
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো শতাধিক ভারতীয় অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অম্রিতসর বিমানবন্দে অভিবাসীদের উড়োজাহাজ অবতরণের পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ‘অবহেলার’ দায়ে অভিযুক্ত করেন কংগ্রেস নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে পাঠানোর সময় ভারতীয় অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির নেতা গৌরভ গোগোই মার্কিন প্রশাসনের ব্যবহারকে ‘মানবাধিকার ও মানবিক সম্মানের চরম লঙ্ঘন’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ বিষয়ে পার্লামেন্টের যথাযথ পদক্ষেপও আশা করেন তিনি।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পর ভারতীয় অভিবাসীদের দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে পাঞ্জাব প্রশাসন।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাপ প্রয়োগ করেছেন কংগ্রেস আইনপ্রণেতা মানিক্যম ঠাকুর। দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুব্রমন্যম জয়শংকরের উদ্দেশে মার্কিন প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা চেয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দায়েরের প্রস্তাব তোলেন তিনি।
তবে মুখ খোলেনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবারের সংসদীয় অধিবেশনে তুমুল বিতর্কে মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেন বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা।
বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নতুন নয়। তবে মার্কিন সামরিক বিমানে চড়ে অভিবাসীদের দেশে ফেরা ‘ভারতীয় কূটনীতির গালে চপেটাঘাত’, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অভিবাসনবিরোধী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক খাতকে অন্তর্ভূক্ত করছে।
আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। এই আলোচনার মূখ্য বিষয়গুলোর অন্যতম হবে মার্কিন অভিবাসননীতি,ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এদিকে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের সাগ্রহে গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/