ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কিত পুতিন

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কিত পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত ইতি না টানলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই ধুঁকতে থাকা রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগে আছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে অনেকগুলো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত দুই বছরে তেল, গ্যাস ও খনিজ রপ্তানিনির্ভর রুশ অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সামলাতে উচ্চ সুদহারে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ ব্যবসার গতি কমে গেছে, তেমনি কর্মী সংকটে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রবেশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করে আসছেন তিনি। ওভাল অফিসে আসার পর ইউক্রেন প্রসঙ্গে এক বক্তব্যে তিনি পুতিনকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সমঝোতায় রাজি না হলে রুশ অর্থনীতি বড় বিপদের মুখোমুখি হবে। তিনি প্রয়োজনে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করবেন না।

আলোচনায় বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব রাশিয়া এখনো পায়নি বলে মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা। এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন পুতিন। তবে তার শর্ত হচ্ছে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাভিলাষ ত্যাগ করতে হবে ইউক্রেনকে এবং দেশটিতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার কব্জায় আসা এলাকার দাবি ত্যাগ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নিয়ে পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি ও সমঝোতা আলোচনা নিয়ে ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা. ফরহাদ

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা. ফরহাদ
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, ‘সংস্কারের অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।’ 

তিনি দাবি করেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা বিএনপিই দেশে প্রথম শুরু করেছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে সংস্কারের ভিত্তি গড়েন, আর বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসবে, একই সঙ্গে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের বিচারও হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের দাবিতে আয়োজিত হয়।

ডা. ফরহাদ হালিম আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়েছেন, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু আমরা রাজপথ ছাড়িনি, ছাড়বো না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেই বিজয়ী হবো।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওয়ায়েদ বলেন, ‘অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করলে, শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্রের জাল বুনবেন।’ 

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একেএম নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, ডা. পারভেজ রেজাসহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নেতারা। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

রাজিব/তাওফিক/ 

নিজেকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে বিপাকে ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
নিজেকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে বিপাকে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে নিজেকে ফরাসি রাজা নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের ফেডারেল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের এসব পদক্ষেপে আইনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আদালত। প্রশাসনের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ আটকে দিয়েছেন বিচারকরা।

তবে সিদ্ধান্তের আত্মপক্ষ সমর্থনে রবিবারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে পোস্টে নেপোলিয়নের ভাষ্য তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘দেশের মঙ্গলে করা কোনো কাজই আইনের পরিপন্থি নয়।’ এরপর থেকেই ট্রাম্পের সমালচনায় সয়লাব ওয়াশিংটনপাড়া।

সাবেক লেবার সেক্রেট্রারি রবার্ট রেইচসহ বেশ কয়েকজন সমালোচক ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী আচরণে’ ক্ষুব্ধ। রেইচের ভাষ্যে, ‘ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে আইনবিরোধী প্রেসিডেন্ট।’

এদিকে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন আটকে রেখেছেন ট্রাম্প। এতে দেখা দিয়েছে সাংবিধানিক সংকট।

এ প্রসঙ্গে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সেনেটর টিম কেইন বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক ক্ষমতা থাকে। তবে মনে রাখতে হবে তিনিও আইনের ঊর্ধ্বে নন।’

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। দ্য ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এফডিএ, ইউএসএইড ও মার্কিন শিক্ষা কর্তৃপক্ষে রাষ্ট্রের দেওয়া অর্থসহায়তা বন্ধ রাখায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।রবিবার দেশটির কয়েকটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার অর্থায়ন আটকে দেওয়ার পর চলমান সংকট নতুন মাত্রা ধারণ করেছে।

সমালোচকদের দাবি, এসব রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আটকে দিয়ে ট্রাম্প তার ধনকুবের সহচর ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভের পথ সুগম করছেন। 

ঝড়ের গতিতে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় পরিবর্তন আনছেন ক্ষ্যাপাটে এই নেতা। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন মাস্কের ‘ডিপার্ট্মেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি।’

সম্প্রতি গাল্‌ফ অব আমেরিকার নাম পরিবর্তন করে গাল্‌ফ অব আমেরিকা করেছেন ট্রাম্প। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই নাম ব্যবহার না করায় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে এই সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।

গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি। আগ্রাসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রতিপক্ষরাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। এতে যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় দ্রব্যমূল্য নাগালে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘জিনিসপত্রে দাম সামতিকভাবে বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন নাগরিকরা সুফল ভোগ করবেন।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

কায়রোতে ভবন ধসে নিহত ১০

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
কায়রোতে ভবন ধসে নিহত ১০
ধ্বংস্তূপ থেকে আটকে পড়া ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় একটি দল। ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাজধানী কায়রোর কেদরাসা অঞ্চলে একটি ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবারের (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আটজন। ধ্বংস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল। 

মূলত শ্রমিক শ্রেণির আবাসস্থল কেদরাসায় ধসের পর উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ মাধ্যম আল-আখবার আল-ইয়ুমকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটতে পারে।’

ঘটনার তদন্তে স্থানীয় পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। নিম্নবর্গের আবাসস্থল কেদারাসায় প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দা থাকেন। তবে অঞ্চলটির বেশিরভাগ ভবন স্থাপত্যে প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়মের বাইরে গিয়ে নির্মিত।

ফলস্বরূপ, এই এলাকায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ আমাদের শরণার্থী, মমতাকে শুভেন্দু

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ আমাদের শরণার্থী, মমতাকে শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে খানিকটা মানবিক হয়ে চলা উচিত। এ ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের যেসব মানুষ ধর্মরক্ষার জন্য অসহায় হয়ে তাদের ভিটেবাড়ি, জমিজমা সব ছেড়ে ভারতে আসছেন, তাদের একে একে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরা হচ্ছে।’

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে ৫১ জন, কালীগঞ্জে ৬ জন, পুরো প্রদেশে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে এভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

মমতাকে উদ্দেশ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে বসে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন তথ্য দিচ্ছে, আর এদিকে তাদের দেওয়া তথ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের গ্রেপ্তার করছে। অন্য কোনো রাজ্যে এমনটা হচ্ছে না।’

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ভারত একসময় শেখ মুজিবুর রহমানকে আশ্রয় দিয়েছিল। দালাই লামাকে আশ্রয় দিয়েছিল। এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দলের নেতা-কর্মীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের ধরে ধরে এভাবে জেলে ভরা ঠিক হচ্ছে না। তারা আমাদের দেশের শরণার্থী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি বা রোহিঙ্গা মুসলমানরা আসছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।’

শুভেন্দু বলেন, ‘আসাম থেকে এসে মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে কেনিংয়ে এসে গ্রেপ্তার হচ্ছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী যারা দেশে অনুপ্রবেশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা ৮৪ বছরের মায়ের বিরুদ্ধে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে। তাদের রায়গঞ্জের জেলে দেওয়া হয়েছে। দুই মাসের সাজাও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কিছু অঞ্চলে দেশবিরোধী কার্যকলাপ বেড়েই চলছে। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী।’

রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এটা অবৈধ ভোট ব্যাংক হিসেবে মমতা পরবর্তী নির্বাচনে কাজে লাগাবেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি জঙ্গি এবং অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে প্রবেশ করতে সুবিধা করে দিচ্ছে বিএসএফ। এর ফলে তার রাজ্যে অশান্তি বিরাজ করছে। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে, কলকাতার নবান্নতে রাজ্য প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মমতা উল্লেখ করেন, যদি বিএসএফ এই ধরনের কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তবে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। অনুপ্রবেশের বিষয়ে তার দলের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন তিনি। সূত্র: এএনআই

ইরানকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট:নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
ইরানকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট:নেতানিয়াহু
জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে জেরুজালেমে বৈঠক শেষে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেন তিনি।

ইরানের হুমকি ব্যর্থ প্রতিপন্ন করতে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ করা উচিত জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আয়াতুল্লয়াহ’রা (ইরানের শিয়া প্রশাসন) যেন পারপমাণবিক ক্ষমতাধর হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিগড়াতে না পারে-এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আলোচনা সংঘটিত হয়েছে।’

নেতানিয়াহুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে মার্কিন কর্মকর্তা রুবিও বলেন, ‘এই অঞ্চলে যত জঙ্গী তৎপরতা ও সহিংসতা ঘটে-খতিয়ে দেখলে প্রত্যেকটির পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে।’

ইরানের মদদপুষ্ট সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুথিদের ‘প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু’ বলা হয়। পশ্চিমা ভাষ্যে এই বিদ্রোহীরা ‘জঙ্গী’ বলেই পরিচিত। 

অথচ ফিলিস্তিনের গাজায় আধিপত্য নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ১৫ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। ঘরছাড়া হয়েছে গাজা অঞ্চলের প্রায় পুরো জনগোষ্ঠী।

এদিকে নেতানিয়াহুর মতে, ইসরায়েল ইরানের ‘মুখে চপেটাঘাত করেছে’। মার্কিন সহায়তায় চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে আত্মবিশ্বাসী এই নেতা জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন ও তেল আবিব প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছে শক্তিশালী বোমা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ধ্বংসাত্মক এমকে-৮৪ বোমার বিশাল একটি চালান এসে পৌঁছেছে ইসরায়েলের সামরিক মজুদাগারে।

হামাসকে প্রতিহত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রুবিও বলেন, ‘যতদিন গাজায় হামাসের আধিপত্য থাকবে, ততদিন এই অঞ্চলে শান্তি আসবে না।’

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি গাজাবাসীদের উৎখাত করে অঞ্চলটি পূনর্নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার পর ট্রাম্পের ওপর বেজায় খেপেছে আরববিশ্ব। তবে এই প্রস্তাবকে ‘সাহসী’ ও ‘দুরদর্শী’ বলছেন রুবিও।

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক অস্থিতিশীল দেশ সিরিয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর প্রশাসন সামলাচ্ছে বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে রুবিও বলেন, ‘সিরিয়ায় স্বৈরশাসনের পর এলো অস্থিতিশীল প্রশাসন। এটা আর যাই হোক- ইতিবাচক অগ্রগতি নয়।’

এ পরিস্থিতিতে গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/