
সব দেশে সহায়তা দেওয়া স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েল ও মিশরের জন্য জরুরি খাদ্য ও সামরিক তহবিল স্থগিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।
দ্বিতীয় মেয়াদে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তার প্রশাসন এক নির্বাহী আদেশ জারি করে। সেখানে এই সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র জরুরি খাদ্য এবং সামরিক সহায়তা হিসেবে ইসরায়েল ও মিশরের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল স্থগিত করেনি।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উল্লেখ করেছেন, ‘কোনো নতুন তহবিল বা পূর্বের বরাদ্দের সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।’
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আদেশ দেওয়া হয়। এই নীতির আওতায় বিদেশি সহায়তার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এই নির্দেশনার কারণে বিশ্বে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুতেই প্রভাব পড়বে বলে বিশেজ্ঞরা ধারণা করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের কারণে পিইপিএফএআর নামে পরিচিত কর্মসূচির অর্থায়নও কয়েক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির অধীনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এইচআইভি/এইডস রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
এদিকে, নির্বাহী আদেশে ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। ফলে গাজা যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্র সহায়তা আরও দীর্ঘায়িত হলো।
মিশর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এই দেশটির ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ প্রযোজ্য নয়।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, জরুরি খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে, যা এর আগে সুদান ও সিরিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস
তাওফিক/অমিয়/