
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরের রামমূর্তি এলাকা থেকে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ‘তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় হিন্দুস্থান টাইমস।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটতে পারে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত নারী বিবিএমপির একটি বর্জ্য পরিষ্কারকর্মীর স্ত্রী ছিলেন এবং শহরে সে তার স্বামী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘নিহত নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি এখানে ছয় বছর ধরে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী বৈধ পাসপোর্টধারী এবং চিকিৎসা ভিসায় এ দেশে আসেন। বৃহস্পতিবার নিহত নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার আসতে দেরি হবে। এর পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তখন তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন।’
‘তার শরীরে ও মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। যার ফলে তার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা বিএনএস সেকশন ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা) অনুযায়ী মামলা রুজু করেছি এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি,’ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় পুলিশ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ও কুকুর দল।
দেবরাজ বলেন, ‘সকালে ১১২ নম্বর থেকে আমাদের কাছে খবর আসে, কালকেরে লেকের কাছে একটি নির্জন এলাকায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ।’ তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস
তাওফিক/