
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অনুরোধ রাখেনি মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া অভিবাসীদেরকে মেক্সিকোতে রেখে আসতে চেয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ জন্য দেশটিতে মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অনুমতি দেয়নি দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার গুয়াতেমালাতেও একই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট দুটি ফ্লাইটে ৮০ জন করে ১৬০ জন অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানো হয়। তবে মেক্সিকোর অনুমতি না পাওয়ায় সেদিকে আর অভিবাসী পাঠাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাদের। অভিবাসীসংক্রান্ত নানা ইস্যুতে তারা সহযোগিতাও করে। প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তারা আনন্দের সঙ্গেই মেক্সিকান অভিবাসীদের গ্রহণ করবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মেক্সিকোর কর্মকর্তারা তাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অবতরণের অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেনি। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতেও এ ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পুরোনো এক কর্মসূচি আবার শুরু করে। ওই কর্মসূচির নাম ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’। এর আওতায় মেক্সিকান নন এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে জোরপূর্বক রাখা হয়।
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাম গত বুধবার জানান, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য যেসব মার্কিন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তার দেশ গ্রহণ করবে, তাদেরও সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। মেক্সিকো এখনো এটি করেনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর নতুন করে আবার আলোচনায় চলে আসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সম্পর্ক। ট্রাম্প ওভাল অফিসে পা রেখেই সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত তারা সে সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে। এ ছাড়াও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামীতে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে ওই সীমান্তে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স