
গাজার যুদ্ধবিরতির মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আর তাদের অভিযানের মুখে জেনিন শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনিকে। অনেককে জোর করে বের করেও দেওয়া হচ্ছে শরণার্থী শিবির থেকে।
৬৫ বছর বয়সী সালেহ আমর বলেন, আমার আশ্রয়স্থলের বেশির ভাগ বাসিন্দাকেই জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে বাধ্য করা হয়েছে নিজ এলাকা ছাড়তে। আমি নিজের চোখে দেখেছি তারা ১২টি বুলডোজার নিয়ে এসেছে। দেখে মনে হয়েছে তারা যদি পুরো এক শহর ধ্বংস করতে চায়, তা-ও করতে পারবে।’
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পশ্চিম তীরে সর্বশেষ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘আয়রন ওয়াল’। এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শরণার্থী শিবিরে থাকা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই তারা জেনিনে অভিযান চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি সাংবাদিকদের বলেছেন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যাতে আবার একত্রিত না হতে পারেন এবং ইসরায়েলিদের ওপর হামলা না চালাতে পারেন, সে জন্যই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে বয়োবৃদ্ধ সালেহ আমর প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির (পিএ) দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে প্রবেশের আগে পিএ শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তারা অভিযান চালাতে সহায়তা করেছে।
প্রসঙ্গত পিএ গত ডিসেম্বরে শরণার্থী শিবিরটিতে নিজেরা অভিযান পরিচালনা করে। তাদের শাসনের বিরোধিতা করে এমন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায় তারা সে সময়।
আমর বলেন, ‘আমি প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির অনুপ্রবেশ নিয়ে অত্যন্ত শোকাহত– তারা বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ছাদে ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করেছে এবং খোলাখুলি গুলি চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত এটি অব্যাহত ছিল। আমরা দুই পাশের গুলির মাঝে বসবাস করছি।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান