
সৌদি আরবে অনেক খালি জায়গা আছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের জন্য দেশ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪কে দেওয়া সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সৌদি আরবে অনেক খালি জমি পড়ে আছে। তারা চাইলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে পারেন।’
এ সময় পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল তৈরির প্রস্তাব নাকচ করেন তিনি।
সৌদ আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকতে দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের রাষ্ট্রসত্ত্বাকে হুমকির মুখে ফেলে-এ ধরনের চুক্তি করার প্রশ্নই উঠে না।’
এ সময় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসারায়েলে হামাস পরিচালিত আক্রমণকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন এই নেতা।
‘এক সময় ফিলিস্তিনিদের একটা দেশ ছিল। গাজায় বসবাস করত তারা। হামাস ছিল এই জাতির নেতৃত্বে। কিন্তু তাদের অস্তিত্বের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় দেখতে পেলাম।’
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী দখল কায়েমের প্রস্তাব দিয়ে ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সাক্ষাতকারে সৌদি আরবের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আশাবাদী নেতানিয়াহু বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির দ্বারে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ব।’
তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ব্যতীত ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী নয় সৌদি আরব প্রশাসন।
সৌদি রাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠকের আগ পর্যন্ত গাজায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে না ইসরায়েল। সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট
নাইমুর/