
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইসিসিকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
ইসরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই ধারাবাহিকতায় আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন তিনি।
এর আগে গেল বছর নভেম্বরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু ও হামাসের এক কমান্ডারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রজ্ঞাপিত এক মেমোরানডাম উল্লেখ করা হয়, হামাস ও ইসরায়েলকে একই পাল্লায় বিবেচনা করা আইসিসির ‘নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচায়ক’।
আইসিসির তদন্ত কার্যক্রমে মার্কিন ও ইসরায়েলি নাগরিকদের ‘হেনস্তা, দুর্ব্যবহার ও গ্রেপ্তারের’ আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যুদ্ধ আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করেনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যপদ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধবিষয়ক তদন্ত ঘোষণা করায় ২০২০ সালে প্রথম মেয়াদে আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিতে একমত হন আইনপ্রণেতারা। শেষে বিষয়টি পার্লামেন্টের সিনেটে আটকে গেলেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে নাখোশ ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।
গাজায় মার্কিন আধিপত্য কায়েমের ঘোষণা দেওয়ার পর তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ক্ষমতাগ্রহণের এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রতিনিয়ত আলোচনার বিষয় হচ্ছেন ৭৭ বছর বয়সী এই নেতা। সাম্প্রতিক বিতর্কের অবসান আদৌ ঘটবে নাকি গাজাবাসীদের ভঙ্গুর জীবনযাত্রায় নেমে আসবে আরও কূটনৈতিক বিপর্যয়, নিশ্চিত নন বিশ্লেষকরা। সূত্র: বিবিসি
নাইমুর/