
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সিরিয়ান কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে মানবিজ শহরের চারপাশে কয়েকটি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। এতে গত দুই দিনে ১০১ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৮৫ জন তুরস্কপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য এবং ১৬ জন কুর্দিপন্থি সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সদস্য।
রবিবার (৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে এসডিএফ জানিয়েছে, তুরস্ক-সমর্থিত ভাড়াটে সেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করেছে তারা। কারণ তুরস্কপন্থিরা সিরিয়ায় তুরস্কের ড্রোন ও বিমান হামলার সহায়ক ছিল বলে অভিযোগ করেছে এসডিএফ।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কপন্থি গোষ্ঠীগুলো ও এসডিএফের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। একই সময়ে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীরাও বড় আক্রমণ শুরু করে। যার ফলস্বরূপ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মাত্র ১১ দিনের মধ্যে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন। ওই সময় তুর্কিপন্থিরা সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের মানবিজ এবং তাল রিফাত শহর দুটি এসডিএফ থেকে দখলে নিতে সক্ষম হয়।
অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমানের মতে, তুরস্কপন্থি গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্য হলো কুবানে এবং তাবকা শহর দখল করা। তারপর তারা রাক্কা শহরের দিকে অগ্রসর হবে।
এসডিএফ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা এবং পূর্বাঞ্চলের ডেইর আজজোর প্রদেশের কিছু অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় সরকারি বাহিনী অঞ্চলটি ছেড়ে যাওয়ার পর কুর্দিরা সেখানে স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন গঠন করে।
এসডিএফ সাধরণত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে থাকে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জিহাদিদের কাছ থেকে রাক্কাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের পর বর্তমানে ওই অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সূত্র: এএফপি