তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। কারণ সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়। এরপর থেকে ভারত বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, ‘সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে।’ অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এটির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় এমপিরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জানতে চান, আগামী এক দশকে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত কী পদক্ষেপ নেবে। সুত্র: দ্য হিন্দু

দিনা/