
ইসরায়েল চলতি বছর ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ‘নারকীয় হামলা’ চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে প্রস্তুত করা গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের সামরিক অবকাঠামো বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় থাকায় এই হামলার আশঙ্কা আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েল এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চাইতে পারে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এমন অভিযানে সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকের আরেকটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, ইসরায়েল এখনো ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বা ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সম্প্রতি বলেছেন, ‘ইরানের পরমাণু অবকাঠামোর ওপর হামলার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।’
ইরান ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে, যদি তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো হামলার শিকার হয়, তবে তারা কঠোর প্রতিশোধ নেবে।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে এসেছে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প তার ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’নীতির মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন, যা দেশটির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
গত সোমবার ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার দুটি উপায় রয়েছে, ‘একটি হলো বোমা দিয়ে, আর অন্যটি হলো একটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে।’
ইরান জাতিসংঘ মিশনে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানের সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি
তাওফিক/