
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের একটি আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের আদেশ সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছেন। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি থেকেই নির্বাচিত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান নিযুক্ত বিচারক জন কোঘেনর ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানের চরম পরিপন্থি’ মন্তব্য করে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বারের মতো অভিষেকের পরই বেশ কিছু বিতর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল এর মধ্যে অন্যতম।
তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ আইনি বাধার সম্মুখীন হয়। বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আধিপত্যে থাকা ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনই ও ওরেগন অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্টের এই নীতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ১৪ দিনের জন্য ট্রাম্পের আদেশ বাধাপ্রাপ্ত হলো।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিচারক কোঘেনর ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন , ‘চার দশক যাবত আমি বিচারকের দায়িত্ব পালন করছি। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। এই আদেশ নিসন্দেহে সংবিধান-পরিপন্থি।’
ট্রাম্পপ্রণীত নীতি অনুযায়ী, চলতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল হবে। অর্থাৎ বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক না হলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না শিশুরা।
ট্রাম্পের এই নীতির বিরুদ্ধে অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল লেইন পোলজোলার মন্তব্য, এই সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুরা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এটা সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীবিরোধী।
এ সময় ন্যায় বিভাগের আইনজীবী ব্রেট শুমেট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও বিচারক এই নীতি সাময়িক স্থগিতের নির্দেশে দেন।
এ ঘটনার পর এক ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মার্কিন মুল্লুকে জন্মগ্রহণ করেছেন মানেই আপনি দেশের নাগরিক। প্রেসিডেন্ট চাইলেও এই অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারবেন না।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশের ‘অভিবাসন পরিস্থিতি সংস্কারের লক্ষ্যে’ ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়ন করতে চান রিপাবলিকানরা। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/সালমান/