ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

গাজাবাসীর আকুতি ‘আমি আমার পরিবারের জন্য শুধু একটি কবর চাই’

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
‘আমি আমার পরিবারের জন্য শুধু একটি কবর চাই’
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বেশিরভাগ এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার বাসিন্দা মাহমুদ আবু দালফার পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদাররা। কিন্তু দালফার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাফা শহরে নিজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ওপর বসে তিনি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আশা করি আমি তাদের উদ্ধার করে কবরে দাফন করতে পারব। আমি এই পৃথিবীর কাছে শুধু এটুকুই চাই। আমি চাই না আমাকে কেউ একটি নতুন বাড়ি বানিয়ে দিক বা অন্য কিছু দিক। আমি শুধু আমার পরিবারের জন্য একটি কবর চাই, যাতে আমি সেখানে তাদের সুন্দরভাবে দাফন করতে পারি।’

কান্নামাখা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী এবং সন্তানেরা একসঙ্গেই হত্যার শিকার হয়েছেন, তিন কন্যা এবং দুই ছেলে। তাদের তিনজনের জন্ম একসঙ্গে - খালেদ, করিম এবং জানা। আইভিএফ (একধরনের বিশেষ প্রজননব্যবস্থা) পদ্ধতিতে আট বছর চেষ্টার পর, অগণিত চিকিৎসকের পেছনে দৌড়াদৌড়ির পর অবশেষে সৃষ্টিকর্তা তাদের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং আজ তারা এই ধ্বংসস্তূপের নিচে।’

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ১৪ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের প্রায় পাঁচ হাজার জনই শিশু এবং নারী। সহজেই অনুমান করা যায়, তাদের লাশ কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের  নিচে চাপা পড়ে আছে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি পৈশাচিকতা অব্যাহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ভয়াবহ আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার আরও দুই ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে। ইসরায়েলের এই ধ্বংসাত্মক আগ্রাসনের ফলে জেনিন শহরের শরণার্থী শিবির প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী হামজা জুবেদাতের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিই ইসরায়েলি দখলদারদের পশ্চিম তীরে সহিংস পরিস্থিতি তৈরির ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা

নিজেকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে বিপাকে ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
নিজেকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে বিপাকে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে নিজেকে ফরাসি রাজা নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের ফেডারেল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের এসব পদক্ষেপে আইনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আদালত। প্রশাসনের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ আটকে দিয়েছেন বিচারকরা।

তবে সিদ্ধান্তের আত্মপক্ষ সমর্থনে রবিবারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে পোস্টে নেপোলিয়নের ভাষ্য তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘দেশের মঙ্গলে করা কোনো কাজই আইনের পরিপন্থি নয়।’ এরপর থেকেই ট্রাম্পের সমালচনায় সয়লাব ওয়াশিংটনপাড়া।

সাবেক লেবার সেক্রেট্রারি রবার্ট রেইচসহ বেশ কয়েকজন সমালোচক ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী আচরণে’ ক্ষুব্ধ। রেইচের ভাষ্যে, ‘ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে আইনবিরোধী প্রেসিডেন্ট।’

এদিকে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন আটকে রেখেছেন ট্রাম্প। এতে দেখা দিয়েছে সাংবিধানিক সংকট।

এ প্রসঙ্গে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সেনেটর টিম কেইন বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক ক্ষমতা থাকে। তবে মনে রাখতে হবে তিনিও আইনের ঊর্ধ্বে নন।’

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। দ্য ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এফডিএ, ইউএসএইড ও মার্কিন শিক্ষা কর্তৃপক্ষে রাষ্ট্রের দেওয়া অর্থসহায়তা বন্ধ রাখায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।রবিবার দেশটির কয়েকটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার অর্থায়ন আটকে দেওয়ার পর চলমান সংকট নতুন মাত্রা ধারণ করেছে।

সমালোচকদের দাবি, এসব রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আটকে দিয়ে ট্রাম্প তার ধনকুবের সহচর ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভের পথ সুগম করছেন। 

ঝড়ের গতিতে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় পরিবর্তন আনছেন ক্ষ্যাপাটে এই নেতা। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন মাস্কের ‘ডিপার্ট্মেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি।’

সম্প্রতি গাল্‌ফ অব আমেরিকার নাম পরিবর্তন করে গাল্‌ফ অব আমেরিকা করেছেন ট্রাম্প। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই নাম ব্যবহার না করায় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে এই সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।

গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি। আগ্রাসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রতিপক্ষরাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। এতে যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় দ্রব্যমূল্য নাগালে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘জিনিসপত্রে দাম সামতিকভাবে বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন নাগরিকরা সুফল ভোগ করবেন।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

কায়রোতে ভবন ধসে নিহত ১০

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
কায়রোতে ভবন ধসে নিহত ১০
ধ্বংস্তূপ থেকে আটকে পড়া ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় একটি দল। ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাজধানী কায়রোর কেদরাসা অঞ্চলে একটি ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবারের (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আটজন। ধ্বংস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল। 

মূলত শ্রমিক শ্রেণির আবাসস্থল কেদরাসায় ধসের পর উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ মাধ্যম আল-আখবার আল-ইয়ুমকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটতে পারে।’

ঘটনার তদন্তে স্থানীয় পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। নিম্নবর্গের আবাসস্থল কেদারাসায় প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দা থাকেন। তবে অঞ্চলটির বেশিরভাগ ভবন স্থাপত্যে প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়মের বাইরে গিয়ে নির্মিত।

ফলস্বরূপ, এই এলাকায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ আমাদের শরণার্থী, মমতাকে শুভেন্দু

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ আমাদের শরণার্থী, মমতাকে শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে খানিকটা মানবিক হয়ে চলা উচিত। এ ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের যেসব মানুষ ধর্মরক্ষার জন্য অসহায় হয়ে তাদের ভিটেবাড়ি, জমিজমা সব ছেড়ে ভারতে আসছেন, তাদের একে একে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরা হচ্ছে।’

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে ৫১ জন, কালীগঞ্জে ৬ জন, পুরো প্রদেশে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে এভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

মমতাকে উদ্দেশ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে বসে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন তথ্য দিচ্ছে, আর এদিকে তাদের দেওয়া তথ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের গ্রেপ্তার করছে। অন্য কোনো রাজ্যে এমনটা হচ্ছে না।’

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ভারত একসময় শেখ মুজিবুর রহমানকে আশ্রয় দিয়েছিল। দালাই লামাকে আশ্রয় দিয়েছিল। এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দলের নেতা-কর্মীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের ধরে ধরে এভাবে জেলে ভরা ঠিক হচ্ছে না। তারা আমাদের দেশের শরণার্থী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি বা রোহিঙ্গা মুসলমানরা আসছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।’

শুভেন্দু বলেন, ‘আসাম থেকে এসে মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে কেনিংয়ে এসে গ্রেপ্তার হচ্ছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী যারা দেশে অনুপ্রবেশ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা ৮৪ বছরের মায়ের বিরুদ্ধে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে। তাদের রায়গঞ্জের জেলে দেওয়া হয়েছে। দুই মাসের সাজাও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কিছু অঞ্চলে দেশবিরোধী কার্যকলাপ বেড়েই চলছে। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী।’

রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এটা অবৈধ ভোট ব্যাংক হিসেবে মমতা পরবর্তী নির্বাচনে কাজে লাগাবেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি জঙ্গি এবং অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে প্রবেশ করতে সুবিধা করে দিচ্ছে বিএসএফ। এর ফলে তার রাজ্যে অশান্তি বিরাজ করছে। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে, কলকাতার নবান্নতে রাজ্য প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মমতা উল্লেখ করেন, যদি বিএসএফ এই ধরনের কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তবে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। অনুপ্রবেশের বিষয়ে তার দলের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন তিনি। সূত্র: এএনআই

ইরানকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট:নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
ইরানকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট:নেতানিয়াহু
জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে জেরুজালেমে বৈঠক শেষে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেন তিনি।

ইরানের হুমকি ব্যর্থ প্রতিপন্ন করতে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ করা উচিত জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আয়াতুল্লয়াহ’রা (ইরানের শিয়া প্রশাসন) যেন পারপমাণবিক ক্ষমতাধর হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিগড়াতে না পারে-এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আলোচনা সংঘটিত হয়েছে।’

নেতানিয়াহুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে মার্কিন কর্মকর্তা রুবিও বলেন, ‘এই অঞ্চলে যত জঙ্গী তৎপরতা ও সহিংসতা ঘটে-খতিয়ে দেখলে প্রত্যেকটির পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে।’

ইরানের মদদপুষ্ট সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুথিদের ‘প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু’ বলা হয়। পশ্চিমা ভাষ্যে এই বিদ্রোহীরা ‘জঙ্গী’ বলেই পরিচিত। 

অথচ ফিলিস্তিনের গাজায় আধিপত্য নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ১৫ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি। ঘরছাড়া হয়েছে গাজা অঞ্চলের প্রায় পুরো জনগোষ্ঠী।

এদিকে নেতানিয়াহুর মতে, ইসরায়েল ইরানের ‘মুখে চপেটাঘাত করেছে’। মার্কিন সহায়তায় চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে আত্মবিশ্বাসী এই নেতা জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন ও তেল আবিব প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছে শক্তিশালী বোমা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ধ্বংসাত্মক এমকে-৮৪ বোমার বিশাল একটি চালান এসে পৌঁছেছে ইসরায়েলের সামরিক মজুদাগারে।

হামাসকে প্রতিহত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রুবিও বলেন, ‘যতদিন গাজায় হামাসের আধিপত্য থাকবে, ততদিন এই অঞ্চলে শান্তি আসবে না।’

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি গাজাবাসীদের উৎখাত করে অঞ্চলটি পূনর্নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার পর ট্রাম্পের ওপর বেজায় খেপেছে আরববিশ্ব। তবে এই প্রস্তাবকে ‘সাহসী’ ও ‘দুরদর্শী’ বলছেন রুবিও।

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক অস্থিতিশীল দেশ সিরিয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর প্রশাসন সামলাচ্ছে বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে রুবিও বলেন, ‘সিরিয়ায় স্বৈরশাসনের পর এলো অস্থিতিশীল প্রশাসন। এটা আর যাই হোক- ইতিবাচক অগ্রগতি নয়।’

এ পরিস্থিতিতে গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় নয় জনের মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বর্ষণে নদীর পানি উপচে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, ফলে হাজারো মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই দুর্যোগে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার বাড়ি ও স্থাপনা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেনটাকি রাজ্য।

গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, তার রাজ্যে অন্তত আটজন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বন্যার পানিতে আটকে পড়া গাড়ির ভেতরে মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রবল বাতাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

গভর্নর বেশিয়ার এটিকে বিগত এক দশকের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি এখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময়। দয়া করে রাস্তায় বের হবেন না। নিরাপদে ঘরে থাকুন।’

ঝড় শুরু হওয়ার আগেই কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

গভর্নর বেশিয়ার জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্যোগ মোকাবিলায় তার অনুরোধ অনুমোদন করেছেন, যার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা সম্ভব হবে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে তীব্র শীতের আবহাওয়া বিরাজ করছে।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের তথ্যমতে, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ার কিছু অংশে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে, আর কেনটাকি ও টেনেসির বিভিন্ন স্থানে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৃষ্টিপাত আরও কিছু সময় ধরে অব্যাহত থাকতে পারে, যা নতুন করে ভয়াবহ বন্যার কারণ হতে পারে। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/