ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা!

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা!
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরের রামমূর্তি এলাকা থেকে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ‘তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।’

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় হিন্দুস্থান টাইমস। 

পুলিশ জানায়, নিহত নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটতে পারে। 

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়।

পুলিশ আরও জানায়, নিহত নারী বিবিএমপির একটি বর্জ্য পরিষ্কারকর্মীর স্ত্রী ছিলেন এবং শহরে সে তার স্বামী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘নিহত নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি এখানে ছয় বছর ধরে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী বৈধ পাসপোর্টধারী এবং চিকিৎসা ভিসায় এ দেশে আসেন। বৃহস্পতিবার নিহত নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার আসতে দেরি হবে। এর পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তখন তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন।’

‘তার শরীরে ও মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। যার ফলে তার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা বিএনএস সেকশন ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা) অনুযায়ী মামলা রুজু করেছি এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি,’ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান।

ঘটনার খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় পুলিশ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ও কুকুর দল।

দেবরাজ বলেন, ‘সকালে ১১২ নম্বর থেকে আমাদের কাছে খবর আসে, কালকেরে লেকের কাছে একটি নির্জন এলাকায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ।’ তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস
 
তাওফিক/ 

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস কৌশল নিয়েছিল আ.লীগ সরকার: ফলকার টুর্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস কৌশল নিয়েছিল আ.লীগ সরকার: ফলকার টুর্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বাংলাদেশের জনগণের তীব্র বিরোধিতার মুখেও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার। আর তা করার জন্য নৃশংস কৌশল নিয়েছিল তারা। এর অংশ হিসেবে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেপ্তার-আটক ও নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে বলে মত দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টুর্কের এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের যে দমন-নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাতে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

জাতিসংঘের জেনেভা ভিত্তিক এ কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য পতিত সরকার সহিংস পন্থা অবলম্বন করে পদ্ধতিগতভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছিল।

ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমরা যে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাতে পেয়েছি, তাতে ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় মদদে হত্যার এক উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। এটি সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল বলেও বিবেচিত হতে পারে।’

টুর্ক আরও বলেন, ‘জনবিরোধিতার মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল হিসেবে এমন নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল সাবেক সরকার। বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।’

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণহানির ঘটনাগুলো নিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন মানবাধিকারবিষয়ক তদন্তকারী বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: আল আরাবিয়া নিউজ

মাহফুজ/এমএ/

বিয়েতে আগ্রহ কমছে চীনে: প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
বিয়েতে আগ্রহ কমছে চীনে: প্রতিবেদন
ছবি: সংগৃহীত

সরকারের পদক্ষেপ সত্ত্বেও বিয়ের হার কমেছে চীনে। এর আগে দেশে ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেয় বেইজিং সরকার।

চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের বরাতে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে ৬১ লাখ যুগল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। যেখানে ২০২৩ সালের চীনে বিয়ে করেছিলেন প্রায় ৭৭ লাখ যুগল।

এদিকে ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক বিয়ের সংখ্যা ছিল গেল বছরের দ্বিগুনেরও বেশি।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে ২৬ লাখ দম্পতি ডিভোর্স নিয়েছেন বলেও জানায় চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি। আগের বছরের তুলনায় বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যায় দেখা গেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি।

এর আগে কোভিড মহামারী মোকাবিলায় ২০২০ সালের পর থেকে বিয়ে নিষিদ্ধ করে চীন সরকার। ২০২৩ সালে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বিয়ের ধুম পড়ে যায় দেশটিতে। এ কারণেই ২০২৪ সালে বিয়ের হার তুলনামূলক কমেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

এ ছাড়া চীনা চন্দ্রপঞ্জিকা অনুসারে ২০২৪ সালকে বিয়ের ক্ষেত্রে অশুভ মনে করেন দেশটির জনগণ। বিয়ের হারে নিম্নগতির পেছনে এটিও একটি কারণ, ধারণা তাদের।

এতদসত্ত্বেও, দেশের জনসংখ্যায় অন্তর্নিহিত ক্ষয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছেন না বেইজিং প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে দেশটির জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘লোকজন বিয়ে করতে চায় না-এমন নয়। আদতে বিয়ের পর সংসারের ঘানি টানার সামর্থ্য বেশিরভাগেরই নেই।’
 
গত কয়েকদশক দেশটিতে সন্তান জন্মদানে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারি থাকায় দেশটিতে বিবাহযোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা নাটকীয় হারে কমেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অভাবে স্বেচ্ছায় বিয়ে করছেন না অনেক যুবা।
 
এ প্রসঙ্গে এক নারী ব্যবহারকারী ওয়েইবোতে লিখেছেন, ‘এখন সময় পাল্টেছে। শুধু নিজের ভরনপোষণের জন্য নারীরা বিয়েতে সম্মত হবেন-এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’

এদিকে বিয়েতে আগ্রহ দিতে সরকার অর্থসহায়তা ঘোষণা করলেও নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের অভাব ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে গেল বছর বিয়ের হার বাড়ানো সম্ভব হয়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

জমে উঠেছে মাস্ক-অল্টম্যান দ্বন্দ্ব

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
জমে উঠেছে মাস্ক-অল্টম্যান দ্বন্দ্ব
টেসলা ও স্পেসএস্কের সিইও ইলন মাস্ক ও ওপেন এইআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন ওপেন এআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান। সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই কেনার প্রস্তাবের জবাবে অল্টম্যানের কড়া উত্তরে কাবু হন টেসলাপ্রধান।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাস্কের ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ওপেন এআই কেনার প্রস্তাবকে ঝাঁঝালো প্রত্যাখ্যান জানান অল্টম্যান। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রায় বাধা আনার উদ্দেশে মাস্ক আইনি জটিলতা দাঁড় করাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্যারিসে অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে অল্টম্যান বলেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবত দেখছি, মাস্ক আমাদের পেছনে লেগে নানা ফন্দি আঁটছে। আমাদের উন্নতির গতি কমানোই তার উদ্দেশ।’

মজার ব্যাপার হলো, মাস্ক খোদ ওপেন এআই-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তবে ২০১৮ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর বেশ কয়েকবার প্রতিষ্ঠানটির কড়া  সমালোচনা করেছেন তিনি। মাস্কের ভাষ্য, তিনি অলাভজনক উদ্দেশ থেকে ওপেন এআই এগিয়ে নিতে চাইলেও পরিচালনাপর্ষদের অন্যান্যরা লাভকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।

এই দ্বন্দ্বের জেরে নিজেই এক্স-এআই নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল উদ্ভাবন করেছেন তিনি।

এই বিরোধে আইনি জটিলতা যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রথমবার মাস্কের আইনি আক্রমণের শিকার হয় ওপেন এআই। সেবছর আগস্ট মাসে ফের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন টেসলার সিইও।

তবে এ বিষয়ে ওপেন এআই-এর ভাষ্য, ২০১৮ সালে ওপেন এআইকে নিজের প্রতিষ্ঠান টেসলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় হিংসায় এসব করছেন মাস্ক।

এ ছাড়া মাস্কের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে অল্টম্যান বলেন, ‘আমাদের এআই সংস্করণ শুধু লাভ খোঁজে- এটা সত্যি নয়। অলাভজনক সংস্করণটিও যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা এই মডেলের সংস্কারে বদ্ধপরিকর।’

চলমান বাগবিতণ্ডায় মঙ্গলবার মাস্ককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন অল্টম্যান।

তিনি বলেন, ‘মাস্কের পুরো জীবনটাই সংশয়ে পূর্ণ। আমরা ধারণা তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অসুখী, তাই এসব করে বেড়ান।’  

এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্টতা ওপেন এআই-এর জন্য চিন্তার বিষয় কি না জানতে চাইলে অল্টম্যান বলেন, ‘দুশ্চিন্তা হওয়া উচিত। তবে সত্যি বলতে মাস্ককে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’ সূত্র: সিএনএন

নাইমুর/

রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন চীনকে পাশে চাইছেন ট্রাম্প?

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন চীনকে পাশে চাইছেন ট্রাম্প?
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চতুর্থ বছরে পদার্পণ করবে কিছুদিনের মধ্যেই। এই সংকট মোকাবিলায় চীনের সহায়তা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধরত দুপক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মত তার।

এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির মারপ্যাঁচ নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।

গত মাসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করি চীন এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে আমাদের প্রচেষ্টায় যোগ দেবে।’ এ বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিংয়ের সঙ্গে ফোনকলে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ‘ঘনিষ্ট সম্পর্ক’ কাজে লাগিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করলেও চীনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন রাশিয়ার জন্যই বরাদ্দ থাকে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বেইজিং প্রশাসন আদৌ শক্ত অবস্থান গ্রহণ করবে কি না-নিশ্চিত নন বিশ্লেষকরা। 

পশ্চিমা রাষ্ট্রের বিপরীতে চীনের অবস্থান টিকিয়ে রাখার পেছনে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ পর্যায়ে দেশটি মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যাবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এ ছাড়া সম্প্রতি চীনা পণ্য আমদানিতে ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্কারোপের কারণে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক আরও ঘোলাটে হয়ে পড়েছে।

তবে বিশ্লেষকদের একটি ধারা বলছে, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা কমাতে ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হতে পারেন শি।

মার্কিন থিংকট্যাংক স্টিমসন সেন্টারের ইউন সান বিষয়টিতে আলোকপাতের এক পর্যায়ে বলেন, ‘মধ্যস্থতার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতির আশা দেখালে বেইজিং প্রস্তাব লুফে নেবে।’ তবে, মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়াকেও হেলা করতে পারবে না চীন।

এদিকে আগামী শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখে অবস্থিত নিরাপত্তা সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আলোচনার একটি মুখ্য বিষয় হবে। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা।

এ সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স সাক্ষাৎ করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। তার কাছে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন চীনা প্রতিনিধি দলও।

সম্প্রতি ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন অর্থসহায়তা বন্ধের হুমকির পর সমর্থনের বিনিময়ে দেশের দুর্লভ খনিজ সম্পদ ট্রাম্পকে অর্পণ করেছেন জেলেনস্কি।

এ পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনায় ট্রাম্পের অবস্থান কী হবে-স্পষ্ট হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও। তবে ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

বিশ্লেষকদের মত, চীন-সমর্থিত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে অধিকৃত অঞ্চল ছাড়তে রাজি হবে না রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি হবে না। বরং, কিছুদিন শান্ত থেকে পুনরায় শুরু হবে সহিংসতা।

আগামী কয়েক সপ্তাহই বলে দেবে চলমান যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কোন দিকে গড়াবে। সূত্র: সিএনএন

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসী বিতাড়নের শেষ পরিণতি হবে ভয়াবহ: পোপ ফ্রান্সিস

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসী বিতাড়নের শেষ পরিণতি হবে ভয়াবহ: পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে কেবল অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে লোকদের জোরপূর্বক বিতাড়ন করা তাদের মর্যাদার জন্য হানিকর এবং এই কাজের শেষ পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বিশপদের লেখা চিঠিতে অভিবাসীদের কঠোরভাবে দমনের বিষয়ে ট্রাম্পের নীতির এভাবেই সমালোচনা করেন পোপ ফ্রান্সিস।

চিঠিতে পোপ ফ্রান্সিস যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোরপূ্র্বক শরণার্থী বিতাড়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস ডেভিড ভ্যান্সকে সরাসরি আক্রমণ করেন।

ওই চিঠিতে পোপ ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন কর্মসূচির পদ্ধতিকে আক্রমণ করে এর ধর্মতাত্ত্বিক ন্যায্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

পোপ লিখেছেন- ‘সাত্ত্বিক হৃদয়ের ব্যক্তি এই অভিবাসন প্রক্রিয়ার পদ্বতি বিচার করতে অকৃতকার্য হতে পারেন না এবং এসব অবৈধ অভিবাসীদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন না।’

এ সময় তিনি চিঠিতে যিশু খ্রিস্টের শরণার্থীর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলবপূর্বক অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আমি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করেছি। যে বিষয়টি গায়ের জোরে স্থাপন করা হচ্ছে, যেখানে সত্যের কোনো স্থান নেই এবং যেখানে মানবতার মর্যাদা নেই, সে বিষয়গুলোর শেষ খুব মর্মান্তিক হয়।’

পোপ আরও লিখেছেন, ‘খ্রিস্টীয় প্রেম এককেন্দিক স্বার্থের কোনো ভালোবাসা নয়।’

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সম্মেলন থেকে এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের বিভিন্ন পলিসির সমালোচনা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে  ‘ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম, বিদেশে সাহায্য বন্ধ, মৃত্যুদণ্ড এবং পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন নীতির বহু নেতিবাচক দিক রয়েছে, যা আমাদের মধ্যে দুর্বলদের আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’

হোয়াইট হাউজের তথ্যমতে, দ্বিতীয় বারের মত ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় আট হাজার অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে।

এর আগে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে পোপের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সুমন/