
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার বাসিন্দা মাহমুদ আবু দালফার পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদাররা। কিন্তু দালফার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাফা শহরে নিজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ওপর বসে তিনি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আশা করি আমি তাদের উদ্ধার করে কবরে দাফন করতে পারব। আমি এই পৃথিবীর কাছে শুধু এটুকুই চাই। আমি চাই না আমাকে কেউ একটি নতুন বাড়ি বানিয়ে দিক বা অন্য কিছু দিক। আমি শুধু আমার পরিবারের জন্য একটি কবর চাই, যাতে আমি সেখানে তাদের সুন্দরভাবে দাফন করতে পারি।’
কান্নামাখা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী এবং সন্তানেরা একসঙ্গেই হত্যার শিকার হয়েছেন, তিন কন্যা এবং দুই ছেলে। তাদের তিনজনের জন্ম একসঙ্গে - খালেদ, করিম এবং জানা। আইভিএফ (একধরনের বিশেষ প্রজননব্যবস্থা) পদ্ধতিতে আট বছর চেষ্টার পর, অগণিত চিকিৎসকের পেছনে দৌড়াদৌড়ির পর অবশেষে সৃষ্টিকর্তা তাদের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং আজ তারা এই ধ্বংসস্তূপের নিচে।’
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ১৪ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের প্রায় পাঁচ হাজার জনই শিশু এবং নারী। সহজেই অনুমান করা যায়, তাদের লাশ কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি পৈশাচিকতা অব্যাহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ভয়াবহ আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার আরও দুই ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে। ইসরায়েলের এই ধ্বংসাত্মক আগ্রাসনের ফলে জেনিন শহরের শরণার্থী শিবির প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী হামজা জুবেদাতের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিই ইসরায়েলি দখলদারদের পশ্চিম তীরে সহিংস পরিস্থিতি তৈরির ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা