ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

নেতানিয়াহুর নিরাপত্তামন্ত্রীসহ ৩ জনের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
নেতানিয়াহুর নিরাপত্তামন্ত্রীসহ ৩ জনের পদত্যাগ
ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর ও তার দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ ঘোষণা করছে। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করায় কট্টর ইহুদিপন্থী ও ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে তার দল ন্যাশনালিস্ট-রিলিজিয়াস ওজমা ইহুদিত পার্টির অন্য দুই মন্ত্রীও নেতানিয়াহুর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছে।

হামাসের সঙ্গে কোনোপ্রকার সমঝোতা করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে তারা পদত্যাগ করবেন এমন ঘোষণা তারা আগেই দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে নেতানিয়াহুর অফিস থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করায় এ ঘোষণা তারা।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এ চুক্তি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সন্ত্রাসীদের (‌হামাসের) কাছে পরাজয়ের শামিল। তারা আরও বলে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হত্যাকারীদের (ইসরায়েলের হাতে বন্দী ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়া হবে। তাই তারা নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেন। 

তবে তারা আরও জানায়, তারা নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে সরে গিয়ে পদত্যাগ করেছে কিন্তু তারা নেতানিয়াহুর সরকারকে কোনো প্রকার সমস্যায় ফেলতে চায় না। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না।

পার্লামেন্টে বেন গাভীরের দলের ৬ জন সদস্য আছে। এই পদত্যাগের কারণে নেতানিয়াহুর সরকারে পতন হবে না। কারণ তারা চলে গেলেও ৬২ এমপি থাকবে। ইসরায়েলে কোনো দল বা জোটের ক্ষমতায় আসতে বা থাকতে হলে ১২০ সদস্য বিশিষ্ট সংসদের কমপক্ষে ৬১ জন এমপির সমর্থন দরকার।

এর আগে অর্থমন্ত্রী ও রিলিজিয়াস জায়ানিজম পার্টির প্রধান বেজালেল স্মোট্রিচও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু তার কাছ থেকে এখনো পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায় নি।

বেন গাভির ও স্মোট্রিচ হলেন ইসরায়েলের মন্ত্রীসভায় সবচেয়ে কট্টর ইহুদিপন্থী। তাদের কারণেই আগের যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলো স্বাক্ষর হয় নি। তারা হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় চান এবং হামাসকে নির্মূল করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এদিকে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের উদ্ধার করা নিয়ে চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর। যুদ্ধের মাধ্যমেও নির্মূল করা যায়নি হামাসকে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস 

মাহফুজ

 

গুলশানে বিলাসবহুল ভবনের বাসিন্দার তালিকায় টিউলিপ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
গুলশানে বিলাসবহুল ভবনের বাসিন্দার তালিকায় টিউলিপ
টিউলিপ সিদ্দিক

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে একটি বিলাসবহুল ১০ তলা ভবনের বাসিন্দা হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম তালিকাভুক্ত ছিল। তার পরিবারের নামে ওই ভবনের নামকরণ করা হয়। 

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

টিউলিপ যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির একজন এমপি এবং সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তিনি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। টিউলিপ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর থাকার সময় তার ‘স্থায়ী ঠিকানা’ ছিল অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স ‘সিদ্দিকস’। এটি ঢাকার গুলশানে অবস্থিত। এই এলাকা মূলত বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ও বড় করপোরেট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের জন্য বিখ্যাত। আদালতের নথি ও সংবাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এ নিয়ে বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে যুক্ত ‘পঞ্চম সম্পত্তির’ খোঁজ মিলেছে। উল্লেখ্য, টিউলিপের পারিবারিক পদবি ‘সিদ্দিক’। 

তবে লেবার পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে টিউলিপের কোনো সম্পত্তি নেই। যেসব বিষয় তার সঙ্গে যুক্ত নয়, সেসব বিষয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়ারও তার দরকার নেই। মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগের এক মাস পেরিয়ে গেলেও টিউলিপ সিদ্দিক এখনো তার সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয় ও বাংলাদেশে তার খালা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্নের মুখে আছেন। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার তদন্তে দেখেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির দেওয়া একটি ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপ অনিচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ট্রেজারি মিনিস্টারের দায়িত্ব পালনকালে টিউলিপের দায়িত্ব ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। অথচ তার নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত চান। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি লন্ডনে বিনামূল্যে (উপহার) ফ্ল্যাট নিয়েছেন। এ ছাড়া একইভাবে নেওয়া তার ছোট বোনের ফ্ল্যাট তিনি ব্যবহার করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশের গাজীপুরে কানাইয়া এলাকায় ‘টিউলিপস টেরিটরি’ নামের প্লটসহ একটি পারিবারিক অবকাশযাপনের বাগানবাড়ি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ তথ্য সামনে আসার পর গুলশানের সম্পত্তির সঙ্গে টিউলিপের যোগসূত্রের তথ্য জানতে পারে দ্য টেলিগ্রাফ।

সরকারি একটি আনুষ্ঠানিক নথিতে দেখা গেছে, ওই সম্পত্তিকে টিউলিপের ‘বর্তমান’ ও ‘স্থায়ী’ ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। নথিটি ২০১৪ সালের মে মাসে ক্যামডেন কাউন্সিলরের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর তিন সপ্তাহ পরের তারিখে লিপিবদ্ধ করা হয়। 

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে অবস্থিত ১০ তলা ভবনটি ২০১০ সালের দিকে নির্মিত। ভবনটিতে ছাদবাগান, দুই ও তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট, বারান্দাসহ আবাসিক ইউনিট রয়েছে। এ ধরনের প্রশস্ত অ্যাপার্টমেন্টগুলোর সঙ্গে ঢাকার দুই কোটি মানুষের বসবাসের পরিবেশের বড় ধরনের বৈসাদৃশ্য আছে। কারণ এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে একটি। 

ভবনটি টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক, তার দাদা বা পুরো পরিবারকে উদ্দেশ্য করে নামকরণ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এই ভবনটির মালিকানার বিষয়ে অবগত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এটি পরিবারের এক সদস্যের মালিকানাধীন জমির ওপর নির্মিত হয়। তবে পরিবারটি এখনো ওই ভবনের কোনো ফ্ল্যাটের মালিক কি না বা ভবনটির নামকরণ কার নামে হয়েছে- এ বিষয়ে লেবার পার্টি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। 

টিউলিপ এর আগে পরিবারের আরেক সদস্যের সঙ্গে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন, যার মূল্য ১ লাখ পাউন্ডের বেশি। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের রেজিস্ট্রার অব ইন্টারেস্টের তথ্য অনুসারে ফ্ল্যাটটি ২০১৫ সালে বিক্রি করা হয়।

হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নেওয়া নিষিদ্ধ করল সৌদি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নেওয়া নিষিদ্ধ করল সৌদি
ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের সঙ্গী হিসেবে নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর তীব্র ভিড়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষাই এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য। শিশুদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত এবং হজযাত্রার সময় তাদের যেকোনও ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এড়াতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সৌদির হজ মন্ত্রণালয় বলেছে, চলতি বছর হজে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যারা এর আগে হজ করেননি।

চলতি বছরের হজের নিবন্ধন নুসুক অ্যাপ এবং সৌদি আরবের সরকারি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে করা যাবে। ইতোমধ্যে সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুটি মাধ্যমে নিবন্ধন চালু করা হয়েছে।

হজযাত্রীদের তথ্য যাচাই-বাছাই, সঙ্গীদের যুক্ত করা এবং মাহরাম পরিবর্তনের অনুরোধ অনলাইনে অথবা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

এমএ/

সুদানের রাজধানী পুনরুদ্ধারের পথে সেনাবাহিনী

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
সুদানের রাজধানী পুনরুদ্ধারের পথে সেনাবাহিনী
খার্তুমের উপকন্ঠে সুদানের সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সেনাবাহিনী (সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস) বিভিন্ন জায়গায় খুব দ্রুত গতিতে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। এর ফলে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ একটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। 

এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরুর পরপরই র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেয়।

এদিকে, র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোকে (হেমেত্তি) গত কয়েক মাস ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এতে সে নিহত হয়েছে, নাকি পালিয়ে গিয়েছে, নাকি অন্যকিছু- তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।

এরই মধ্যে, খার্তুম থেকে শতশত আরএসএফ যোদ্ধা পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরে পিছু হটেছে, যা হেমেত্তির অনুপস্থিতির সঙ্গে সময়ের দিক থেকে মিল রয়েছে। ফলে হেমেত্তিকে নিয়ে বিভিন্ন কল্পনা আরও ডানা মেলছে।

সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলেও মিশর সুদানের সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সমর্থন দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের নভেম্বর অবধি ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই যুদ্ধে। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/

পাকিস্তানে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
পাকিস্তানে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল
পাকিস্তানে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে সরকারি চাকরিতে চাকরিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্ধারিত কোটা বাতিল করেছে দেশটির সরকার। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই নীতি অনুসারে, চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষার প্রয়োজন ছাড়াই চাকরি পেতেন। তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায় এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে দেশটির সংস্থাপন বিভাগ সরকারি চাকরিতে বিশেষ এই সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থাপন বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর দেওয়া আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে পরিবারভিত্তিক কোটা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের আদেশের তারিখ থেকেই কার্যকর হবে।

তবে, মৃত কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা এখনও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্যাকেজের আওতায় অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার যোগ্য থাকবেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে যেসব নিয়োগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

গত বছর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এই নীতিকে বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরি বংশগত নয় এবং এ ধরনের সুবিধা নিম্ন-গ্রেডের কর্মচারী ও তাদের পরিবারের প্রতি অবিচার সৃষ্টি করে।

শীর্ষ আদালত আরও জানায়, সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন বা নীতি বিচারিক পর্যালোচনার আওতায় আসবে। তাই কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে সাংবিধানিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নিয়ম প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে বংশগত কোটা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সরকারি চাকরিতে প্রতিযোগিতামূলক ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

তাওফিক/ 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান, তবে চাপের মুখে নয়

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান, তবে চাপের মুখে নয়
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান, তবে চাপের মুখে নয়। ছবি: সংগৃহীত

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলের অধীনে নয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট করে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সংলাপ প্রয়োজন, তবে যদি তা কঠোর চাপের শর্তসাপেক্ষে হয়, তাহলে সেটি আলোচনার বদলে ‘আত্মসমর্পণ’ হয়ে যাবে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক টেলিগ্রাম বার্তায় দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলে এক প্রতিবেদনে এএফপি জানায়। 

আরাঘচি বলেন, ‘আমরা সংলাপের পথ খোলা রাখছি, তবে এটি অবশ্যই পারস্পরিক সম্মান ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এক হাতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় আর অন্য হাতে আলোচনার প্রস্তাব দেয়, তাহলে সেটি কোনো বাস্তবসম্মত সংলাপ নয়।’

আরাঘচির এই মন্তব্য আসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ এড়িয়ে চলার আহ্বানের পরপরই। খামেনি এটিকে ‘বেপরোয়া’ সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতীত সংলাপের অভিজ্ঞতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

২০১৫ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তি একটি ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এর আওতায় তেহরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পায়। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সঙ্গে একটি ‘যাচাইকৃত পারমাণবিক শান্তি চুক্তি’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, তিনি আবারও বলেছেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। অন্যদিকে, তেহরান বরাবরই জোর দিয়ে বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন বৃহস্পতিবার চীনে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত তেল সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা 

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আরাঘচি বলেন, ‘যে দেশ একদিকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়, আর অন্যদিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়, তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ দুই দেশই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কূটনৈতিক সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় কি না।

বাসস/তাওফিক/