
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও টেসলার সিইও ইলন মাস্কের সমালোচনা করছেন ইউরোপীয় নেতারা। এই স্রোতে গা ভাসালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ধনকুবের মাস্কের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক গঠণতন্ত্রে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বিভিন্ন দেশে কর্মরত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনার সময় মাখোঁ বলেন, ‘আমাকে ১০ বছর আগেও যদি কেউ বলতো মাস্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন- আমি হয়তো বিশ্বাস করতাম না। আর তিনি এখন জার্মানির আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করতে চাচ্ছেন।’
মাখোঁর আগে মাস্কের সমালোচনা করেছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী গাহর স্টোর ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার।
মাস্কের তৎরতায় আশঙ্কা প্রকাশ করে স্টোর বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মাস্কের সমান ক্ষমতাধারী আর কেউ নেই। বিপুল পরিমান সম্পদের মালিকও তিনি। মাস্ক যেভাবে রাজনীতিতে নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে চাইছেন এটা কোনো গণতান্ত্রিক ধারা হতে পারে না।’
এদিকে জার্মানির প্রতিক্রিয়াশীল ডানপন্থি দল ফির ডেটসল্যান্ড পার্টির (এএফডি) প্রতি মাস্কের সমর্থন ইউরোপজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এএফডি পার্টিকে জার্মানির ‘শেষ ভরসা’ আখ্যায়িত করে দলটির নেতা এলিস ওয়েইডেলের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনার ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্কবিরোধী মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জার্মানির এএফডি পার্টি কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির জন্য সমালোচিত।
মাস্ক ইউরোপের প্রযুক্তিশিল্পকে দুর্বল করে নিজের বাণিজ্যিক লাভ নিশ্চিত করতে এএফডিকে সমর্থন করছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির ভাইস চ্যাঞ্চেলর রবার্ট হাবেক।
এর আগে যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। ডিরেক্টর অব পাবলিক প্রসিকিউশন্সের দায়িত্ব পালনের সময় শিশু নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত স্টারমারের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান তিনি।
তবে মাস্কের মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ আখ্যায়িত দিয়ে তাকে সতর্ক করেছেন স্টারমার।
এদিকে জার্মানির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে মাস্কের প্রভাব থাকলেও সাধারণ ভোটাররা তাকে সমর্থন করেন না বলে মত বিশ্লেষকদের।
‘জার্মানির ভোটারদের মাথায় মগজ আছে। তারা চিন্তা ভাবনা করেই ভোট দেবেন’, বলেন জার্মানি সরকারের একজন মুখপাত্র। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান