ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

আদানির পুরো বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
আদানির পুরো বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ
আদানি পাওয়ার

আদানি পাওয়ারকে তাদের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। এ ছাড়া বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছিল। এখন পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বাংলাদেশ।

আদানি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে করা ওই চুক্তি অনুসারে, আদানি পাওয়ার ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে নিজেদের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুই ইউনিটের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আর ওই বিদ্যুৎ শুধু বাংলাদেশের কাছেই বিক্রি করা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে বকেয়া দিতে দেরি হওয়ায় গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেক করে দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এর ফলে ১ নভেম্বর কেন্দ্রটির একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৪২ শতাংশ সক্ষমতায় কাজ করছিল। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদানিকে অর্ধেক সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছিল।

এদিকে, নতুন চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটা চালুর প্রথম প্রচেষ্টা কারিগরি ত্রুটির জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী, তারা গত সোমবার দ্বিতীয় ইউনিটটি আবার চালুর করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু উচ্চমাত্রার কম্পনের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’

বকেয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার করে বিল পরিশোধ করছি। আমরা আরও বেশি পরিশোধ করার চেষ্টা করছি, এবং আমাদের উদ্দেশ্য হলো বকেয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা। এখন আদানির সঙ্গে বড় কোনো সমস্যা নেই।’

গত ডিসেম্বরে আদানির এক সূত্র জানিয়েছিল যে, বিপিডিবির কাছে তাদের পাওনা ৯০০ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে রেজাউল করিম জানিয়েছিলেন বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।

মূলত বিদ্যুৎ শুল্ক কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, দুটি সূচকের গড়ের ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের যে খরচ হয়, আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে তার চেয়েও প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি খরচ হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের এক আদালত বিশেষজ্ঞদের আদানির ওই চুক্তি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি মাসেই নিজেদের মত জানাতে পারেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে চুক্তি নিয়ে ফের আলোচনাও হতে পারে। সূত্র: রয়টার্স

সুনীতাদের ফেরাতে অবশেষে রওনা দিল মাস্কের মহাকাশযান

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
সুনীতাদের ফেরাতে অবশেষে রওনা দিল মাস্কের মহাকাশযান
শনিবার ভোরে ( ১৫ মার্চ ) মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে স্পেসএক্সের ক্রু-১০। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে স্পেসএক্স ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।  

ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় শনিবার ( ১৫ মার্চ) ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণ হয়।

জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে থাকা প্রবীণ নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের প্রত্যাবর্তনকে সহজ করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই মিশনটি মূলত বুধবার (১২ মার্চ) পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে এটি বিলম্বিত হয়। 

নাসা এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের যৌথ উদ্যোগে ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ হাইড্রলিক সিস্টেমের সমস্যায় পিছিয়ে যায়। মহাকাশযানটিতে নাসা, জাপান ও রাশিয়ার চার নভোচারী রয়েছেন। তারা হলেন- নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ।

ফ্যালকন-৯ রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ছিল সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিট। নাসা এই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও তাদের অফিশিয়াল পেজে পোস্ট করে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্রু-১০ সুনীতাদের নিয়ে ১৯ মার্চের পর পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

গত বছরের জুনে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা যে মহাকাশযানে চড়ে গিয়েছিলেন, সেটির বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। যার কারণে তাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। 

পরে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। এ কারণে সেটি খালি অবস্থাতেই পৃথিবীতে ফিরে আসে। এভাবেই মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা, বুচ। তাদের আট দিনের মহাকাশ সফর ৯ মাস দীর্ঘায়িত হয়। অবশেষে তারা ফিরতে চলেছেন।  সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২২ এএম
অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল
কানাডার  অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিং। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার সাড়া জাগানো অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিংকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করেছে। ৪৩ বছর বয়সী রায়ান ২০০২ সালে ইউটা সল্টলেক সিটিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে কানাডার হয়ে জায়ান্ট স্ল্যালম ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

কানাডার তারকা খেলোয়াড়দের নাম নিতে গেলে সেই তালিকায় প্রথমেই আসে রায়ান ওয়েডিংয়ের প্রসঙ্গ। অথচ এখন তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়।

অবসরের পর রায়ান ওয়েডিং অন্ধকার জগতে পা বাড়ান। তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

কানাডার পুলিশের হাত থেকেও একাধিকবার পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চার বছর জেলও খেটেছেন। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।

সম্প্রতি যুক্ত্ররাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা ঘোষণা করেছে। সেই তালিকার ১০ জনের মধ্যে রায়ান ওয়েডিংয়ের নাম রয়েছে। 

এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রায়ান ওয়েডিংকে ধরে দিতে বা খোঁজ দিতে পারলে এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। 

এফবিআই জানায়, ওয়েডিং বর্তমানে মেক্সিকো বা লাতিন আমেরিকার কোনো একটি দেশে লুকিয়ে রয়েছেন।

এফবিআই আরও জানায়, রায়ান একটি সংগঠন পরিচালনা করতো; যেটি কলম্বিয়া থেকে মাদক কিনে মেক্সিকোতে পাঠাতো। সেখান থেকে আবার সেসব মাদক লস অ্যাঞ্জেলেসে আনা হতো। এরপর পাঠানো হতো কানাডায়। 

আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ওয়েডিং খুনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তিনি ২০২৩ সালে অন্টারিওতে দুই ব্যক্তিকে খুন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে রায়ান এতদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাকে মাত্র একবার ধরতে পেরেছে এফবিআই। তিনি এল জেফে, জায়ান্ট, পাবলিক এনিমি ছন্দনামে এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সূত্র: নিউজ উইক

দিনা/অমিয়/

ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১২ এএম
ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ইরান ড্রোন ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর আইন অমান্যকারীদের দমন-পীড়ন করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষ করে, সেসব নারী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সতর্কতার সঙ্গে এসব কৌশল প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে ট্যাক্সি এবং অ্যাম্বুলেন্সের মতো ব্যক্তিগত যানবাহনে মহিলাদের পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে বিশেষ ফোন অ্যাপ ব্যবহার করতে জনগণকে উৎসাহিত করছে।

এই প্রতিবেদনে তেহরান এবং দক্ষিণ ইরানে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন এবং নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার তুলে ধরা হয়।

তাদের নতুন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তেহরান এবং ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে হিজাব আইন বাস্তবায়নের জন্য ড্রোন ও নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। যারা এই কঠোর আইনের বিরোধিতা করছেন বা প্রতিবাদ করছেন, তারা গ্রেপ্তার, মারধর এবং কখনো কখনো পুলিশি হেফাজতে যৌন সহিংসতারও শিকারও হচ্ছেন।

জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্য-উদ্ধার মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি কর্তৃপক্ষের সহিংসতার কারণেই ২০২২ সালে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২২ বছর বয়সী ওই কুর্দি তরুণীকে দেশটির নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারধর করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তার মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলে দাবি করে।

মাসার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, তা পরে আন্দোলনে রূপ নেয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর দমন-পীড়নের হুমকি থাকার পরও এই আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়- ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের দুই বছর পরও ইরানের নারী ও কিশোরীরা আইনি ও বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, ইরান সরকারের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে।

‘সতর্কতা’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নে রাষ্ট্র সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। বিষয়টিকে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

তেহরানের আমির-কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে নারীদের হিজাব পরিধান নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে। এ ছাড়াও, ইরানের প্রধান সড়কগুলোর নিরাপত্তা ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, তারা ‘নাজার’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ পেয়েছেন। ইরানের পুলিশ এই অ্যাপ পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে অনুমোদিত ব্যক্তিরা হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে লোকজন যানবাহনের ভেতরে হিজাববিহীন নারীদের অবস্থান, তারিখ, সময় এবং যানবাহনের নম্বর প্লেটসহ রিপোর্ট করতে পারেন। এই রিপোর্ট পুলিশকে সরাসরি সতর্কবার্তা পাঠায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পর যানবাহনের মালিককে একটি মেসেজ পাঠিয়ে হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায় পুলিশ। যদি কেউ এই সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করেন, তবে তার যানবাহন আটক করা হতে পারে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইরানের বিচারিক ব্যবস্থার গভীর পর্যালোচনা করেছেন। নির্যাতিতদের পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, সরকার কর্তৃক তিন শিশু এবং তিন প্রাপ্তবয়স্ক বিক্ষোভকারীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মৃত্যুকে পরে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আটক নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। 

বিবিসি জানায়, এই প্রতিবেদনটি ১৮ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। সূত্র: বিবিসি

দিনা/অমিয়/

গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে। তাদের হামলায় গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় অন্তত দুই শিশু মারা গেছে। উপত্যকাজুড়ে টানা ১৩ দিনের মতো সহায়তা বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ধ্বংস করে দিয়ে এবং যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিরা গাজার বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখার পক্ষে এবং দ্বিতীয় ধাপে যেতে চাইছে। তবে এরই মধ্যে খবর রটেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ধাপ ৬০ দিনের জন্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪৮ হাজার ৫২৪ জন ফিলিস্তিনি গাজার যুদ্ধে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৫ জন।

তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। তারা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপাপড়া ব্যক্তিদেরও মৃতের তালিকায় ধরেছে। 

দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা

সিরিয়ায় সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন হাজারও মানুষ। চলমান সংঘাতের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল জায়গাটি।

তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামিক জিহাদ। তবে এক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একজন ফিলিস্তিনি।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। দেশটিতে আসাদ যুগের অবসানের পর পুনর্গঠন নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও সামরিক তৎপরতা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিদ্রোহীদের ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে দিয়েই সিরিয়ায় আসাদ যুগের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি

আইসিসিতে হাজির রদ্রিগো দুতার্তে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ এএম
আইসিসিতে হাজির রদ্রিগো দুতার্তে
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাজির ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাজির করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই এক বিবৃতিতে আদালত জানান, শুক্রবার বেলা ২টায় দুতার্তের প্রথম হাজিরা নির্ধারণ করেছে চেম্বার।

৭৯ বছর বয়সী দুতার্তে শুনানির জন্য বিচারকদের সামনে হাজির হন। কোন কোন অপরাধে তিনি অভিযুক্ত তা শোনেন এবং বিবাদী হিসেবে তার অধিকার সম্পর্কে সেখানে তাকে অবহিত করা হয়।

মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর অভিযান চালাতে গিয়ে দুতার্তে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, তার এই মাদকবিরোধী অভিযানে হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার ম্যানিলায় দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। এরপর তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসিতে পাঠানো হয়।

গত বুধবার নেদারল্যান্ডসে পা রাখার পর সাবেক এই নেতা নিজ কর্মকাণ্ডের দায়ভার স্বীকার করে নেন। এক ফেসবুক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পুলিশকে, সামরিক বাহিনী বলেছি যে এটি আমার কাজ ছিল এবং আমিই এর জন্য দায়ী।’ সূত্র: আল-জাজিরা।