ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

যুদ্ধবিরতির পরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২২ পিএম
যুদ্ধবিরতির পরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস গাজা উপত্যকা। ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজায় ১৫ মাসের ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলার পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এই যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১৮ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৮২২ জন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুর্শ জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৯২ জন সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং ধ্বংসস্তূপে থাকা অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণেও প্রাণহানি ঘটেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। যদিও এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়, শান্তি স্থাপন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গত ১৫ মাসের টানা হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ। এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অন্তর্ভুক্ত করলে মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানবিক সংকটের গভীরতা বাড়তে থাকলেও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামেনি, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

তাওফিক/ 

সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে ইউক্রেন, রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে ইউক্রেন, রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: সংগৃহীত

বিগত ২০২০-২৪ সময়কালে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ইউক্রেন। গত চার বছর ধরে বিশ্বজুড়ে যে অস্ত্র রপ্তানি হয়েছে, তার ৯ শতাংশই হয়েছে ইউক্রেনে। যুদ্ধরত দেশটিতে ২০১৫-১৯ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় আমদানি প্রায় শতগুণ বেড়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। আর ভারতকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (এসআইপিআরআই) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে মারণাস্ত্র কেনাবেচার পরিমাণ একই আছে, কেবল যারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনছে তাদের নাম বদল হয়েছে। বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বিক্রির এই চিত্র ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় একই।

২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে। সম্প্রতি তারা অস্ত্র আমদানির পরিমাণ অনেকগুণ বাড়িয়েছে। একই সময়ে ইউরোপের দেশগুলোতে অস্ত্র কেনার পরিমাণ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এটি মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের একটি প্রভাব। 

এসআইপিআরআই’র রিপোর্ট বলছে, রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে, এই ভয় থেকেই ইউরোপ বেশি অস্ত্র কিনছে। এর আগে যারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করত সেই সৌদি আরব, ভারত, চীন ওই সময়ের মধ্যে অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, ৩৫টি দেশ ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ শতাংশ অস্ত্র গেছে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এছাড়া জার্মানি ১২ শতাংশ এবং পোল্যান্ড ১১ শতাংশ অস্ত্র দিয়েছে।

অন্যদিকে, বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তারা ১০৭টি দেশকে অস্ত্র দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে মোট অস্ত্র রপ্তানির ৪৩ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের তুলনায় তাদের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ চারগুণেরও বেশি।

এছাড়া ২০১৫ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ ৬৩ শতাংশ কমে গেলেও দেশটি ২০২১ ও ২০২২ সালে চীন ও ভারতকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র দিয়েছে।  সুত্র: দ্য হিন্দু

দিনা/অমিয়/

সুনীতাদের ফেরাতে অবশেষে রওনা দিল মাস্কের মহাকাশযান

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
সুনীতাদের ফেরাতে অবশেষে রওনা দিল মাস্কের মহাকাশযান
শনিবার ভোরে ( ১৫ মার্চ ) মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে স্পেসএক্সের ক্রু-১০। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে স্পেসএক্স ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।  

ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় শনিবার ( ১৫ মার্চ) ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণ হয়।

জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে থাকা প্রবীণ নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের প্রত্যাবর্তনকে সহজ করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই মিশনটি মূলত বুধবার (১২ মার্চ) পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে এটি বিলম্বিত হয়। 

নাসা এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের যৌথ উদ্যোগে ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ হাইড্রলিক সিস্টেমের সমস্যায় পিছিয়ে যায়। মহাকাশযানটিতে নাসা, জাপান ও রাশিয়ার চার নভোচারী রয়েছেন। তারা হলেন- নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ।

ফ্যালকন-৯ রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ছিল সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিট। নাসা এই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও তাদের অফিশিয়াল পেজে পোস্ট করে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্রু-১০ সুনীতাদের নিয়ে ১৯ মার্চের পর পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

গত বছরের জুনে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা যে মহাকাশযানে চড়ে গিয়েছিলেন, সেটির বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। যার কারণে তাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। 

পরে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। এ কারণে সেটি খালি অবস্থাতেই পৃথিবীতে ফিরে আসে। এভাবেই মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা, বুচ। তাদের আট দিনের মহাকাশ সফর ৯ মাস দীর্ঘায়িত হয়। অবশেষে তারা ফিরতে চলেছেন।  সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২২ এএম
অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল
কানাডার  অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিং। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার সাড়া জাগানো অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিংকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করেছে। ৪৩ বছর বয়সী রায়ান ২০০২ সালে ইউটা সল্টলেক সিটিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে কানাডার হয়ে জায়ান্ট স্ল্যালম ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

কানাডার তারকা খেলোয়াড়দের নাম নিতে গেলে সেই তালিকায় প্রথমেই আসে রায়ান ওয়েডিংয়ের প্রসঙ্গ। অথচ এখন তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়।

অবসরের পর রায়ান ওয়েডিং অন্ধকার জগতে পা বাড়ান। তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

কানাডার পুলিশের হাত থেকেও একাধিকবার পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চার বছর জেলও খেটেছেন। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।

সম্প্রতি যুক্ত্ররাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা ঘোষণা করেছে। সেই তালিকার ১০ জনের মধ্যে রায়ান ওয়েডিংয়ের নাম রয়েছে। 

এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রায়ান ওয়েডিংকে ধরে দিতে বা খোঁজ দিতে পারলে এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। 

এফবিআই জানায়, ওয়েডিং বর্তমানে মেক্সিকো বা লাতিন আমেরিকার কোনো একটি দেশে লুকিয়ে রয়েছেন।

এফবিআই আরও জানায়, রায়ান একটি সংগঠন পরিচালনা করতো; যেটি কলম্বিয়া থেকে মাদক কিনে মেক্সিকোতে পাঠাতো। সেখান থেকে আবার সেসব মাদক লস অ্যাঞ্জেলেসে আনা হতো। এরপর পাঠানো হতো কানাডায়। 

আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ওয়েডিং খুনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তিনি ২০২৩ সালে অন্টারিওতে দুই ব্যক্তিকে খুন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে রায়ান এতদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাকে মাত্র একবার ধরতে পেরেছে এফবিআই। তিনি এল জেফে, জায়ান্ট, পাবলিক এনিমি ছন্দনামে এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সূত্র: নিউজ উইক

দিনা/অমিয়/

ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১২ এএম
ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ইরান ড্রোন ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর আইন অমান্যকারীদের দমন-পীড়ন করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষ করে, সেসব নারী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সতর্কতার সঙ্গে এসব কৌশল প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে ট্যাক্সি এবং অ্যাম্বুলেন্সের মতো ব্যক্তিগত যানবাহনে মহিলাদের পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে বিশেষ ফোন অ্যাপ ব্যবহার করতে জনগণকে উৎসাহিত করছে।

এই প্রতিবেদনে তেহরান এবং দক্ষিণ ইরানে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন এবং নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার তুলে ধরা হয়।

তাদের নতুন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তেহরান এবং ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে হিজাব আইন বাস্তবায়নের জন্য ড্রোন ও নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। যারা এই কঠোর আইনের বিরোধিতা করছেন বা প্রতিবাদ করছেন, তারা গ্রেপ্তার, মারধর এবং কখনো কখনো পুলিশি হেফাজতে যৌন সহিংসতারও শিকারও হচ্ছেন।

জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্য-উদ্ধার মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি কর্তৃপক্ষের সহিংসতার কারণেই ২০২২ সালে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২২ বছর বয়সী ওই কুর্দি তরুণীকে দেশটির নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারধর করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তার মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলে দাবি করে।

মাসার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, তা পরে আন্দোলনে রূপ নেয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর দমন-পীড়নের হুমকি থাকার পরও এই আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়- ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের দুই বছর পরও ইরানের নারী ও কিশোরীরা আইনি ও বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, ইরান সরকারের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে।

‘সতর্কতা’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নে রাষ্ট্র সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। বিষয়টিকে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

তেহরানের আমির-কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে নারীদের হিজাব পরিধান নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে। এ ছাড়াও, ইরানের প্রধান সড়কগুলোর নিরাপত্তা ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, তারা ‘নাজার’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ পেয়েছেন। ইরানের পুলিশ এই অ্যাপ পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে অনুমোদিত ব্যক্তিরা হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে লোকজন যানবাহনের ভেতরে হিজাববিহীন নারীদের অবস্থান, তারিখ, সময় এবং যানবাহনের নম্বর প্লেটসহ রিপোর্ট করতে পারেন। এই রিপোর্ট পুলিশকে সরাসরি সতর্কবার্তা পাঠায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পর যানবাহনের মালিককে একটি মেসেজ পাঠিয়ে হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায় পুলিশ। যদি কেউ এই সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করেন, তবে তার যানবাহন আটক করা হতে পারে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইরানের বিচারিক ব্যবস্থার গভীর পর্যালোচনা করেছেন। নির্যাতিতদের পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, সরকার কর্তৃক তিন শিশু এবং তিন প্রাপ্তবয়স্ক বিক্ষোভকারীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মৃত্যুকে পরে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আটক নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। 

বিবিসি জানায়, এই প্রতিবেদনটি ১৮ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। সূত্র: বিবিসি

দিনা/অমিয়/

গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে। তাদের হামলায় গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় অন্তত দুই শিশু মারা গেছে। উপত্যকাজুড়ে টানা ১৩ দিনের মতো সহায়তা বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ধ্বংস করে দিয়ে এবং যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিরা গাজার বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখার পক্ষে এবং দ্বিতীয় ধাপে যেতে চাইছে। তবে এরই মধ্যে খবর রটেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ধাপ ৬০ দিনের জন্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪৮ হাজার ৫২৪ জন ফিলিস্তিনি গাজার যুদ্ধে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৫ জন।

তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। তারা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপাপড়া ব্যক্তিদেরও মৃতের তালিকায় ধরেছে। 

দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা

সিরিয়ায় সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন হাজারও মানুষ। চলমান সংঘাতের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল জায়গাটি।

তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামিক জিহাদ। তবে এক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একজন ফিলিস্তিনি।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। দেশটিতে আসাদ যুগের অবসানের পর পুনর্গঠন নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও সামরিক তৎপরতা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিদ্রোহীদের ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে দিয়েই সিরিয়ায় আসাদ যুগের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি