
ফিলিস্তিনের গাজায় বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ুক-চায় না হামাস। আগামী শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকির বিপরীতে নরম সুরে কথা বলছে এই সশস্ত্র সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে যুদ্ধবিরতির অধীনে শনিবারে আরও তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির ঘোষণা দিলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দেশটির কাছে বন্দি-হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান হামাস সদস্যরা।
জবাবে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ‘জাহান্নামের আগুন’ দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, বন্দিবিনিময় না করলে হামাসের বিরুদ্ধে ফের তীব্র যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এ পরিস্থিতিতে নমনীয় অবস্থান প্রকাশ করে হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানুয়া বলেন, ‘গাজায় বিদ্যমান ভেস্তে যাক-চাই না আমরা। বরং যুদ্ধবিরতি প্রলম্বিত করতে ইসরায়েল প্রশাসনের প্রতি চাপ বজায় রাখতে চাই।’
ট্রাম্প ও নেহানিয়াহুর ‘আক্রমণাত্মক মন্তব্য’ যুদ্ধবিরতির পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে মিসরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের এক প্রতিনিধি। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গিয়ে আবার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করতে চায় না হামাস, জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিনিধি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি বহালের লক্ষ্যে তৎপর ভূমিকা পালন করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
এদিকে সংকটাপন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংরক্ষিত সামরিক সদস্যদেরও প্রস্তুত করছে তেল আবিব।
গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ পরিস্থিতিতে শনিবারের অপেক্ষায় আছেন বিশ্লেষকরা। পুনরায় যুদ্ধ শুরু হলে বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/