
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে একটি এলাকায় রাশিয়ার ড্রোন হামলায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় দুইজন পুরুষ ও একজন নারী প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ওই ড্রোন হামলা হয়। এতে একটি আবাসিক ভবন, আটটি বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলার আগ দিয়ে রাশিয়া জানিয়েছিল, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের বাহিনীর পাঠানো ১২১টি ড্রোন প্রতিহত করেছে। এর মধ্যে ১৩টি ড্রোনকে রাশিয়ার অঞ্চলে ভূপাতিত করা হয়েছে। ওই ১৩ ড্রোনের মধ্যে সাতটি মস্কো ও আশপাশের অঞ্চলের আকাশে উড়ছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে ওই তথ্যগুলো জানায়।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেন, ড্রোনগুলোকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চিহ্নিত করে প্রতিহত করা হয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রীয় বিমান পরিচালনা সংস্থার বরাত দিয়ে জানায়, মস্কোর দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি পুনরায় চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। ছয়টি ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের অন্য যেসব অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে সেগুলো হলো– কারস্ক, ব্রায়ানস্ক, বেলগোরোদ এবং রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ। রায়াজান ও টুলা অঞ্চলের গভর্নররাও হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। দুটি অঞ্চলই মস্কোর দক্ষিণে অবস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছে
ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সম্ভাব্য আলোচনা শুরু করে দেওয়ার আগেই মস্কো ও কিয়েভ একে অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিজের নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময়ও একই কথা বলেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্র যে সহায়তা পাঠায়, সেটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চাপ তৈরি করবেন ট্রাম্প।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ তৈরি করেছেন যুদ্ধ থামানো সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে। মস্কো যুদ্ধ থামাতে রাজি না হলে আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যদি এটি দ্রুত না থামায়, অর্থাৎ একদম তাৎক্ষণিকভাবে, তা হলে আমি ব্যাপকভাবে রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করব, বড় কর চাপিয়ে দেব এবং বড় বড় নিষেধাজ্ঞাও দেব।’ সূত্র: আল-জাজিরা